ঘটনাবলি
১৯৪৭ : ভারতের স্বাধীনতার পর জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী আজকের দিনে প্রথম ও শেষ বারের মত আকাশবাণী দিল্লি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ও ভাষণ দেন।
জন্ম
১৭৪৬ : জ্যাকুইস চার্লস, ফরাসি উদ্ভাবক, বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও বেলুন বিশেষজ্ঞ।
১৮১৭ : বাহাউল্লা নামে পরিচিত আধ্যাত্মিক নেতা মির্জা হুসায়েইন আলী নুরি। যিনি বাহাই বিশ্বাসের জনক।
১৮৪০ : ওগুস্ত রদ্যাঁ, আধুনিক যুগের একজন বিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর।
১৮৪২ : জন উইলিয়াম স্ট্রাট, তৃতীয় ব্যারন রেলি, নোবেলজয়ী ইংরেজ পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ।
১৮৯৬ : সালিম আলী, বিখ্যাত ভারতীয় পক্ষীবিদ ও প্রকৃতিপ্রেমী।
১৯২৭ : দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী, রবীন্দ্র সংগীতে অকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী (২০১০)।
১৯৩১ : গ্রেগরি হেমিংওয়ে, মার্কিন চিকিৎসক ও স্মৃতিকথাকার।
১৯৩৮ : বেলাল চৌধুরী, বাংলাদেশি কবি।
মৃত্যু
১৯২৯ : কাশিমবাজারের মহারাজা ও মানবতাবাদী ব্যক্তিত্ব স্যার মণীন্দ্র চন্দ্র নন্দী।
১৯৪৬ : ভারতীয় শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ মদনমোহন মালব্য।
১৯৬৯ : বাঙালি শিক্ষাবিদ এবং লেখক অজিতকুমার গুহ।
২০১৮ : মার্কিন কমিক বই লেখক, সম্পাদক, প্রযোজক ও প্রকাশক স্ট্যান লি।
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস
আজ ১২ নভেম্বর বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে- Every Breath Counts: Stop Pneumonia in Its Track. প্রথম নিউমোনিয়া দিবস পালিত হয়েছিল ২০০৯ সালে। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২৪ হাজারের বেশি শিশু মারা যায় এই রোগে। আর সারা পৃথিবীতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতিবছর প্রায় ৪৫ কোটি।
নিউমোনিয়া ফুসফুসের প্রদাহজনিত কঠিন একটি রোগ। শিশুদের পাশাপাশি বয়স্ক ব্যক্তিদেরও নিউমোনিয়া হয়, বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন বা যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। সাধারণত শীতের সময় শিশু ও বয়স্কদের এ রোগের প্রকোপ বেশি বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকদের মতে, অপুষ্টি, বায়ুদূষণ, টিকা না নেওয়া ও অ্যান্টিবায়োটিকের অভাবে শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হয়। এছাড়া অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান এবং তরুণদেরও এ রোগ হতে পারে। তবে পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশু ও বৃদ্ধদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের হার বেশি হয়।
সাধারণত ফুসফুসে স্ট্রেপটোকক্কাস জাতীয় ব্যাকটেরিয়া কিংবা শ্বাসযন্ত্রের সিনসিশিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) সংক্রমণ ঘটালে ফুসফুস ফুলে ওঠে, ভরে ওঠে পুঁজে বা তরল পদার্থে, যা অক্সিজেন গ্রহণ করে নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তখন ফুসফুসে প্রদাহ হয়।
নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো বয়সভেদে বিভিন্ন হয়ে থাকে। শারীরিক অবস্থা এবং জীবাণুর ধরনের ওপর লক্ষণ নির্ভর করে। সাধারণত জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, কাঁপুনি, অতিরিক্ত ঘাম, শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে বুকে ব্যথা, মাথাব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা ও ক্লান্তি লাগাকেও এ রোগের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়।
শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বুকের এক্স-রে, রক্ত এবং কফ/শ্লেষ্মা পরীক্ষা দ্বারা এই রোগ শনাক্ত করা হয়ে থাকে। তবে লক্ষণগুলো বেড়ে গেলে অর্থাৎ অস্বাভাবিক জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বুকে ব্যথা বেড়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, অ্যান্টিবায়োটিক, প্রচুর তরল খাবার এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। নিউমোনিয়া রোধে সবসময় পরিষ্কার করে হাত ধুতে হবে, নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে, সুষম খাবার খেতে হবে। ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যের সামনে হাঁচি/ কাশি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি/ কাশি এলে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: সংগৃহীত