একা একা বড় কোন কাজ করা যায় না। বড় কাজ করতে হলে সংঘবদ্ধ হতে হয়। এই সঙ্ঘবদ্ধতা শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয় বরং পরিবারেও অপরিহার্য। স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের সুসম্পর্কের মাধ্যমে পরিবার হয়ে ওঠে প্রশান্তির উৎস। মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশে সুসম্পর্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যে প্রয়োজন একে অপরের প্রতি অফুরন্ত মমতা। পারিবারিক সুসম্পর্ক থেকে গড়ে ওঠে মানসিক নিরাপত্তাবোধ। ব্যক্তিত্ব বিকাশে এ নিরাপত্তাবোধ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অনেক বাবা মা মনে করেন সন্তানের প্রতি মমতা দামি খেলনা বা টাকা পয়সার মাঝেই সীমাবদ্ধ । অথচ সন্তানের প্রয়োজন স্নেহমাখা পরশ এবং সঠিক দিক নির্দেশনা। প্রবীণ বয়সে একইভাবে সন্তানদের খুব কাছাকাছি থাকাটা প্রত্যাশা করেন মা-বাবা। এ মমতার জ‡ন্য প্রয়োজন পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও ভালবাসা। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয় ১৭ই জুন অনুষ্ঠিত এ সপ্তাহের সাদাকায়নে। ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপে অর্জিত হয় বিশাল অর্জন। পারিবারিক একাত্মতা বৃদ্ধিতে করণীয় কিছু পদক্ষেপ:
১. প্রতিদিন অন্তত একবেলা পরিবারের সবাই একসাথে খাবার খান।
২. বিরোধ এড়িয়ে সবসময় সরাসরি কথা বলুন। স্বামী-স্ত্রীর বিরোধে কখনো তৃতীয় পক্ষকে জড়াবেন না।
৩. ছেলে মেয়েদের পর্যাপ্ত সময় দিন। তাদের পড়ালেখার নিয়মিত খোঁজ খবর নিন।
৪. প্রতিদিন কিছুটা সময় একসাথে কাটান।
৫. সুযোগ পেলে পছন্দের কোন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে আসতে পারেন।
৬. একটি সন্তানকে কখনো অন্যটির সাথে তুলনা করবেন না।
৭. স্বামী-স্ত্রী হিসেবে কেউ কাউকে তৃতীয় কোন পক্ষ বা ব্যক্তির আচরণ স্বভাব বা ব্যক্তিত্বের সাথে তুলনা করবেন না।
৮. রাগ নিয়ন্ত্রণ করে সুন্দরভাবে কথা বলুন। ভালো কাজে পরষ্পরকে উৎসাহিত করুন।
৯. ভালো রান্না বা বাজার করার ব্যাপারে প্রশংসা করতে দ্বিধা করবেন না।
১০. সন্তানদেরকে শাসনের নামে সারাদিন বকাবকি না করে তাকে ইতিবাচকভাবে বোঝান। সুসম্পর্ক হতে পারে তখন যদি আপনি বাবা মা বা সন্তান হিসেবে পরষ্পরের বিশ্বস্ত বন্ধু হতে পারেন।
১১. পরিবারে কেউ অসুস্থ্ থাকলে তার খোঁজ খবর নিন। সেবা যত্নে মমতার পরশ দিয়ে তার মাঝে সুস্থতার আশা জাগান।
১২. সম্পর্ক নষ্ট হয় এমন আচরণ সচেতনভাবে এড়িয়ে চলুন।