আসলে এবারের ঈদুল আজহা আমাদের জীবনে অনন্য একটি সুযোগ এনে দিয়েছে। কারণ আমরা এবারের কোরবানিতে সরাসরি অসহায় ও অন্নহীন মানুষদের পাশে দাঁড়াবার সুযোগ পাচ্ছি।
একবার এক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ (স) কে প্রশ্ন করলেন যে, ইসলামে কোন কাজটি শ্রেষ্ঠ?
জবাবে রসুলুল্লাহ (স) বললেন, ইসলামে সবচেয়ে ভালো কাজ হচ্ছে ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাবার খাওয়ানো।[বুখারী হা/১২; মুসলিম হা/৩৯; মিশকাত হা/৪৬২৯]
তাই ক্ষুধার্তকে খাদ্য দানকারী ব্যক্তি সর্বোত্তম আমলকারী বলে গণ্য হবেন।
যেহেতু আমরা আগে থেকেই কোরবানির নিয়ত করে রেখেছি, তাই এবারের কোরবানিতে তার মাধ্যমে অন্নহীন, দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসাটা আমাদের জন্যে আরও সহজ।
তাই আমরা চেষ্টা করব যে কোরবানির একাংশ বা কোরবানি ঈদের অন্যান্য খরচ বাঁচিয়ে যেন করোনার্তদের পাশে দাঁড়াতে পারি। ফাউন্ডেশনের অনলাইন ডোনেশন অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই আপনি রিলিফ ফান্ডে এই দান করতে পারেন।
আসলে যদি আমরা দুর্গত মানুষের প্রতি সমমর্মিতা অনুভব করি; লকডাউনের ফলে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের কষ্টকে অনুভব করি, যাদের উপার্জন নষ্ট হয়ে গেছে; যারা মান-সম্মানের ভয়ে কারো কাছে হাত পাততে পারেন না তাদের প্রয়োজনটাকে যদি অনুভব করি এবং ভয়াবহ বন্যায় যাদের অবস্থা হয়েছে আরো সঙ্গীন তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো সমমর্মিতা অনুভব করি, তাহলেই আমরা অন্তর থেকে বুঝতে পারব যে করোনাকালে কোরবানির এই সময়টা আমাদের সেই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াবার কতটা প্রয়োজন।
স্রষ্টা আমাদেরকে সবাইকে কবুল করুন।