ঘটনাবলি
১৬০৫ : বিখ্যাত উপন্যাস ডন কুইকসোট এর প্রথম প্রকাশ।
১৯২৯ : বিবিসির প্রথম পত্রিকা ‘দি লিসেনার’ প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯৭২ : বাংলাদেশকে নেপালের স্বীকৃতি।
১৯৮৬ : ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠক হয়।
১৯৮৭ : নেপালের কাঠমান্ডুতে সার্ক সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
জন্ম
১৮৭৪ : রবার্ট সার্ভিস, বিখ্যাত কানাডীয় কবি।
১৮৮৮ : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রসায়নবিদ ড. প্রিয়দারঞ্জন রায়।
১৯০১ : সুকুমার সেন, ভারতীর বাঙালি ভাষাতাত্ত্বিক ও সাহিত্য বিশারদ।
মৃত্যু
১৯১৫ : ঢাকার নবাব খাজা সলিমুল্লাহ।
১৯৩৮ : বাঙালি কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
১৯৬১ : বাঙালি রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক খান বাহাদুর আবিদুর রেজা চৌধুরী।
২০১৮ : বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী শাম্মী আখতার।
২০২২: ভারতের কিংবদন্তি কত্থক শিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজ।
নবাব খাজা সলিমুল্লাহ
নবাব খাজা সলিমুল্লাহ ছিলেন ঢাকার নবাব, মুসলিম জাতীয়তাবাদী নেতা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক।। বাংলার মুসলিমদের শিক্ষার পেছনে সলিমুল্লাহ বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যেও তিনি স্মরণীয়।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৭১ সালের ৭ জুন। বাবা ঢাকার তৃতীয় নবাব খাজা আহসানউল্লাহ। পিতামহ হলেন নওয়াব স্যার খাজা আব্দুল গণি। পারিবারিকভাবেই তিনি গৃহশিক্ষকের কাছে উর্দু, আরবি, ফারসি ও ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই আভিজাত্যের প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে তিনি সব শ্রেণির মানুষের সাথে মিশতে শুরু করেন। ১৮৯৩ সালে তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরি নেন। এরপর চাকরি ছেড়ে ময়মনসিংহে কিছুদিন ব্যবসাও করেন। ১৯০১ সালে বাবার মৃত্যুর পর তিনি ঢাকা নবাব এস্টেটের কর্তৃত্ব লাভ করেন।
সলিমুল্লাহ ছিলেন একজন দানশীল ব্যক্তি। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তিনি অকাতরে দান করতেন। কৃষি, শিল্প খাত, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, ছাত্রাবাস নির্মাণ কিংবা অন্যান্য যে কোনো ধরনের সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। ঢাকার কারুশিল্পের উন্নয়নে তিনি প্রদর্শনীর আয়োজন করতেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়ও নবাব সলিমুল্লাহ বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এজন্যে তিনি রমনা এলাকায় কিছু জমিও দান করেন। এ ছাড়া আহসানউল্লাহ স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং (বর্তমানে বুয়েট) প্রতিষ্ঠার পেছনেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। খাজা সলিমুল্লাহ বঙ্গভঙ্গের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন এবং ১৯০৭ সালে তিনি মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন। ১৯০৩ সালে লর্ড কার্জন এক সফরে ঢাকায় এলে স্যার সলিমুল্লাহ লর্ড কার্জনকে পূর্ব বাংলার সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবহিত করেন।
নবাব সলিমুল্লাহ পূর্ববঙ্গ আসাম ব্যবস্থাপক সভা, ইম্পেরিয়াল কাউন্সিল ও যুক্তবঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্যও ছিলেন। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ১৯০২ সালে সি.এস.আই; ১৯০৩ সালে নওয়াব বাহাদুর; ১৯০৯ সালে কে.সি.এস.আই এবং ১৯১১ সালে জি.সি.এস.আই উপাধি প্রদান করে।
খাজা সলিমুল্লাহর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ঢাকার নবাব পরিবারকে ভারতীয় উপমহাদেশে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান। ঢাকার এই নবাবের নামে বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানের নামকরণ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ, নারায়ণগঞ্জের নবাব সলিমুল্লাহ রোড ইত্যাদি।
নবাব সলিমুল্লাহ ১৯১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত