ঘটনাবলি
১৩৬০ : ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়।
১৮৫৪ : অ্যারোন অ্যালেন রিভলবিং থিয়েটার চেয়ার প্যাটেন্ট করেন।
১৯৩২ : জার্মান বংশোদ্ভুত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন আমেরিকার ভিসা পান।
জন্ম
১৮৩০ : ক্রিশ্চিনা রসেটি, ইংরেজ মহিলা কবি।
১৯০১ : ওয়াল্ট ডিজনি, একজন মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক, কাহিনীকার, নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী ও অ্যানিমেটর।
১৯০১ : প্রমথ ভৌমিক, সাম্যবাদী বিপ্লবী, সাংবাদিক ও কৃষক নেতা।
১৯০১ : ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ, নোবেলজয়ী জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯১১ : প্রণব রায়, প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি।
১৯১৩ : গোপাল ঘোষ, খ্যাতনামা বাঙালি চিত্রশিল্পী।
১৯২৫ : গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, বাংলা আধুনিক ও চলচ্চিত্র সঙ্গীতের বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার।
মৃত্যু
১৯২৬ : ফ্রান্সের বিখ্যাত ধারণাবাদী (ইম্প্রেশনিস্ট) চিত্রশিল্পী ক্লোদ মোনে।
১৯৫১ : খ্যাতিমান ভারতীয় চিত্রশিল্পী এবং লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৯৬১ : প্রখ্যাত বাঙালি লেখক ও অর্থনীতিবিদ ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
১৯৬৩ : বিখ্যাত বাঙালি রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী।
১৯৮৬ : ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধর।
১৯৯৩ : প্রখ্যাত বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার সত্য চৌধুরী।
দিবস
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস।
বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
আজ ৫ ডিসেম্বর। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস। জীবনের সর্বত্র স্বেচ্ছাসেবীদের অবদান সম্পর্কে জনসচেতনতা এবং ঘরে ও বাইরে স্বেচ্ছাসেবায় অধিক সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে উৎসাহ প্রদান এ দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য। বিশ্বব্যাপী দিবসটি উপলক্ষে সভা-সেমিনারসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
স্বেচ্ছায় স্বপ্রণোদিত হয়ে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত হওয়ার জন্যে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এটি সমাজের সব বয়সী সব স্তরের মানুষেরই নৈতিক দায়িত্ব। বিশেষ করে তরুণ যুবাদের ওপর এই দায়িত্বটি বেশি। সাধারণত দেশের জনশক্তির বেশির ভাগই তারুণ্যে ভরা। এদেরকে শক্তিতে পরিণত করার মাধ্যমে প্রত্যেককে একেকজন সেবক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সর্বোপরি দেশের প্রয়োজনে তারা সংগঠিত হয়ে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পারে।
দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবক এই মনোবৃত্তি এখন সারা বিশ্বেই অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে। জাতিসংঘ ৫ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এ দিবসে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর পক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায়, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), জাতিসংঘের সংস্থা, সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং বেসরকারি খাতের সাথে তাদের প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করা, কাজের প্রচারের পাশাপাশি তাদের মূল্যবোধ ভাগ করে নেয়ার এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়।
প্রকৃত অর্থে মানবিক গুনাবলিসম্পন্ন প্রতিটি মানুষই স্বেচ্ছাসেবক। ব্যক্তি, সমাজ বা রাষ্ট্রের কল্যাণে নিজের শ্রম, অর্থ, সময় ব্যয় করার মনমানসিকতা পোষণ করা উচিত প্রতিটি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষেরই। আর মানবজাতির মধ্যে এই ধরনের গুণাবলি যাদের আছে তারা সব মানুষের কাছে যেমন প্রিয় তেমনি প্রিয় সৃষ্টিকর্তার কাছেও। তবে লোক দেখানো পরোপকারী নয়, আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসে আমাদের প্রত্যাশা, সবার মেধা শ্রম নিয়োজিত হোক শতভাগ নিঃস্বার্থ মানব কল্যাণে।
সূত্র: সংগৃহীত