সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে রাখা হবে।
মিয়ানমারের সাবেক স্টেট কাউন্সিলর ও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান সু চির আইনজীবীর বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে রয়টার্স।
গত পহেলা ফেব্রুয়ারি ভোরে সু চি ও দেশটির প্রেসিডেন্টসহ বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তার করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী।
এরপর তার বিরুদ্ধে আনা হয় কয়েকটি অভিযোগ। তখন থেকেই রিমান্ডে আছেন সু চি। ধারণা করা হচ্ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার এই রিমান্ড কার্যকর হবে। তবে সোমবার জানা গেল নতুন তথ্য।
এনএলডি নেত্রীর আইনজীবীদের একজন জানান, বিচারক অং সান সু চির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেছেন। আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন কিনা জানতে চেয়েছেন সু চি।
মিয়ানমারে গত ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২টি আসনই যথেষ্ট, সেখানে এনএলডি পেয়েছিল ৩৪৬টি আসন।
এনএলডি নিরঙ্কশ জয় পেলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল। তারা নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। যদিও ইউএসডিপি ৭১টি আসনে জয় পেয়েছে।
গত পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ওইদিন ভোরে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও দেশটির প্রেসিডেন্টসহ এনএলডির শীর্ষ বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তারের পর এক বছরের জন্য মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পর গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ও গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে সাধারণ মানুষ। কিছু এলাকায় বলপ্রয়োগ করেছে কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ বিক্ষোভ ঠেকাতে রাস্তায় সেনাবাহিনী নামিয়েছে সামরিক জান্তা। সোমবার মিয়ানমারের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান টহল দিতে দেখা গেছে।
ইয়াঙ্গুনে স্যুলে প্যাগোডার সামনে সেনাবাহিনীর চারটি জলবাহী কামান দেখা যায়। এই জায়গাটি বিক্ষোভকারীদের কেন্দ্রস্থল। সোমবারও কিছু বিক্ষোভকারী এখানে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন। এছাড়া রোববার রাত থেকে ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।