ঘটনাবলি
১৬০৯ : ইউরোপের দ্বিতীয় পাবলিক লাইব্রেরি চালু হয়।
১৭৯৪ : হেরাল্ড অব রুটল্যান্ডের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
১৯৭২ : বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ঘানা।
জন্ম
১৯০০ : উদয়শঙ্কর, ভারতের খ্যাতিমান নৃত্যশিল্পী, নৃত্যপরিকল্পক ও অভিনেতা।
১৯১৩ : চিন্মোহন সেহানবীশ, বাঙালি বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক ও ইতিহাসবিদ।
মৃত্যু
১৯০৩ : খ্যাতনামা ব্রিটিশ চিন্তাবিদ ও দার্শনিক হার্বার্ট স্পেন্সার।
১৯৮৬ : বাংলাদেশি সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ আ. ন. ম. বজলুর রশীদ।
আ ন ম বজলুর রশীদ
আ ন ম বজলুর রশীদ। পুরো নাম আবু নঈম মুহম্মদ বজলুর রশীদ। তিনি ছিলেন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, কবি, ঔপন্যাসিক। তাঁর রচিত ‘আমাদের দেশ’ ছড়াটি শিশুদের অনেক প্রিয়।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯১১ সালের ৮ মে ফরিদপুর শহরে। পৈতৃক নিবাস কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মেটন গ্রামে। মায়ের নাম নছিমুননেসা। বাবা হারুন-অর-রশীদ ছিলেন আইনজীবী।
প্রাথমিক শিক্ষা ফরিদপুর জি.টি স্কুলে। এরপর ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, রাজেন্দ্র কলেজ থেকে বিএ এবং ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে ১৯৩৮ সালে বিটি পাস করেন। দীর্ঘকাল পর প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলায় এমএ সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনের শুরু ১৯৩৪ সালে ঢাকা সরকারি মুসলিম হাইস্কুলে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে। তিনি ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন এবং সেখান থেকেই ১৯৭২ সালে অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপনাও করেন।
বজলুর রশীদ বিভিন্ন আঙ্গিকে সাহিত্যচর্চা করেন। বাংলাদেশের সমাজ ও প্রকৃতি ছিল তাঁর রচনার প্রধান বিষয়। প্রকাশিত গ্রন্থ প্রায় ৩৫টি। প্রথম উপন্যাস ‘পথের ডাল’ (১৯৪৯), নাটক ‘ঝড়ের পাখি’ (১৯৫৯)। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য রচনাবলির মধ্যে কাব্য পান্থবীণা, মরুসূর্য, শীতে বসন্তে, রং ও রেখা, এক ঝাঁক পাখি, মৌসুমী মন, উত্তরফাল্গুনী, শিলা ও শৈলী, রূপান্তর; ভ্রমণকাহিনী পথ বেঁধে দিল, দুই সাগরের দেশে, পথ ও পৃথিবী, ওগো বিদেশিনীসহ রয়েছে নানা প্রবন্ধ।
সাহিত্যিক অবদানের জন্যে ১৯৬৯ সালে তিনি পাকিস্তান সরকারের তমঘা-ই-ইমতিয়াজ উপাধি এবং ১৯৭৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
আ ন ম বজলুর রশীদ ১৯৮৬ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত