বিকেল পাঁচটার দিকে সংসদ ভবন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ সংসদ ভবনের আঙিনায় প্রবেশ করেছেন। প্রায় প্রতিটি কক্ষ, বাসভবন ও স্থাপনায় ভাঙচুর করা হয়েছে। কেউ কেউ বিভিন্ন ব্যবহার্য সামগ্রী থেকে শুরু করে হাতে সামনে যা পাচ্ছিলেন নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ৮০–১০০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল তাঁদের থামাচ্ছিলেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ না নিতে অনুরোধ করছিলেন। এ সময় ‘রাষ্ট্রের সম্পদ সবার’ এমন যুক্তি দেখিয়ে কেউ কেউ তাঁদের সঙ্গে তর্কেও জড়িয়ে পড়েন।
সেখানে কাজ করছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের ছাত্রী রওনক ফাতেমা। তিনি বলেন, ‘আমরা জীবন দিয়েছি রাষ্ট্রের সংস্কারের জন্য। এই জিনিসপত্রগুলো তো আমাদের টাকাতেই কেনা। এখন এগুলো ভাঙচুর করা হলে তো আমাদেরই ক্ষতি। পরে আবার আমাদের টাকাতেই কিনতে হবে। এ জন্য আমরা কাউকে কিছু নিতে দিচ্ছি না। এগুলো আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়ে যাব।’