অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে স্থানীয় কর্মীদের দিয়ে সীমিত পরিসরে পোশাক কারখানা চালুর অনুমতি দেয় সরকার। তবে গার্মেন্ট মালিকদের একাংশ ফোন/এসএমএস দিয়ে দূরের শ্রমিকদেরও কারখানায় আসতে নির্দেশ দেয়। চাকরি বাঁচানোর তাগিদে দূর-দূরান্ত থেকে ঢাকামুখী হন শ্রমিকরা। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে যেমন তাঁদের পড়তে হয়েছে, তেমনি মোটা অঙ্কের টাকা গেছে ঢাকায় পৌঁছতে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে, যেসব গার্মেন্ট মালিক সরকারি নির্দেশ অমান্য করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, ঘোষিত লকডাউন শেষ হওয়ার পাঁচ দিন আগেই কারখানা খোলার ক্ষেত্রে কিছু অব্যবস্থাপনা থাকলেও সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সরকারকে দেওয়া কথা রাখেননি। স্থানীয় কর্মী দিয়ে সীমিত আকারে কারখানা খোলা রাখা হবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও মালিকরা খুদে বার্তা ও ফোন করে দূরের শ্রমিকদের আসতে বাধ্য করেছেন। এ জন্য ওই সব কারখানার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।