কাজে শৃঙ্খলা, সততা এবং নিষ্ঠা বজায় রাখুন। নতুন ধারণা ও পরিকল্পনা দিয়ে কাজের মাত্রায় নতুনত্ব আনুন। তাহলে আপনার ওপর প্রতিষ্ঠান ভরসা করতে শুরু করবে এবং আপনি বড় দায়িত্ব পাবেন।
দ্রুত অর্থ উপার্জনকে পেশার লক্ষ্য বানাবেন না। এ লোভ আপনার বিনাশের কারণ হবে।
বসের প্রতি আন্তরিক আনুগত্য প্রদর্শন করুন। কাজের ক্ষেত্রে বসের সিদ্ধান্তই সঠিক–এ নীতি অবলম্বন করুন।
অফিসের ভেতরে ও বাইরে বসের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকুন।
লিডার/ বসের প্রতি কোনো ক্ষোভ রাখবেন না। মনে ক্ষোভ থাকলে বাস্তবেও দূরত্ব বেড়ে যাবে।
নিজের কাজ ও দায়িত্বের প্রতি বিশ্বস্ত ও আন্তরিক থাকুন। কারণ এ-কাজই আপনার রিজিক নিয়ে আসে।
আপনিই সবচেয়ে ভালো কাজ পারেন–কথা ও আচরণে এ ধরনের মনোভাব প্রকাশ করবেন না।
নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে গিয়ে যেন অন্যদের ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে সচেতন হোন।
সহকর্মীদের যে-কোনো যুক্তিসঙ্গত পরামর্শ ও সমালোচনাকে স্বাগত জানান।
কারো প্রতি অন্যায় হয়ে গেলে নির্দ্বিধায় মাফ চেয়ে নিন।
সহকর্মী/ অধস্তন/ পিয়ন কাউকে দিয়ে কোনো কাজ করানোর ক্ষেত্রে আদেশ নয়, অনুরোধের সুরে ও বিনীত ভাষায় বলুন।
সহকর্মী/ অধীনস্থ কেউ ভুল করে ফেললে সবার সামনে তিরস্কার না করে আলাদাভাবে বলে তাকে শুধরে নেয়ার সুযোগ দিন।
কোনো সহকর্মী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রুমে গেলে এ নিয়ে নিজেরা কোনো অনুমাননির্ভর আলাপ করবেন না। তিনি ফিরে এলে কী কথা হয়েছে, অতি উৎসাহী হয়ে তা জানতেও চাইবেন না।
কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করার আগে সে-বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন।
কারো কাছ থেকে আর্থিক হিসাব পুরোপুরি বুঝে নেয়ার পর কোনো গরমিল ধরা পড়লে তার দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করুন।
বসের প্রিয়পাত্র হওয়ার জন্যে সারাক্ষণ অন্যের দোষ ধরার চেষ্টায় লিপ্ত হবেন না।
আপনার কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন কোনো বিষয়ে সহকর্মীর ভুল দৃষ্টিগোচর হলে তাকে সমমর্মিতার সাথে জানান। আগ বাড়িয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন না। সাময়িক প্রশংসা/ গ্রহণযোগ্যতা পেলেও দীর্ঘমেয়াদে এই মানসিকতা আপনার জন্যে কল্যাণকর নয়।