খটমটে পরিসংখ্যান দিয়েই শুরু হোক। ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) গবেষণা মতে, প্রতিবছর পোশাকশিল্প কারখানায় পোশাক ও তুলা ধোয়া ও রং করার কাজে ১ হাজার ৫০০ বিলিয়ন লিটার পানি ব্যবহার করা হয়।
কারখানাগুলো ব্যবহারের পর এই বিষাক্ত পানি নদী আর খালে ফেলে দেয়। ইউনাইটেড ন্যাশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (ইউএনএফসিসিসি) মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ফ্যাশনশিল্পের জন্যে গ্রিনহাউস গ্যাস এবং বর্জ্য নিঃসরণ বৃদ্ধি পাবে ৬০ শতাংশ।
২০৫০ সালের মধ্যে ভোক্তার চাহিদা মেটাতে বর্তমানে যে পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ আছে, তার তিন গুণ প্রাকৃতিক সম্পদের প্রয়োজন হবে। এই নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনার অন্যতম সমাধানের নাম টেকসই ফ্যাশনশিল্প।
কেবল ১৫ বছরে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণ। কাপড়ের দামও কমে চলে এসেছে মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে। কাপড়ের দাম এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে কম। আবার নিম্নমধ্যবিত্ত আর মধ্যবিত্তের আয়ও বেড়েছে।
সব মিলিয়ে একটা বড় শ্রেণি ১৫ বছর আগেও যে পরিমাণ পোশাক ব্যবহার করত, এখন করে তার দ্বিগুণ। ফলে এখন ফ্যাশন থেকে সৃষ্ট বর্জ্যের পরিমাণও অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ। আগে মানুষ একটা পোশাক যে পরিমাণ ব্যবহার করত, এখন তার শতকরা ৪০ ভাগও করে না। একটা পোশাকের গড় আয়ু দুই বছর দুই মাস। আর সেটি গড়ে ৭ থেকে ১০ বার পরা হয়।