গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৫৪তম (অধিবর্ষে ২৫৫তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
ঘটনাবলি
১৮৫৩ : প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ চালু হয়।
১৮৭৫ : সংবাদপত্রে প্রথম কার্টুন স্ট্রিপ প্রকাশিত হয়।
১৮৯৩ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে প্রথম বিশ্ব মহা ধর্ম সম্মেলনে ভারতবর্ষের প্রতিনিধি হয়ে স্বামী বিবেকানন্দ তার ঐতিহাসিক বক্তৃতাটি দিয়েছিলেন।
১৯০৯ : ম্যাক্স উলফ হ্যালির ধূমকেতু নতুন করে আবিষ্কার করেন।
২০০৭ : প্রথম টুয়েন্টি ২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হয়।
জন্ম
১৮৬২ : ও হেনরি, প্রখ্যাত মার্কিন ছোট গল্পকার।
১৮৭৭ : জেমস জিনস, প্রখ্যাত ইংরেজ প্রাবন্ধিক ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক।
১৮৮৫ : ডি.এইচ লরেন্স, ইংরেজ সাহিত্যিক।
১৮৯৫ : বিনোবা ভাবে, ভারতে অহিংসা ও মানবাধিকারের প্রবক্তা ও সমর্থক।
১৯০৭ : কবি সুফী মোতাহার হোসেন।
১৯০৮ : বিনয় বসু, ব্রিটিশ বিরোধী বাঙালি বিপ্লবী।
১৯২৪ : তাপস সেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় বাঙালি আলোকসম্পাত শিল্পী।
১৯৫০ : শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী।
১৯৫৩ : শহীদুল জহির, বাংলাদেশি গল্পকার ও ঔপন্যাসিক।
১৯৬৯ : কনকচাঁপা, বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী।
১৯৭০ : কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ভারতীয় বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লোকসঙ্গীত গবেষক।
মৃত্যু
১৯৪৮ : পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান মুসলিম নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
১৯৫৮ : বিখ্যাত কানাডীয় কবি রবার্ট সার্ভিস।
১৯৮৭ : প্রখ্যাত হিন্দি ভাষার কবি মহাদেবী বর্মা।
কবি সুফী মোতাহার হোসেন
সুফী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন বাঙালি কবি। সনেট রচয়িতা হিসেবেই তিনি খ্যাত ছিলেন। কাজী নজরুল ইসলাম ও মোহিতলাল মজুমদারের সাথে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতার ফলে তিনি কাব্যচর্চায় অনুপ্রেরণা লাভ করেন। মূলত সনেটেই তার কবি প্রতিভার স্বতঃস্ফূর্ততা প্রকাশ পেয়েছিল।
জন্মগ্রইতিহাসে সেপ্টেম্বর ১১
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৫৪তম (অধিবর্ষে ২৫৫তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
ঘটনাবলি
১৮৫৩ : প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ চালু হয়।
১৮৭৫ : সংবাদপত্রে প্রথম কার্টুন স্ট্রিপ প্রকাশিত হয়।
১৮৯৩ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে প্রথম বিশ্ব মহা ধর্ম সম্মেলনে ভারতবর্ষের প্রতিনিধি হয়ে স্বামী বিবেকানন্দ তার ঐতিহাসিক বক্তৃতাটি দিয়েছিলেন।
১৯০৯ : ম্যাক্স উলফ হ্যালির ধূমকেতু নতুন করে আবিষ্কার করেন।
২০০৭ : প্রথম টুয়েন্টি ২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হয়।
জন্ম
১৮৬২ : ও হেনরি, প্রখ্যাত মার্কিন ছোট গল্পকার।
১৮৭৭ : জেমস জিনস, প্রখ্যাত ইংরেজ প্রাবন্ধিক ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক।
১৮৮৫ : ডি.এইচ লরেন্স, ইংরেজ সাহিত্যিক।
১৮৯৫ : বিনোবা ভাবে, ভারতে অহিংসা ও মানবাধিকারের প্রবক্তা ও সমর্থক।
১৯০৭ : কবি সুফী মোতাহার হোসেন।
১৯০৮ : বিনয় বসু, ব্রিটিশ বিরোধী বাঙালি বিপ্লবী।
১৯২৪ : তাপস সেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় বাঙালি আলোকসম্পাত শিল্পী।
১৯৫০ : শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী।
১৯৫৩ : শহীদুল জহির, বাংলাদেশি গল্পকার ও ঔপন্যাসিক।
১৯৬৯ : কনকচাঁপা, বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী।
১৯৭০ : কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ভারতীয় বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লোকসঙ্গীত গবেষক।
মৃত্যু
১৯৪৮ : পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান মুসলিম নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
১৯৫৮ : বিখ্যাত কানাডীয় কবি রবার্ট সার্ভিস।
১৯৮৭ : প্রখ্যাত হিন্দি ভাষার কবি মহাদেবী বর্মা।
কবি সুফী মোতাহার হোসেন
সুফী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন বাঙালি কবি। সনেট রচয়িতা হিসেবেই তিনি খ্যাত ছিলেন। কাজী নজরুল ইসলাম ও মোহিতলাল মজুমদারের সাথে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতার ফলে তিনি কাব্যচর্চায় অনুপ্রেরণা লাভ করেন। মূলত সনেটেই তার কবি প্রতিভার স্বতঃস্ফূর্ততা প্রকাশ পেয়েছিল।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার ভবানন্দপুর গ্রামে। বাবা মোহাম্মদ হাশেম পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন। মোতাহার হোসেন ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স, জগন্নাথ কলেজ থেকে এফ.এ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ (১৯৩১) পাস করেন। মেধাবী মোতাহার হোসেন সব পরীক্ষায়ই প্রথম বিভাগে পাস করেন।
পড়াশোনা শেষ করে ফরিদপুর জজকোর্টে চাকরি নেন। বছর দু-এক পরে নিউরেস্থিনিয়া ও ডিসপেপশিয়া রোগে আক্রান্ত হলে প্রায় ১২ বছর শয্যাশায়ী থাকতে হয়। রোগমুক্তির পর তিনি শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন এবং ফরিদপুর ঈশান ইনস্টিটিউশনে ২০ বছর শিক্ষকতা করেন।
সনেট সংকলন (১৯৬৫) তার প্রথম কাব্য; পরে সনেট সঞ্চয়ন (১৯৬৬) ও সনেটমালা (১৯৭০) প্রকাশিত হয়। প্রেম ও প্রকৃতি তার সনেটের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। বাংলা কাব্য পরিচয় পাঠ্যপুস্তকে তার ‘দিনান্তে’ নামক সনেট স্থান পায়।
তিনি ১৯৬৫ সালে ‘আদমজী পুরস্কার’, ১৯৭০ সালে ‘প্রেসিডেন্ট পুরস্কার’ এবং ১৯৭৪ সালে ‘বাংলা একাডেমী পুরস্কার’ লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি ঢাকাতে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : সংগৃহীতহণ করেন ১৯০৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার ভবানন্দপুর গ্রামে। বাবা মোহাম্মদ হাশেম পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন। মোতাহার হোসেন ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স, জগন্নাথ কলেজ থেকে এফ.এ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ (১৯৩১) পাস করেন। মেধাবী মোতাহার হোসেন সব পরীক্ষায়ই প্রথম বিভাগে পাস করেন।
পড়াশোনা শেষ করে ফরিদপুর জজকোর্টে চাকরি নেন। বছর দু-এক পরে নিউরেস্থিনিয়া ও ডিসপেপশিয়া রোগে আক্রান্ত হলে প্রায় ১২ বছর শয্যাশায়ী থাকতে হয়। রোগমুক্তির পর তিনি শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন এবং ফরিদপুর ঈশান ইনস্টিটিউশনে ২০ বছর শিক্ষকতা করেন।
সনেট সংকলন (১৯৬৫) তার প্রথম কাব্য; পরে সনেট সঞ্চয়ন (১৯৬৬) ও সনেটমালা (১৯৭০) প্রকাশিত হয়। প্রেম ও প্রকৃতি তার সনেটের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। বাংলা কাব্য পরিচয় পাঠ্যপুস্তকে তার ‘দিনান্তে’ নামক সনেট স্থান পায়।
তিনি ১৯৬৫ সালে ‘আদমজী পুরস্কার’, ১৯৭০ সালে ‘প্রেসিডেন্ট পুরস্কার’ এবং ১৯৭৪ সালে ‘বাংলা একাডেমী পুরস্কার’ লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি ঢাকাতে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : সংগৃহীত