ঘটনাবলি
১৯০৮ : হাডসন নদীর নিচ দিয়ে প্রথম টানেল খুলে দেওয়া হয়।
১৯৭২ : বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
জন্ম
১৮৪২ : জার্মান লেখক, কবি ও নাট্যকার কার্ল মে।
১৯০৭ : তুর্কি সাংবাদিক, লেখক ও কবি সাবাহাতিন আলী।
১৯৪৩ : জর্জ হ্যারিসন, বিংশ শতাব্দীর অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন জনপ্রিয় গায়ক এবং গিটারবাদক।
মৃত্যু
১৮৯৯ : রয়টার সংবাদ সংস্থার জনক পল রয়টার।
১৯৫৭ : সুনির্মল বসু, বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও কবি।
২০০৯ : আমেরিকান লেখক ফিলিপ হোসে ফার্মার।
২০১৯ : নিখিল সেন, বাংলাদেশের একজন প্রতিথযশা নাট্যকার ও সংস্কৃতিকর্মী।
জর্জ হ্যারিসন
জর্জ হ্যারিসন ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন জনপ্রিয় গায়ক এবং গিটারিস্ট।বিখ্যাত ব্যান্ড সঙ্গীত দল ‘দ্য বিটলস’-এর চার সদস্যের একজন হিসেবে তিনি বিখ্যাত। আমাদের দেশে তিনি বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। অন্য যেকোনো বিদেশি সঙ্গীতশিল্পীদের তুলনায় জর্জ হ্যারিসনের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান রয়েছে অনন্য উচ্চতায়। এর পেছনের কারণ ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে। সঙ্গীত পরিচালনা, রেকর্ড প্রযোজনা এবং চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রায় সবক্ষেত্রে সমান দক্ষতার ছাপ রেখেছেন তিনি। মূলত লিড গিটারিস্ট হলেও বিটলসের প্রতিটি অ্যালবামেই জর্জ হ্যারিসনের নিজের লেখা ও সুর দেয়া দুয়েকটি একক গান থাকতো; যা ছিল তার প্রতিভার পরিচায়ক।
১৯৭১ সালের কথা। বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলছে। পাক-হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য জর্জ হ্যারিসনকে বেদনাতুর করে তোলে। পপ সঙ্গীতের জনপ্রিয় ইংল্যান্ডের এই শিল্পী ভারতীয় পণ্ডিত রবি শংকরের সঙ্গে দুটি দাতব্য সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন। ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউইয়র্ক শহরের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে এক বেনিফিট সঙ্গীত অনুষ্ঠানের (কনসার্ট ফর বাংলাদেশ) আয়োজন করেন। এই কনসার্ট থেকে সংগৃহীত প্রায় আড়াই লাখ মার্কিন ডলার বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের জন্যে দেয়া হয়েছিল। কনসার্টে জর্জ হ্যারিসন তার নিজের লেখা বিখ্যাত সেই মর্মস্পর্শী ‘বাংলাদেশ’ গান পরিবেশন করেন। কনসার্টের টিকেট, ক্যাসেট থেকে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ ইউনিসেফের ফান্ডে জমা করা হয়।
বিটলস-এর হয়ে সে সময়ের গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- ইফ আই নিডেড সামওয়ান, ট্যাক্সম্যান, হোয়াইল মাই গিটার জেন্টলি উইপস্, হেয়ার কামস্ দ্য সান, সামথিং ইত্যাদি। বিটলস ভেঙে যাবার পরও তার জনপ্রিয়তা কমেনি। ৭০-পরবর্তী সময়ে তার অনেক গান ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। সে সময়ের গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- মাই সুইট লর্ড, গিভ মি পিস অন আর্থ, অল দোজ ইয়ার্স এগো, গট মাই মাইন্ড সেট অন ইউ ইত্যাদি।
জর্জ হ্যারিসন ২০০১ সালে ২৯ নভেম্বর ৫৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত