রাজধানীর উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরসংলগ্ন ফুলবাড়িয়ায় থাকেন রাহেলা বেগম (ছদ্মনাম)। তাঁর দুই মেয়ে এক ছেলে। স্বামীর সুনির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। দেশে গত বছর মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার আগে দুটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন রাহেলা। সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে দুই বাড়িতেই কাজ হারান তিনি। উপায় না পেয়ে চলে যান গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে। গত নভেম্বরে আবার ঢাকায় ফেরেন। এরপর দুটি বাসায় কাজ পেলেও করোনা বাড়তে থাকায় আবার তা হারিয়েছেন।
গত সোমবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে কথা হয় রাহেলার সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, ‘জীবন যে কীভাবে চলতেছে, তা বলার মতো না। স্বামী ঠিকমতো টাকাপয়সা দেয় না। এখন মেয়ে দুইটাও কাজ করতেছে টুকটাক। করোনা যে কবে য্যাবে, সেই ভাবনা করি।’
করোনাকাল রাহেলার মতো অসংখ্য গৃহকর্মী নারীকে বেকার করেছে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার সময় যেসব পেশার মানুষ সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে গৃহকর্মীরা অন্যতম। অন্য পেশাজীবীদের মধ্যে শুধু রিকশাচালকদের বেকারত্বের হার গৃহকর্মীদের তুলনায় বেশি। এদিকে গৃহকর্মীদের ওপর নিপীড়নও কমেনি। এ অবস্থায় আজ বুধবার আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস পালিত হচ্ছে। এবার এ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শোভন কাজ হিসেবে গৃহশ্রমিকের স্বীকৃতি চাই’।