সন্তান যা-কিছুতেই আসক্ত হোক প্রাথমিক দায়িত্ব মা-বাবার।
আমরা গত সাদাকায়নেও বলেছিলাম, সন্তানের প্রতি সন্তানকে যে-কোনো আসক্তি থেকে বিষণ্ণতা থেকে হতাশা থেকে ফিরিয়ে আনার প্রাথমিক পথ হচ্ছে তার প্রতি মনোযোগ দেয়া। প্রত্যেক মা-বাবার এক্ষেত্রে সন্তানের প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগী হতে হবে।
এবং সেই সাথে একটি বিষয়ে দৃঢ় হতে হবে। সেটা হচ্ছে রাত ১১টার পরে তার হাতে যেন মোবাইল না থাকে।
শুধু তার না, মায়ের মোবাইল বাবার মোবাইল আপনাদের মোবাইল সন্তানের মোবাইল একসাথে আপনি আপনার বেডরুমে সব একসাথে রেখে দেবেন যে বাবা, মা, মোবাইল এখানে থাকল, আমরাও ব্যবহার করব না তুমিও ব্যবহার করবে না।
আবার ভোর আটটার পরে তাকে দেন।
আপনি এই প্রথম পদক্ষেপটি গ্রহণ করুন। এতে রাতের ঘুমটা তার নিয়মিত হবে। এবং রাতে ঘুমটা নিয়মিত হলে সে অনেক অস্থিরতা থেকে সে মুক্তি পাবে।
কারণ অধিকাংশ সময়ে ছেলেমেয়েরা রাত জেগে এই গেমে অংশ নেয়। এবং রাতের যে আসক্তি এই আসক্তির প্রভাব শরীর এবং মননের ওপর সবচেয়ে নেতিবাচকভাবে পড়ে। অতএব এই প্রাথমিক পদক্ষেপ আপনি গ্রহণ করুন।
তবে এ ব্যাপারে সামাজিক দায়িত্বও কম নয়।
আসলে ফ্রি ফায়ার-পাবজির মতো সহিংস গেম, যা গেম আসক্তদের অসহিষ্ণু অস্থির সহিংস করে তোলে, যা কিশোরদের মারদাঙ্গা ও খুনে প্রলুব্ধ করে। তাকে সন্ত্রাসী তৈরির সূতিকাগার ছাড়া আর কী বলা যায়!
তাই এই গেম নির্মাতা অর্থলোলুপ ব্যবসায়ীদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবেই চিহ্নিত করা উচিৎ। সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো এই গেমগুলোও সারা পৃথিবীতে নিষিদ্ধ হওয়া উচিৎ। যারাই এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করবে, সচেতন মানুষ তাদের কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
প্রিয় সুহৃদ! মা বাবা হিসেবে অভিভাবক হিসেবে সন্তানকে শুধু দামি দামি জিনিসপত্র কিনে দেয়া না, সেই উপকরণগুলো সে কীভাবে ব্যবহার করছে যতক্ষণ পর্যন্ত সে বড় না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ পর্যন্ত সে কর্মজীবনে প্রবেশ না করছে ততক্ষণ পর্যন্ত তার দিকে খেয়াল রাখা এটা আপনার দায়িত্ব।
এবং এই দায়িত্ব পালনে বিরক্ত হওয়ার অসহিষ্ণু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পরম মমতায় তাকে কাছে টানতে হবে, তাকে বোঝাতে হবে। কারণ আপনার ভবিষ্যৎ হচ্ছে সেই।
সন্তানের বয়স যাই হোক যে-কোনো ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ প্রথম থেকেই খেয়াল করতে হবে।
প্রথম থেকেই যদি তার অস্বাভাবিকতার প্রতি নজর করেন, তো যে কোনো ঘটনার প্রাথমিক অবস্থাতেই আপনি সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এবং তাকে সুন্দরের পথে ভালোর পথে পরিচালিত করতে পারবেন।