1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন

আপনার সন্তানকে জীবনের লক্ষ্য দিন

  • সময় শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৯৮৩ বার দেখা হয়েছে
সন্তানকে জীবনের লক্ষ্য দেয়া কত গুরুত্বপূর্ণ সেটা চারপাশে তাকালে আমরা সহজেই অনুভব করতে পারি।
একটি শিশু জন্মের পর সাড়ে তিন/চার বছর হতে না হতে তাকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্যে অভিভাবকরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। এই শিশুটিকে যদি প্রশ্ন করা হয় কেন সে পড়ালেখা করছে, অধিকাংশই জবাব দিতে পারবে না। কারণ, তাদের জীবনে কোনো লক্ষ্য নেই।
বর্তমান সময়ের কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের সবচেয়ে বড় ফাঁক হচ্ছে তাদের কারো জীবনে কোনো লক্ষ্য নেই। তারা মনে করে-চলছে জীবন চলুক। আবার অনেকে আছে যারা সবই পেতে চায়। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিল্পপতি, বড় চাকুরে-সবই হতে চাই। কিন্তু এ চাওয়াটা লক্ষ্যে রূপান্তরিত হয় না।
কারণ তাদের সকল প্রয়াস সে লক্ষ্যে নিবেদিত হয় না। ধরুন, ক্লাসে প্রথম হওয়া যে শিক্ষার্থীর লক্ষ্য সে কখনো রাতভর চ্যাটিং করে পরদিন দুপুরে ঘুম থেকে উঠবে না, ব্রাঞ্চ মানে ব্রেকফাস্ট আর লাঞ্চ একসাথে সারবে না। সে তার লক্ষ্য পূরণের জন্যে সময়কে কাজে লাগাবে, একটা রুটিন অনুসারেই চলবে।
এ প্রসঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ছোটবেলার একটি ঘটনা বলা যেতে পারে। বারাক ওবামার বয়স তখন মাত্র দশ এবং তিনি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। একদিন তার ক্লাস টিচার ক্লাসে এসে বললেন-সবাই নিজ নিজ Aim in life লিখো। সেদিন কেউ লিখেছিল … I want to be a doctor, কেউ লিখেছিল … I want to be an ideal teacher… ইত্যাদি।
কিন্তু ছোট্ট ওবামা লিখেছিল … I want to be the president of USA এটা দেখে টিচার খুব অবাক হলেন, কারণ প্রেসিডেন্ট না হওয়ার জন্যে যা যা দরকার ওবামার সব কটাই ছিল। কিন্তু ওবামা সফল হলেন কেননা তিনি সেই ছোট্টবেলাতেই তার জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে পেরেছিলেন।
সাধারণভাবে জীবনের লক্ষ্য বলতে আমরা কী বুঝি? অর্থ বিত্ত খ্যাতি ইত্যাদি অর্জন। কোয়ান্টাম আমাদেরকে শিখিয়েছে যে, জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত অনন্য মানুষ হওয়া। বড় কিছু, মহান কিছু করার জন্যে যে আমি পৃথিবীতে এসেছি তা বিশ্বাস করা এবং তারপর সে অনুযায়ী কাজ করা।
জীবনের সত্যিকার লক্ষ্য এটাই হওয়া উচিত। অর্থ বিত্ত খ্যাতি সবই আসবে বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে। কারণ সেবা প্রদান করলে প্রকৃতির নিয়মেই এগুলো প্রতিদান হিসেবে আসবে।
কোয়ান্টামে আমরা বলি, লক্ষ্যহীন জীবন রাডারবিহীন জাহাজের মতো। এটি কোথাও পৌঁছায় না। যতক্ষণ লক্ষ্য ঠিক থাকে তা গন্তব্যের দিকেই এগোয়। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সূরা বাকারা-এর ১৪৮ নম্বর আয়াতেই বলেছেন, প্রত্যেকের একটা লক্ষ্য আছে যা তার কর্মধারাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
লক্ষ্য ঠিক থাকলে কর্মধারা ঠিক হয়, আর কর্মধারা ঠিক করে দেয় অর্জন কেমন হবে। কর্মের প্রতি যখন প্রাণান্ত প্রয়াস থাকে তা-ই একজন মানুষকে লক্ষ্য অর্জনের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
করুণ বাস্তবতা হলো অধিকাংশ অভিভাবকই ই সন্তানকে চকলেট বা খেলনা দেন, কিন্তু লক্ষ্য দেন না। যে অভিভাবকেরা সন্তানকে একটা লক্ষ্য দেখিয়ে দিতে পেরেছেন তারা সফল হয়েছেন।
তবে সন্তানের ওপর লক্ষ্য চাপিয়ে দেবেন না। সন্তানকে এমন একটি লক্ষ্য নির্বাচনে উদ্বুদ্ধ করুন যা ভালো এবং কল্যাণকর। তাকে দাতা হতে উদ্বুদ্ধ করা, সেবক হতে অনুপ্রাণিত করুন। তাহলেই সে সাফল্যের সরলপথে চলতে পারবে।
সন্তানকে অনন্য মানুষের পথে পরিচালিত করার জন্যে মা-বাবার পক্ষ থেকে সন্তানের জীবনের সবচেয়ে বড় গিফট হচ্ছে- আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী। কারণ কোরআনের জ্ঞান যদি না জানে তাহলে ভালো-মন্দ কী, কোনটা গুনাহ, কোনটা পাপ, কোনটা পুণ্য কিছুই সন্তান বুঝতে পারবে না। আর যখন হৃদয়ে কোরআনের মর্মবাণী থাকবে তখন সে লক্ষ্যের পথে অবিচলভাবে চলতে পারবে।
সন্তানের ভেতরে মেডিটেশনের বীজটা বুনে দিন। আলোকায়ন সাদাকায়ন আলোকিত পরিবার অর্থাৎ উন্মুক্ত প্রোগ্রামগুলোতে তাকে নিয়ে অংশগ্রহণ করুন। কারণ মেডিটেশনে তার ভেতর এই বিশ্বাস জাগ্রত করবে–আমি পারি, আমি করব।
আমার জীবন আমি গড়ব। আর এই বিশ্বাস, এই ইতিবাচকতা যখন সন্তানের ভেতরে থাকবে তখন তার লক্ষ্য সে অর্জন করবেই।
প্রত্যেকটি সন্তান আলোকিত মানুষ হোক আর সেজন্যে আমরা তার জীবনের শুরুতেই তাকে তার জীবনের লক্ষ্য নির্বাচনে সহায়তা করা আবশ্যক।
Mahmuda Tani Neel, Khondokar Zobair and 12 others
1 comment
2 shares

Share

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com