বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের কাছে এখন এক বিস্ময়ের নাম।
নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর পরই বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রধান রবার্ট ম্যাকনামারা বলেছিলেন, বাংলাদেশ হবে দারিদ্র্যের মডেল। বাংলাদেশ যদি কখনো দারিদ্র্যমুক্ত হয় সেটা হবে একটা ব্যতিক্রমী ঘটনা। একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে অভিহিত করলেন ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে। ১৯৭৬ সালে পৃথিবীর শীর্ষ দুজন উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ জাস্ট ফাল্যান্ড ও জে আর পারকিনসন বলেন, যদি বাংলাদেশ কখনো উন্নতি করতে পারে, তবে কোনো দেশই উন্নয়নে বাদ থাকবে না।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে প্রচলিত তত্ত্বগুলোকে এড়িয়ে নতুন পথ তৈরি করে সামনে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ২০১০-এ ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল রিপোর্ট করে ‘বাংলাদেশ, বাস্কেট কেস নো মোর’। ২০১৩-তে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বলেন, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, খাদ্য বিপ্লবের দেশ। ঝুড়ি শস্যে উপচে পড়ছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর শেষে কোয়ান্টাম পা দিল ৩০ তম বছরে। আশির দশকে দেশ ও জাতি যখন নেতিবাচকতায় আচ্ছন্ন, তখন ইতিবাচকতার বাণী নিয়ে মানুষের মাঝে আশা আর বিশ্বাস জাগিয়ে তোলার কাজ শুরু করে কোয়ান্টাম। ১৯৯৩ সালে এ প্রচেষ্টার প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় কোয়ান্টাম মেথড কোর্সের মধ্য দিয়ে। ১৯৯৬ সালে কোয়ান্টাম জাতির সামনে উপস্থাপন করে বিশ্বের সেরা দশ জাতির এক জাতি হওয়ার মনছবি। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশ্বব্যাপী গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর রিপোর্টে ছিল সেই মনছবি বাস্তবায়নেরই প্রতিধ্বনি।
জাতির মাঝে এই ইতিবাচক শক্তি প্রবাহের নীরব উৎস হয়ে নিরলস কাজ করে গেছে কোয়ান্টাম। স্বেচ্ছা রক্তদান, বান্দরবান লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল, পরিচ্ছন্নতা করসেবা, গৃহ নির্মাণ থেকে শুরু করে করোনাকালে পিপিই সরবরাহ, দাফনসেবা, অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ ইত্যাদি সময়োপযোগী সেবাকাজের নিরবিচ্ছিন্ন প্রয়াসে কোয়ান্টাম গণমানুষের কাছে হয়ে উঠেছে এক আস্থার নাম।
করোনাকাল পেরিয়ে দীর্ঘসময় ঘরবন্দি কিশোর-তরুণরা ভুগছে শারীরিক-মানসিক নানান জটিলতায়। কিন্তু কোয়ান্টাম বিশ্বাস করে সম্ভাবনাময় এই তরুণরাই পারবে আগামীতে বাংলাদেশকে শস্য, ফল-ফুলে পরিপূর্ণ সুসজ্জিত এক ঝুড়িতে পরিণত করতে। তরুণদের সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে প্রয়োজন সমমর্মিতা নিয়ে তরুণদের পাশে দাঁড়ানো। এ বছরকে তাই কোয়ান্টাম ঘোষণা করেছে তারুণ্যের প্রতি সমমর্মিতার বছর হিসেবে।
কিশোর-তরুণদের মানসিক জটিলতা ও নৈতিক অবক্ষয় থেকে বাঁচিয়ে শুদ্ধাচারী, আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে আপনিও এগিয়ে আসুন। তাকে সন্ধান দিন ধ্যান, সেবা আর সাফল্যের সরলপথের। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে বাংলাদেশের তরুণরা জেগে উঠুক আপন শক্তিতে।