[মাওলা আলীর (আঃ) একক মর্যাদা ধারাবাহিক পর্বঃ (২)
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وإذ أخذ ربك من بني آدم من ظهورهم ذريتهم وأشهدهم علی أنغسهم ألست بربكم قالوا بلی شهدنا أن تقولوا يوم القيامة إنا
كنا عن هذا غافلين۞
“স্মরণ করুন! যখন আপনার রব বনী আদমের পৃষ্টদেশ থেকে বের করলেন তাদের সন্তানদেরকে নিজের উপর তাদেরকে প্রতিজ্ঞা করালেন, `আমি কি তোমাদের প্রভু নই ? তারা বলল, অবশ্যই আমরা সাক্ষী থাকলাম।` আবার না কিয়ামতের দিন বলতে শুরু কর যে, এ বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না।
(সূরা আরাফ,–১৭২)
উক্ত আয়াতের ব্যাপারে ইমাম ফিরদাউস একটি হাদিস উপস্থাপন করেছেন,
عن حذيفة بن اليمان قال قال رسول الله ﷺ لو علم الناس متی سمي علی أمير المؤمنين ما أنكروا فضله سمي أمير المؤمنين وآدم بين الروح والجسد قال الله عزوجل (وإذ أخذ ربك من بني أدم من ظهورهم ذريتهم وأشهدهم علی أنفسهم ألست بربكم قالت الملا ئكة بلی) قال تبارك وتعالی أنا ربكم ومحمد نبيكم وعلي أميركم،
অর্থাৎ হযরত হুজায়ফা ইবনে ইয়ামেন (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ {ﷺ} বলেন, লোকে যদি জানে যে,হযরত আলী কবে থেকে আমিরুল মুমিনীন তাহলে তারা আলীর গুণাবলীর প্রতি অস্বীকৃতি জানাবে না।
আলী যখন আমিরুল মুমিনীন হলেন, তখন হযরত আদম (আঃ) রূহ ও দেহের মধ্যে ছিলেন।
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ` যখন আল্লাহ তায়ালা আদম সন্তানদের মধ্য থেকে সমস্ত আত্মাকে বের করালো এবং জিজ্ঞাসা করলো, আমি কি তোমাদের প্রভু নই? তখন ফেরেশতারা বললো, অবশ্যই। তারপর আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি তোমাদের প্রভু, মুহাম্মদ {ﷺ} তোমাদের নবী, এবং আলী (আঃ) তোমাদের আমীর।
ইমাম দায়লামী : মুসনাদে ফিরদাউস, ১/৩৪১,হা:৫০৬৬
উক্ত আয়াতের আলোকে ইমাম কানদুজি উল্লেখ করেন,
وعن أبي هريرة قال:قيل: يارسول الله متی وجبت لك النبوة؟ قال: قبل أن يخلق الله آدم ونفخ الروح فيه. وقال:(وإذ أخذ ربك من بني آدم من ظهورهم ذريتهم وأشهدهم علی أنفسهم ألست بربكم قالت الأرواح بلی).قال الله تعالی: أن ربكم، ومحمد نبيكم، وعلي أميركم .
অর্থাৎ ` আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কবে হতে নবী? রাসূলুল্লাহ {ﷺ} বলেন, হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করে এবং তার ভেতরে রূহ ফুৎকার করার পূর্বেই আমি নবী।
তার পর তিনি, আয়াত তেলাওয়াত করেন, যার অর্থ হলো যখন আল্লাহ তায়ালা আদম সন্তানদের মধ্য থেকে সমস্ত আত্মাকে বের করা হলো, তাদের উপর সাক্ষী করা হলো এবং জিজ্ঞাসা করা হলো, আমি কি তোমাদের প্রভু নই? সমস্ত রূহ বললো, অবশ্যই।
তারপর আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি তোমাদের প্রভু, মুহাম্মদ ﴾ﷺ﴿তোমাদের নবী এবং আলী (আঃ) তোমাদের আমীর।
ইমাম কানদুজি : ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাহ, ৪/২২ পৃ
উপরোক্ত হাদিস গুলি থেকে প্রমাণিত হলো। নবী আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করার আগেই, মাওলা আলী (আঃ) কে সমস্ত জ্বিন ইনসান ও ফেরেশতাদের আমীর বানিয়ে দিলেন।
আর ঐ আলীকে (আ.) এজিদ পন্হি মোল্লারা সাধারণ এক জন সাহাবীর কাতারে নিয়ে আসতে চায় ।
আল্লাহ পাক যেন তাদের কে হেদায়েত দান করেন। আমিন!
এই পোস্টটি কে শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
যেকোনো আহলে বায়াত (সাঃআঃ) এর প্রেমিক বিনা অনুমতি পোস্টেটি কপি করার পণ্য অধিকার রাখে কিন্তু খবরদার এডিট করবেন না।
শাহ সুফি আহমেদ হোসাইন (বেলায়েতের পাগলা)