1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসে জুলাই ১৫ বাংলাদেশি স্থপতি মাজহারুল ইসলাম এর মৃত্যুদিন

  • সময় বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১
  • ১১০৭ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশি স্থপতি মাজহারুল ইসলাম এর মৃত্যুদিন

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ১৯৬তম (অধিবর্ষে ১৯৭তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি

১৯৭৩ : প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনী পাস হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে ৪৭ অনুচ্ছেদে দুটি নতুন উপধারা সংযোজন করা হয়। এ সংশোধনীর মূল কারণ ছিল গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতা বিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও অন্যান্য অপরাধের জন্যে আইন পাস ও তা কার্যকর করা।
২০১০ : ভারত সরকার ভারতীয় টাকার প্রতীক (₹) সর্বসমক্ষে প্রকাশ করে।

জন্ম

১৮২০ : অক্ষয়কুমার দত্ত, বাংলা সাহিত্যের প্রবন্ধকার।
১৮৬১ : শরৎকুমারী চৌধুরাণী, বাঙালি লেখিকা।
১৯২৫ : বাদল সরকার, বাঙালি নাট্যব্যক্তিত্ব।
১৯৪১ : রশীদ হায়দার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশি লেখক, কথাসাহিত্যিক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, নজরুল ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক।

মৃত্যু

১৮৭৮ : সমাজ সংস্কারক রাজা দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়
১৯০৪ : রুশ চিকিৎসক, ছোটগল্পকার এবং নাট্যকার আন্তন পাভলোভিচ চেখভ
২০১০ : বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা বুলবুল আহমেদ
২০১২ : বাংলাদেশি স্থপতি মাজহারুল ইসলাম

স্থপতি মাজহারুল ইসলাম

মাজহারুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথিতযশা স্থপতি। তিনি বাংলাদেশের স্থাপত্য পেশা চর্চার পথিকৃৎ। তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণসহ নানা সময়ে বিভিন্ন প্রগতিশীল আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থেকেছেন।

জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুর গ্রামে। বাবা ওমদাতুল ইসলাম ছিলেন কৃষ্ণনগর কলেজের অঙ্কের শিক্ষক। কৃষ্ণনগর কলেজ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর বাবার বদলির সুবাদে রাজশাহীতে যান। রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজ থেকে যথাক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর ওই কলেজ থেকেই পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ স্নাতক পাস করেন। এরপর শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে প্রকৌশল বিদ্যা পড়া শেষ করেন ১৯৪৬ সালে। দেশ ভাগের পর ১৯৪৭ সালে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৫০ সালে যুক্তরাষ্ট্র যান এবং অরিগন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যের পাঠ নিয়ে আড়াই বছর পর দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে একনাগারে ছয় মাসের পরিশ্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট ও লাইব্রেরি ভবনের ডিজাইন করেন। এরপর ১৯৫৬ সালে বৃত্তি নিয়ে তিনি ট্রপিক্যাল আর্কিটেকচার পড়তে লন্ডনের এএ স্কুল অব আর্কিটেকচার-এ যান। ১৯৬০ সালে ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে পল রুডলফ-এর অধীনে মাস্টার্স করতে যান।

কর্মজীবন শুরু করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের কনস্ট্রাকশন, বিল্ডিং অ্যান্ড ইরিগেশনে। ১৯৬৪ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সঙ্গে ‘বাস্তুকলাবিদ’ নামে একটি স্থাপত্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য অনুষদ চালু করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এখানে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেছেন।

গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে অবদান

দেশের স্থাপনায় মাজহারুল ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট ও লাইব্রেরি ভবন, খিলগাঁও রেলওয়ে পুনর্বাসন প্রকল্প, নতুন রাঙামাটি শহর পরিকল্পনা, আজিমপুরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য আবাসন প্রকল্প, ঢাকায় বিসিএসআইআর লাইব্রেরি ভবন, ঢাকার নিপা ভবন, মতিঝিলে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও জীবন বীমা ভবন, রাজশাহী, বগুড়া, পাাবনা, সিলেট ও বরিশালের জন্যে পাঁচটি পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট, ঢাকায় সড়ক গবেষণা পরীক্ষাগার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টারপ্ল্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবন, রূপপুরে আণবিক শক্তি কমিশনের আবাসন প্রকল্প, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টারপ্ল্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবন, জয়পুরহাট কয়লা ও সিমেন্ট প্রকল্প, শেরেবাংলা নগরে জাতীয় গ্রন্থাগার ও জাতীয় আর্কাইভ ভবন, ঢাকায় বিশ্বব্যাংক অফিস ভবন, ও বিশ তলা ‘গার্ডেন সিটি’ প্রকল্প ইত্যাদি।

সম্মাননা

স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার।
আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট এর জাতীয় সম্মেলনে সম্মানিত ফেলোশিপ অর্জন।
আগা খান পুরস্কারের সম্মানিত বিচারকের দায়িত্ব পালন।
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট-এর প্রথম স্বর্ণপদক অর্জন।
ভারতের জে কে সিমেন্ট আয়োজিত স্থাপত্যশিল্পে শ্রেষ্ঠ অবদানের জন্যে ‘গ্র্যান্ডমাস্টার অ্যাওয়ার্ড’।

মাজহারুল ইসলাম স্থপতি ইনস্টিটিউটের প্রথম সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণসহ নানা সময়ে বিভিন্ন প্রগতিশীল আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকা প্রথিতযশা এই স্থপতি ২০১২ সালের ১৫ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন

 

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com