১৯০৮ : বুলগেরিয়া উসমানীয় সম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৬০ : দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৩২ : শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী।
১৯৩৯ : জুনকো তাবেই, বিশ্বের প্রথম এভারেস্ট জয়ী নারী।
১৯৫৯ : সল পার্লমাটার, নোবেলজয়ী মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী।
১৮৯১ : ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন বাঙালি লেখক তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়।
১৯৫৬ : নোবেলজয়ী ইংরেজ রসায়নবিদ ফ্রেডেরিক সডি।
১৯৭০ : ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৭৪ : সাম্যবাদী বাঙালি বিপ্লবী, লেখক ও চিন্তাবিদ সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৯৭৯ : বাঙালি শিল্পী এবং আধ্যাত্মিক বিষয়ক লেখক প্রমোদকুমার চট্টোপাধ্যায়।
বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস।
শহীদ ডা. মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ছিলেন একজন বাংলাদেশি চিকিৎসক এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বুদ্ধিজীবী। জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলার ছাতিয়ানী গ্রামে। বাবা আফসার উদ্দিন আহমেদ। মা সুফিয়া খাতুন। পাবনা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ঢাকা কলেজ থেকে আইএসসি ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে থেকে ১৯৫৫ সালে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মেধাবী ছাত্র হিসেবে তিনি এমবিবিএস চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্বর্ণপদক’ লাভ করেন।
১৯৬০ সালে ডা. রাব্বী যুক্তরাজ্যের এডিনবরা থেকে এমআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন। তিন বছর পর দেশে ফিরে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৮ সালে তিনি একই সঙ্গে মেডিসিন ও হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক হন। শুধু ভালো ছাত্র, নির্ভরযোগ্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বা ভালো শিক্ষকই নন, একজন ভালো মানুষ হিসেবেও তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
ফজলে রাব্বী গান ও কবিতা পছন্দ করতেন। ছবি তোলার দিকেও ঝোঁক ছিল। আগ্রহ ছিল লেখালেখির প্রতিও। অধ্যাপনা ও চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি গবেষণার কাজও করতেন। ‘ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল’ ও ‘ল্যানসেট’ সাময়িকীতে তার প্রচুর গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এসব গবেষণাপত্রের মধ্যে রয়েছে ‘A Case of Congenital Hyperbilirubinaemia (Dubin-Johnson Syndrome) in Pakistan’ এবং ‘Spirometry in Tropical Pulmonary Eosinophilia।
মানুষের অধিকারের প্রশ্নে সোচ্চার ডা. রাব্বী ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই তিনি অসামান্য ভূমিকা পালন করেন। তার বাসায় মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই আসতেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র এক দিন আগে ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তানি বাহিনীর কয়েকজন সেনাসহ রাজাকার-আলবদররা ডা. ফজলে রাব্বীকে তার সিদ্ধেশ্বরীর বাসভবন থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৮ ডিসেম্বর রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে শহীদ ডা. ফজলে রাব্বীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৯৭২ সালে তার নামে ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি হলের নামকরণ করা হয় শহীদ ডাঃ ফজলে রাব্বি হল।
সূত্র : সংগৃহীত
নতুন মন্তব্য