গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৬৫তম (অধিবর্ষে ২৬৬তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
ঘটনাবলি
১৯০৮ : বুলগেরিয়া উসমানীয় সম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৬০ : দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি স্বাধীনতা লাভ করে।
জন্ম
১৯৩২ : শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী।
১৯৩৯ : জুনকো তাবেই, বিশ্বের প্রথম এভারেস্ট জয়ী নারী।
১৯৫৯ : সল পার্লমাটার, নোবেলজয়ী মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী।
মৃত্যু
১৮৯১ : ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন বাঙালি লেখক তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়।
১৯৫৬ : নোবেলজয়ী ইংরেজ রসায়নবিদ ফ্রেডেরিক সডি।
১৯৭০ : ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৭৪ : সাম্যবাদী বাঙালি বিপ্লবী, লেখক ও চিন্তাবিদ সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৯৭৯ : বাঙালি শিল্পী এবং আধ্যাত্মিক বিষয়ক লেখক প্রমোদকুমার চট্টোপাধ্যায়।
বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস
বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস ২২ সেপ্টেম্বর। এটি এমন একটি দিন; যেদিন গাড়িচালক বা মালিকগণ একদিনের জন্যে গাড়ি পরিত্যাগ করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়। ২০২৪ সালে এ দিবসের থিম নির্ধারিত হয়েছে- ‘Car-free cities are affordable.’
নব্বইয়ের দশকে দিবসটি উদযাপন উদ্যোগের প্রসার ঘটে। গড়ে ওঠে বিশ্বব্যাপী ‘কার ফ্রি সিটি নেটওয়ার্ক’। এরপর ১৯৯৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সে জাতীয়ভাবে ৩৪টি শহরে গাড়িমুক্ত দিবস পালিত হয়। পরের বছর ফ্রান্স ও ইতালির ৯০টি শহরে দিবসটি পালনে ব্যাপক সাড়া পড়ে। ২০০১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্বের ৩৩টি দেশের প্রায় ১ হাজার শহরে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এখন প্রতি বছর প্রায় ৪ হাজার শহরে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
গাড়িমুক্ত দিবস পালনের উদ্দেশ্য গাড়িকে রাস্তা থেকে চিরতরে হটিয়ে দেওয়া নয়। মূলত এই দিবস পালনের মধ্য দিয়ে একদিনের জন্যে সাধারণ মানুষকে ব্যক্তিগত গাড়ি পরিহার করে, অর্থাৎ যান্ত্রিক যান ব্যবহার না করে অযান্ত্রিক যান যেমন সাইকেল, রিকশা, ভ্যান, স্বল্প দূরত্বে হেঁটে যাতায়াত করতে সচেতন করা হয়। এর ফলে শুধু যানজট নিরসন নয়, জ্বালানি তেলের সাশ্রয়, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ও বাতাসে কার্বনের মাত্রাও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। অন্যদিকে হাঁটা কিংবা সাইকেল চালানোর ফলে নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
বিশ্বের বহু দেশেই এবং অধিকাংশ রাজধানীতে গাড়িমুক্ত হাঁটার সড়ক যেমন আছে, তেমনি থাকে ফুটপাত। ফুটপাত যেহেতু সড়কেরই অংশ; সেহেতু দখলমুক্ত পরিচ্ছন্ন ফুটপাতকে পথচারীবান্ধব করার দাবি ওঠাও যৌক্তিক। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বয়স্ক মানুষ, শারীরিক প্রতিবন্ধী, নারীদের জন্যেও পথচারীবান্ধব ফুটপাত আবশ্যক; যার প্রয়োজনীয়তা এ দিবসেই প্রতীয়মান হয়ে ওঠে। আর দিবস পালনের মাধ্যমে মানুষ ‘মাত্র একজনের জন্যে একটি গাড়ি’র অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হতে পারে।
সূত্র: সংগৃহীত