আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সফল সভাপতি জনাব সোলায়মান আহমেদ এর উদ্যোগে আলফাডাঙ্গায় মাস্ক বিতরন
কার্যক্রম অনুষ্টিত হয়েছে।যার তত্ত্বাবধানে ছিলেন তার ভাতিজা আলফাডাঙ্গা উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রিপন মোল্লা।
সারা পৃথিবীর মত করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।সাধারণ মানুষজনকে সচেতন করতেই সোলায়মান আহমেদের এই প্রচেষ্টা।জন্মভূমির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে তিনি এই উদ্যোগ গ্রহন করেন পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।করোনা কালীন সময়ে কয়েক দফায় দরিদ্র মানুষদের মাঝে খাদ্র্য দ্রব্য বিতরণ করেছেন।
উল্লেখ্য জনাব সোলায়মান আহমেদ আলফাডাঙ্গা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শুকুরহাটা গ্রামের সন্তান। ১৯৬০ সালে কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমী থেকে এসএসসি পাস করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য করাচি চলে যান।করাচি ইসলামিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। একই কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেন এবং করাচী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।এরপরে করাচীর সিন্দ মুসলিম ল’কলেজ থেকে এলএলবি প্রথম বর্ষ সমাপ্ত করেন।ঠিক সে সময়ে তিনি কাতার ইন্সুরেন্স কোম্পানির উচ্চ পদে চাকরির অফার পান। পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য তিনি চাকুরীতে যোগদান করেন।কাতারে অবস্থানকালে তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।কাতারস্থ বাংলাদেশ হাই স্কুলের তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।কয়েক মেয়াদে তিনি এই স্কুলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মাস্ক বিতরনের সময়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠনের সাথেই তিনি কেবল জড়িত ছিলেন না। কাজ করেছেন বেকার মানুষদের জন্য ও। আলফাডাঙ্গা সহ পাশ্ববর্তী এলাকার অগণিত মানুষের জন্য দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।সমাজের অবহেলিত মানুষের জন্য নীরবে নিভৃতে কাজ করতে তিনি ভালবাসেন।জনাব সোলায়মান আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনিয়র সিটিজেন।তবুও দেশের টানে,শিকড়ের টানে বারবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন।রাজনীতিতেও সোলায়মান আহমেদ একজন সফল ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি এখনো এ জনপদের মানুষের কথা চিন্তা করেন।স্বপ্ন দেখেন জাটিগ্রাম মমতাজউদ্দীন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশেই একটি কলেজ গড়ে তুলবেন।উল্লেখ্য জাটিগ্রাম মমতাজউদ্দীন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। অভিভাবকদের তিনি অনুরোধ করে বলেন ছেলেমেয়েদেরকে তাঁরা যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলে।তাহলেই কেবল এ জনপদ আলোকিত হবে,উন্নত হবে।
জনাব সোলায়মান আহমেদ
ব্যক্তিজীবনে সোলায়মান আহমেদের তিন সন্তান এবং স্ত্রী নিয়ে তার বসবাস।তার জীবন সঙ্গীনী বেগম নুরুন্নাহার,তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।তার তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে মাশফুক আহমেদ ও ছোট ছেলে মারুফ আহমেদ ও একমাত্র কন্যা শায়লা আহমেদ তিনজনই যুক্তরাষ্ট্র থেকে গ্রাজুয়েট এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করে যুক্তরাষ্ট্রেই চাকুরীতে নিযুক্ত রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে সকল সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্বেও বারবার দেশের টানে মাটির টানে শিকড়ের টানে দেশে ফিরে আসেন।সোলায়মান আহমেদদের জন্যই এ দেশকে বেশি করে ভালবাসতে ইচ্ছে করে।সোলায়মান আহমেদরাই দেশের কিংবদন্তি।যুগ যুগ ধরে মানুষ সোলায়মান আহমেদের মত মানুষদের স্মরণ রাখবে।