এজন্যে আপনাকে প্রজ্ঞাবান হতে হবে।
বুঝতে হবে যে, আপনার আজকের কাজের ফল আগামী এক বছর,
দুই বছর বা পাঁচ বছর পর কী হবে?
আসলে আমরা অনেক সময় মনে করি যে, ‘একটি ভুল’।
কিন্তু এই একটি ভুলই জীবন ধ্বংস করার জন্যে যথেষ্ট।
জীবন ধ্বংস করার জন্যে একশটা ভুলের দরকার নেই।
এ প্রসঙ্গে একটা সত্য ঘটনা বলা যায়-
একবার এক লোক কৈ মাছ ধরার জন্যে পানিতে নামলো। একটা ধরার পরে দেখে সেখানে আরো মাছ। তার কাছে মাছ রাখার কিছু ছিলো না। সে তখন হাতের মাছটা মুখে কামড়ে ধরলো।
তারপর হাত দিয়ে ধরতে গেল আরো একটি মাছ। এদিকে মুখে কামড়ে রাখা কৈ-টা তড়পাতে তড়পাতে ঢুকে গেল তার গলার ভেতর। এখন এটা না মারা যাচ্ছে, না গলা দিয়ে নামছে, না বাইরে আসছে।
শেষমেশ লোকটি শ্বাসরূদ্ধ হয়ে মারাই গেল। ছোট একটা ভুলের পরিণামে তাকে জীবন দিতে হলো।
ইতিহাসের দিকে যদি তাকান-১৭৫৭ সালে পলাশীতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে নবাব সিরাজ উদ্দৌলার পরাজয়ের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ঔপনিবেশিক শাসনের যে সূচনা হলো, তার গোড়াতেও ছিলো এই প্রজ্ঞাহীনতা, এই ভুল।
সিরাজউদ্দৌলা যদি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী দলের নেতা মীরজাফরের কথা শুনে যুদ্ধ বন্ধ করার নির্দেশ না দিতেন, তিনি যদি বুঝতে পারতেন যে, এই মুহূর্তে যুদ্ধ বন্ধের আদেশ কতটা বিপর্যয় নিয়ে আসবে-তাহলে ভারতবর্ষের ইতিহাস হয়তো অন্যভাবে রচিত হতো।
এই প্রজ্ঞাহীনতার পরিণতি আমরা এখনো ভোগ করে চলেছি। এখনো আমরা ইংরেজদের প্রবর্তিত শাসনব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি নি। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা নিজেদের মতো চলার স্বাধীনতা অর্জন করি নি।