শুধু বাইরের চাকচিক্য দেখে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলে আপনি ভুল করবেন।
যেমন, পাশ্চাত্যের একজন তরুণী হয়তো একজন পুরুষ কতটা সুদর্শন, লম্বা বা তার মধ্যে পুরুষালি বৈশিষ্ট্য আছে কিনা বা তার ধনসম্পদের পরিমাণ কেমন ইত্যাদি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবে।
আবার আমাদের প্রাচ্যের কোনো অভিভাবক হয়তো পাত্রের ডিগ্রী, টাকা-পয়সা কিংবা পাত্র বিদেশে থাকে ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য দিয়ে প্রভাবিত হতে পারে। আপাত অনেক কিছু দেখে, অনেকভাবেই একজন প্রভাবিত হতে পারে।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বিয়ে সুখের হবে কিনা তা এসবের ওপর নির্ভর করে না। হয়তো দেখা গেল এসবকিছু দেখে যে পাত্র বা পাত্রীকে বাছাই করা হলো, বাস্তবে সে একজন স্বার্থপর মানুষ অথবা পাত্র-পাত্রীর মধ্যকার সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যবধান এত বেশি যে মানিয়ে চলা অসম্ভব।
আবার আমরা মনে করি প্রেমের বিয়ে হয়তো সুখের হয়। কিন্তু বিয়ের আগে প্রেম থাকলেই যে তা সুখের বিয়ে হবে তেমন কোনো কথা নেই। কারণ প্রেম আসলে নারী-পুরুষের শারীরিক আকর্ষণেরই এক পোশাকী নাম।
সুখী দাম্পত্যের জন্যে যা প্রয়োজন তাহলো আপনার জীবনসঙ্গী/ সঙ্গিনী ভালো মানুষ কিনা, সৎ বিশ্বস্ত এবং উদারমনা কিনা। আদর্শ দাম্পত্য সম্পর্ক তখনই সৃষ্টি হয় যখন স্বামী এবং স্ত্রী দুজনই একই মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হোন।
তাই বিয়ের আগে যে মানুষটিকে আপনি জীবনসঙ্গী করতে চাচ্ছেন, তার সম্পর্কে সম্ভাব্য সবকিছু জেনে নিন। পাত্র-পাত্রীর ব্যাপারে নিরপেক্ষ এবং বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিতে পারে এমনদের সাথে যোগাযোগ করুন।
আর যদি তথ্যের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ থাকে তাহলে একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যগুলো মিলিয়ে নিজে সিদ্ধান্ত নিন। সবসময় মনে রাখবেন যা রটে তা কিছুটা বটে। কাজেই কোনো নেতিবাচক তথ্য পেলে তা যাচাই না করে হেলায় উড়িয়ে দিলে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্তে আপনি বড় ধরনের ভুলও করে ফেলতে পারেন।
আর অবশ্যই নিজের সম্পর্কে এমনকিছু গোপন করবেন না যা পরে জানলে ভুল বোঝাবুঝি হবে।