1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৫ অপরাহ্ন

করোনা-আতঙ্ক থেকে মুক্ত হোন : আমরা আপনার পাশে আছি

  • সময় সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১
  • ১০৪৮ বার দেখা হয়েছে

১. কারো মধ্যে ভয় বিস্তার করতে গেলে, আতঙ্ক ছড়াতে গেলে এটাই হচ্ছে পলিসি যে কি না কি!

২. সাধারণত আতঙ্ক ছড়ায় বেশি তারা যারা এই আতঙ্ক প্রচার করে লাভবান হতে পারে। যাদের লাভ যত বেশি, তারা ছড়ায় তত বেশি।

৩. এখন একটাই আতঙ্ক -কেউ একটা হাঁচি দিল, একটু কাশি দিল; ওমনি সবাই ওরে বাবা কাশি দিয়েছে! তার থেকে সাথে সাথে অন্তত দুই/তিন ফিট দূরে সরে যাই!

৪. হাঁচি-কাশি দেয়ার শুদ্ধাচার রয়েছে। এই শুদ্ধাচার যদি আমরা পালন করতাম তাহলে আমাদের আতঙ্ক কম হতো। তার মধ্যে একটি হচ্ছে রুমাল রাখা। করোনা থেকে বাঁচার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে রুমাল।

৫. ১০ বছর আগে সারা পৃথিবীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিল সোয়াইন ফ্লু-র। এটা প্রথম মেক্সিকোতে শনাক্ত হয়। রোগী যখন বাড়তে শুরু করল, মেক্সিকো সরকার তখন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় স্যাম্পল পাঠাল। সেখানকার বিজ্ঞানীরা সাথে সাথে ঘোষণা করলেন- এটা খুব এগ্রেসিভ ভাইরাস। এর নামকরণ করা হলো H1N1।

কিছুদিন পরই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্যানেল বিশেষজ্ঞরা বললেন যে, পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবে এবং কয়েক মিলিয়ন মানুষ মারা যাবে।

সারাপৃথিবী জুড়ে প্যানিক। স্কুল কলেজ বন্ধ, ফ্লাইট বন্ধ এবং কয়েক সপ্তাহে মেক্সিকোর আর্থিক ক্ষতি হলো সোয়া দুই বিলিয়ন ডলার।

একটু হাঁচি-কাশি দিলেই তাকে হাসপাতাল এবং হাসপাতালের যা ধারণ ক্ষমতা, তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি রোগী ভর্তি হলো। প্রতি সিটের বিপরীতে ১০ জন করে।

ডব্লিউএইচও গাইডলাইন জারি করল-এটা মিডিয়া মারফত প্রচার করতে হবে এবং বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন কিনতে হবে।

ইংল্যান্ড সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা প্রফেসর এন্ডারসন বললেন যে, এই মহামারি থেকে বাঁচার একটাই উপায়-ট্যামিফ্লু পিল খাওয়া। না হলে লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে।

আতঙ্কিত হয়ে সব এন্টিফ্লু ওষুধ এবং ভ্যাকসিন অর্ডার করতে লাগল। ১০ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ এবং ভ্যাকসিন বিক্রি হয়ে গেল।

পরে দেখা গেল ২০০৮ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে যত লোক মারা গেছে, ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুতে মারা গেছে তার চেয়েও কম লোক। এবং সোয়াইনফ্লুতে যারা মারা গেছে, তাদের অনেকেরই আগে থেকে ক্যান্সার ছিল, ফুসফুসের অসুখ ছিল, এইডস ছিল, মারাত্মক স্থূলতা ছিল, শ্বাসকষ্ট ছিল, অ্যাজমা ছিল।

পরে যখন ইউরোপিয়ান কাউন্সিল পুরো বিষয়টাকে তদন্তের নির্দেশ দিল যে WHO কেন এত আতঙ্ক ছড়ালো?

তখন দেখা গেল যে সবচেয়ে বেশি যে ওষুধ বিক্রি হয়েছে ট্যামিফ্লু, এর প্রস্তুতকারক যে সুইস কোম্পানি ‘হফম্যান লা রশ’ এই ওষুধ প্রস্তুতকারক এবং ওষুধের আবার মূল উপাদান প্রস্তুতকারক হচ্ছে গ্ল্যাক্সো স্মিথক্ল্যাইন।

দেখা গেল- হু বিশেষজ্ঞদের যে প্যানেল এটাকে মহামারি আকারে ঘোষণা করেছিল, তার একাধিক সদস্য হফম্যান লা রশ এবং জিএসকে- এই কোম্পানিতে কাজ করতেন।

এবং বৃটেন সরকারের যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ছিলেন, প্রতি বছর জিএসকে থেকে ১,১৬,০০০ হাজার পাউন্ড সম্মানী পেতেন।

মার্কিন সরকারের যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ডিভিশনের প্রধান, ন্যান্সি কক্স, তিনি হফম্যান লা রশ এবং জিএসকে থেকে গবেষণা করার জন্যে নিয়মিত অনুদান পেতেন।

টিকা, ওষুধ বিক্রি শেষ। পৃথিবীতে সোয়াইন ফ্লু আতঙ্ক বলেও আর কোনোকিছু দ্বিতীয়বার আসে নাই।

৬. এবারও এমনভাবে আতঙ্ক প্রচার করা হচ্ছে যে ট্রাম্পের মতন প্রেসিডেন্টও নিজেকে বলেছেন, “আমি খুব অসহায়”। এত অসহায় যে জার্মান কোম্পানি থেকে শুধুমাত্র আমেরিকানরা টিকা তৈরি করবে- এই লাইসেন্স নেয়ার জন্যে এক বিলিয়ন ডলার নাকি অফার করেছেন!

বলা হচ্ছে, ইংল্যান্ডে পাঁচ লক্ষ আর আমেরিকায় ২২ লক্ষলোক মারা যাবে!

তার মানে আতঙ্ক কীভাবে প্রচার করা হয়!

৭. আসলে আতঙ্কিত করারও একটা গ্রামার আছে। এই গ্রামারটা যিনি বুঝতে পারবেন, তার আতঙ্কিত হওয়ার কিছু থাকবে না। যেরকম আল্লাহর রহমতে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিচ্ছু নাই।

৮. আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি আমাদের যে পবিত্র কাজ, এই কাজ আমরা অব্যাহত রেখেছি। ২৮ বছর ধরে আমরা আমাদের প্রোগ্রাম সবসময় স্ট্যান্ডবাই করেছি। তবে আমরা সবসময়ই যেহেতু দেশের আইন, নিয়ম এবং সরকারের নিয়মনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল সেহেতু নির্দেশনা মেনেই আমরা আমাদের প্রোগ্রামকে স্থগিত করেছি।

৯. ২৮ বছরে কোয়ান্টাম কী করেছে? হতাশ, বিভ্রান্ত, হতোদ্যম, নিরাশ, আতঙ্কগ্রস্ত- মানুষদের বিশ্বাসের শক্তিতে উজ্জীবিত করেছে। সবরকমের ভয়ভীতি কাটিয়ে সে যেন নিজের শক্তিকে বিকশিত করতে পারে সেজন্যে আমরা কাজ করেছি।

১০. আমাদের কোনো ব্যাপারে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। আতঙ্ককে কখনো আমরা প্রশ্রয় দিই নি। কারণ জীবন যেরকম সম্মানজনক, মৃত্যুও সেরকম সম্মানজনক হওয়া উচিত। জীবন যেরকম বীরের মতো, মৃত্যুও সেরকম বীরের মতো যে-কোনো সময় আসতে পারে।

১১. একটা খবর শুনে আমার খুব খারাপ লেগেছে। স্বামী ইটালি থেকে আসার খবর শুনে স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। বিদেশ থেকে যে আসছে সে আমার ভাই আমার বোন। আমার সন্তান, আমার ছেলে, আমার মেয়ে। সে তো দেশে ফিরে আসবেই।

এই দেশ যেরকম আমাদের, সেরকম সেই সন্তানেরও এই দেশ যে বিদেশে গিয়েছে এবং যাদের অর্থ আমাদের দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করেছে। অতএব তাকে আমরা সেইভাবেই গ্রহণ করব। সেইভাবেই সমাদর করব।

১২. মৃত্যু থেকে কি কেউ পালাতে পারে কখনো! মৃত্যু যখন আসার, যার যে রোগে মৃত্যু! এটা উসিলা মাত্র। মৃত্যু যে-কোনো সময় আসতে পারে যে-কোনো জায়গায় আসতে পারে।

১৩. আমরা মানুষের সেবার জন্যে রয়েছি। যাদেরকে ছেড়ে অন্যরা পালিয়ে যায়, আপনজনরা পালিয়ে যায়, আপনজনরা কাছে যেতে চায় না। আমরা প্রয়োজনে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াব। আমরা প্রয়োজনে তাদের সেবা করব। আমরা প্রয়োজনে তাদের যত্ন নেবো। যে-কোনো জায়গায়। যে-কোনো রোগী যার দেখার কেউ থাকবে না আমরা তাদের পাশে থাকতে চাই।

সে যেন ফিল করে যে, ‘না পৃথিবীতে এখনো মানুষ আছে’। মাদার তেরেসা যদি সেই ওখান থেকে এসে কলকাতার কুষ্ঠরোগীদের সেবা করতে পারে। তো আমি আমার ভাই, আমার বোন, আমার স্বামী, আমার স্ত্রী, আমার সন্তান, তার কেন সেবা করতে পারব না! আমাদের এই সময়ের যে কাজ, এখনকার যে কাজ এই কাজটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১৪. আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই! সচেতনতার প্রয়োজন আছে। সতর্কতার প্রয়োজন আছে। যে কারণে প্রথমেই বললাম যে সতর্কতা কী? সতর্কতা এই যে রুমাল একটা সবসময় সাথে থাকবে।

১৫. বাঙালির আট বছরের একটি বালকের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইউরোপের ২৫ বছরের যুবকেরও সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নাই। কারণ গরম পানি দিয়ে তারা গোসল করে। ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

আর বাস্তব আরেকটি কারণ হচ্ছে- যে যত ধর্ম থেকে দূরে থাকবে, যে যত স্রষ্টা থেকে দূরে থাকবে, তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তত কমে যাবে। যে কারণে তারা আতঙ্কিত হয় বেশি।

১৬. অতএব আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নাই। যেখানে শুনব যে ওখানে রোগীকে পরিচর্যা করার কেউ নাই, দেখার কেউ নাই, আমরা তাকে মেন্টাল সাপোর্ট দেবো, স্পিরিচুয়াল সাপোর্ট দেবো এবং বাস্তব সাপোর্ট দেবো।

[শ্রদ্ধেয় গুরুজী, ১৯ মার্চ ২০২০]

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com