সত্যিকার প্রেম হচ্ছে দেয়ার নাম, আর পাওয়ার নাম হচ্ছে প্রেমাসক্তি বা কাম ।……………………………………………….
বর্তমানে সিনেমা ও মিডিয়ার কল্যাণে তরুণ-তরুণীরা প্রেম বলতে যা বোঝে তা আসলে কি প্রেম?
এটা আসলে নরনারীর পরস্পরের প্রতি একটা স্বাভাবিক আকর্ষণ।
এর শুরুটা ভালোলাগা থেকে। কিন্তু সময় এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তা শুধু ভালোলাগায় সীমিত থাকে না। সৃষ্টি হয় তীব্র আবেগ ও জৈবিক আকর্ষণ।
যার সুস্থ পরিণতি হচ্ছে বিয়ে ও সুন্দর পরিবার। আর অসুস্থ পরিণতি হচ্ছে আসক্তি ও অনিয়ন্ত্রিত যৌনাচার।
আর তখন এটা রূপান্তরিত হয় প্রেমাসক্তি বা প্রেমরোগে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাদক যে-রকম একজন মানুষের সুস্থ বোধবুদ্ধি নাশ করে ফেলে, প্রেমরোগ বা প্রেমাসক্তিও তা-ই করে।
এই তথাকথিত প্রেম সত্যিকারের মেধাকে বিকশিত করার পথে অন্তরায়।
শিক্ষার্থী জীবনে প্রেমরোগের মতো মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হলে মনোযোগ, সময়-কোনোকিছুর ওপরই তখন আর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এর ভবিষ্যৎ পরিণতি হয় খুব করুণ।
সত্যিকার প্রেম হচ্ছে দেয়ার নাম। যেমন, দেশপ্রেম, স্রষ্টাপ্রেম, মানবপ্রেম।
প্রেমের প্রকাশ ঘটে কখনো মমতায়, কখনো শ্রদ্ধায়, কখনো ভালবাসায়, কখনো সমমর্মিতায়।
কারো কাছ থেকে কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা না করে আমরা তখন নিজেকে অন্যের কল্যাণে উজাড় করে দিতে পারব, সেটাই প্রেম।
প্রেমের এই আবেগকে মহৎ কাজে ব্যয় করতে হবে। তাতে নিজের কল্যাণ হবে, মানুষের কল্যাণ হবে। আর এজন্যেই সৎসঙ্ঘ।
সৎসঙ্ঘে থাকলে একজন মানুষ সঙ্ঘভাবনা ও স্রষ্টা-সচেতনতায় লীন থাকে, বাজে চিন্তার সময় পায় না।
জৈবিক চিন্তা আসে যখন একজন মানুষ একা থাকে, যখন তার কোনো কাজ থাকে না, কোনো চিন্তা থাকে না।
তাই নিজের স্বার্থেই রুটিন করে সঙ্ঘের কাজগুলোতে অংশগ্রহণ করতে হবে। সাদাকায়ন, আলোকায়ন, আলোকিত পরিবার কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে।
পরিচিতদের খোঁজখবর নিতে হবে, অসুস্থকে দেখতে যেতে হবে। অর্থাৎ যত ভালো কাজে ব্যস্ত থাকব তত আমরা জৈবিক চিন্তা, অনৈতিক চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে পারব।