জরুরি কাজের প্রয়োজনে বাইরে যাওয়া যাদের প্রয়োজন তাদের কথা আলাদা। কিন্তু যাদের ঘরে থাকার সুযোগ থাকছে পুরো সময়টাকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করুন। স্ত্রী স্বামী সন্তান মা বাবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দে মেতে উঠুন। সৃজনশীল কাজে মেতে উঠুন। আত্মউন্নয়নমূলক কাজে মেতে উঠুন।
সবার সাথে দিলখোলা খেলাধুলায় মেতে উঠুন। কোনো অবস্থাতেই একা আলাদা ভার্চুয়াল জগতে কাটাবেন না। যা করুন সবাইকে নিয়ে করুন।
কথা বলুন গল্প করুন খেলাধুলা করুন পিকনিক করুন। যে কাজগুলো সবাই মিলে অনেকদিন করতে পারেন নি, সে কাজগুলো সবাই মিলে করে নিজেদেরকে হালকা করুন।
পরিবারের সবার কথা শুনুন গল্পের ছলে। সময়টাকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করুন। তাহলে যদি কোনো অস্থিরতা অসহিষ্ণুতা দূরত্ব পরিবারের মধ্যে সৃষ্টি হয়েও থাকে সেটা উবে যাবে।
এসময়ে পরিবারের সবাই মিলে প্রার্থনা এবং দানে একাত্ম হোন। সবাই সবার জন্যে দোয়া করুন।
এবং সন্তানদেরকে অর্থ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করুন যে তুমি এটা দান করো যাতে তোমার আম্মু ভালো থাকে, তুমি দোয়া করো যাতে তোমার আব্বু ভালো থাকে।
আর এসময়ে নিজের জন্যে পরিবারের জন্যে মানুষের জন্যে সবার ভালো থাকার জন্যে দোয়া করুন যেভাবে পরম করুণাময় গত বছর আমাদেরকে বালা-মুসিবত থেকে মুক্ত করেছিলেন এবছরও যাতে কোনো বালা-মুসিবত আমাদের স্পর্শ করতে না পারে। এবং পরিবারের সবাইকে এই দোয়ায় উদ্বুদ্ধ করুন।
আর লকডাউনের এই সময়টাতে দিন আনা-দিন খাওয়া মানুষ, যাদের আয় উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে তাদের খোঁজ খবর নিন।
তাদের খাবার দাবারের ব্যবস্থা করাটা একটা অতি পুণ্যের কাজ হবে এই সময়। অতএব সেরকম গরিব আত্মীয় স্বজন থাকলে তাদের খোঁজ খবর নিন।
এবং ফাউন্ডেশন যাতে অভাবগ্রস্তদের বাসায় খাবার দাবার উপহার হিসেবে পৌঁছে দিতে পারে সেজন্যে গতবছরের মতো এবছরও করোনা ফান্ডে আপনি দান করুন। আপনার এই দান দিয়ে তাদের বাসায় খাবার পৌঁছে দেয়া যাবে যারা আসলে কোনো রিলিফের জন্যে রাস্তায় কখনো দাঁড়াতে চাইবেন না।
আর তরুণ-তরুণীরা দাফন কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশ নিন। ৭ দিন ১০ দিন ১৫ দিনের জন্যে যাদের পক্ষেই আসা সম্ভব ক্যাম্পে চলে আসুন যাতে প্রতিটি মরদেহকে সম্মানের সাথে আমরা শেষ বিদায় দিতে পারি।
কারণ এই করোনাকালে দাফনের জন্যে দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি আস্থা রাখে কোয়ান্টামের ওপর। আপনজনের মমতায় আমরা তাদের দাফন করছি।
শুধু করোনা রোগী নয় যে-কোনো ধর্মের যে-কোনো মৃতের শেষ বিদায় তার ধর্ম অনুসারে পূর্ণ ধর্মীয় মর্যাদায় আমরা করে আসছি।
এটা পরম করুণাময়ের অনেক কৃপা আমাদের ওপর অনেক দয়া আমাদের ওপর যে মানুষের পৃথিবী থেকে শেষ বিদায়ে মমতার পরশ আমরা দিতে পারছি।
ডেঙ্গুর আক্রমণও হচ্ছে এই সময়। প্লাটিলেটের প্রয়োজন প্রত্যেকদিন একটু একটু করে বাড়ছে।
অতএব রক্তদাতাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে যত কষ্ট হোক ল্যাবে এসে রক্ত দিয়ে যাদের প্লাটিলেট প্রয়োজন সেই প্লাটিলেটের অভাব পূরণে আপনারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।
এবং কখন রক্তের কী প্রয়োজন হচ্ছে আমাদের ওয়েবসাইটে রক্তদানের যে পেইজ সেই পেইজ ভিজিট করে আপনি একটু খোঁজখবর রাখবেন। এবং নিজ উদ্যোগে যদি এসে রক্ত দিয়ে যান ল্যাবে এসে রক্ত দিয়ে যান, মানবতার অনেক উপকার হবে এর মধ্য দিয়ে।
আর লামাতে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের আড়াই হাজার বাচ্চা রয়েছে। তাদের স্কুলের ক্লাস বন্ধ আছে কিন্তু আবাসিকে সমস্ত বাচ্চারাই রয়েছে। তাদের লালন পালনের জন্যে যারা নিয়মিত দান করেন, এতিমানে যারা নিয়মিত দান করেন তারা অবশ্যই তাদের কথা মনে রাখবেন।
কারণ ক্লাস না হলেও প্রতিদিনের যে খরচ লালন-পালনের অন্যান্য খরচ সবই একইভাবে চলছে। এবং এই চলাটা আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতার ফলেই সম্ভব হচ্ছে।