বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও কবি সুনির্মল বসু এর জন্মদিন
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২০১তম (অধিবর্ষে ২০২তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
১৯৪৭ : মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনের সম্পাদনায় বাংলায় মুসলিম নারীদের সচিত্র সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘বেগম’ প্রকাশিত।
১৯৬৮ : স্পেশাল অলিম্পিক প্রতিষ্ঠা পায়।
১৯৭৬ : মার্কিন নভোযান ভাইকিং মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করে।
১৯৯৬ : ঢাকা নগর জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়।
১৮০৪ : রিচার্ড ওয়েন, ইংরেজ জীববিজ্ঞানী, শারীরস্থানবিৎ ও জীবাশ্মবিদ।
১৮৬৪ : এরিক এক্সেল কারলফেল্ডট, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ কবি।
১৮৯৭ : টাডেউস রিচস্টেইন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পোলিশ রসায়নবিদ।
১৯০২ : সুনির্মল বসু, বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও কবি।
১৯১৯ : এডমন্ড হিলারি, নিউজিল্যান্ডের একজন পর্বতারোহী এবং অভিযাত্রী।
১৯৫০ : নাসিরুদ্দিন শাহ্, ভারতীয় চলচ্চিত্র তারকা অভিনেতা।
১৯২০ : উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের পত্নী ও সাধনসঙ্গিনী এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সংঘজননী শ্রীশ্রীমা সারদা দেবী।
১৯৩৭ : নোবেলজয়ী ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী গুলিয়েলমো মার্কোনি।
১৯৬৫ : বাঙালি ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী ও ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা বটুকেশ্বর দত্ত।
১৯৭২ : বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী গীতা দত্ত।
১৯৭৩ : চীনা মার্শাল আর্ট শিল্পী, শিক্ষক, অভিনেতা ব্রুস লি।
১৯৭৪ : প্রথিতযশা সঙ্গীতশিল্পী, প্রসিদ্ধ সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক কমল দাশগুপ্ত।
সুনির্মল বসু ছিলেন একজন বাঙালি কবি ও শিশুসাহিত্যিক। প্রধানত সরস শিশু সাহিত্য রচনাকেই তিনি সাহিত্যের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। কবিতা রচনা ছাড়াও কিশোর বয়স থেকে চিত্রাঙ্কনেও দক্ষ ছিলেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯০২ সালের ২০ জুলাই বিহারের গিরিডি নামক স্থানে। তার পৈতৃক নিবাস ছিল ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের মালখানগর। সাহিত্যিক ও সাংবাদিক গিরিশচন্দ্র বসু ছিলেন তার পিতামহ এবং প্রখ্যাত বিপ্লবী ও সাহিত্যিক মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা ছিলেন তার মাতামহ।
বাবার কর্মস্থল পাটনার গিরিডি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতার সেন্ট পলস কলেজে ভর্তি হন, কিন্তু গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে কলেজ ত্যাগ করেন।
কিশোর বয়স থেকে কবিতা লেখা ও ছবি আঁকার প্রতি ঝোঁক ছিল। কিছুদিন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আর্ট কলেজে ছবি আঁকা শেখেন। প্রবাসী পত্রিকায় তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। তিনি কবিতা, ছড়া, গল্প, উপন্যাস, রূপকথা, ভ্রমণকাহিনী, কৌতুক নাটক ইত্যাদি মাধ্যমে শিশু-কিশোর উপযোগী সাহিত্য রচনা করেন।
সমকালের একমাত্র শিশুতোষ পাক্ষিক পত্রিকা কিশোর এশিয়ার পরিচালক ছিলেন। তিনি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের শিশু-সাহিত্য শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো: হাওয়ার দোলা, ছানাবড়া, বেড়ে মজা, হৈ চৈ, হুলুস্থূল, কথাশেখা, পাততাড়ি, ছন্দের টুংটাং, আনন্দ নাড়ু, শহুরে মামা, কিপটে ঠাকুরদা, টুনটুনির গান, গুজবের জন্ম, বীর শিকারী, লালন ফকিরের ভিটে, পাতাবাহার, ইন্তিবিন্তির আসর, পাহাড়ে জঙ্গলে ইত্যাদি।
ছোটদের চয়নিকা ও ছোটদের গল্প সঞ্চয়ন তার সম্পাদিত দুটি উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ গ্রন্থ। তার রচিত আত্মজীবনী জীবন খাতার কয়েক পাতার প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে।
সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৫৬ সালে তিনি ‘ভুবনেশ্বরী’ পদক লাভ করেন। পরের বছর ১৯৫৭ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত