কোয়ান্টাম আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের বিজ্ঞান। সঠিক জীবনদৃষ্টি প্রয়োগ করে মেধা ও প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে অনন্য মানুষে রূপান্তরিত করাই এর লক্ষ্য। স্ব-উদ্যোগ, স্ব-পরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে সৃষ্টির সেবায় সঙ্ঘবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাতিতে রূপান্তরিত করাই এর মনছবি। কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে সমাজের সর্বস্তরের লাখো মানুষ অশান্তিকে প্রশান্তিতে, রোগকে সুস্থতায়, ব্যর্থতাকে সাফল্যে, অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তরিত করেছেন। কোয়ান্টাম মেডিটেশন চর্চার মাধ্যমে আপনিও বদলে দিতে পারেন আপনার জীবন।
১. আপনার মনের জট খুলে যাবে সহজ স্বতঃস্ফূর্ততায়। পণ্যদাসত্ব থেকে, ভোগ্যপণ্য কেনার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। পরিবর্তে লাভ করবেন শুকরিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি।
২. ব্যর্থতার কারণ রি-একটিভ দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে সাফল্যের জননী প্রো-একটিভ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারবেন।
৩. নিয়মিত মেডিটেশনের মাধ্যমে চিন্তাকে করতে পারবেন শাণিত, সিদ্ধান্তকে সঠিক এবং বক্তব্যকে করবেন স্বতঃস্ফূর্ত।
৪. আপনি পারবেন ইচ্ছেমতো ঘুমাতে, দীর্ঘ অনিদ্রা থেকে মুক্তি লাভ করতে, নির্ধারিত সময়ে ঘুম থেকে উঠতে ও অতিঘুম নিয়ন্ত্রণ করতে।
৫. মুহূর্তে সজীব : অবসাদ ও বিষণ্নতা দূর, মুহূর্তে সজাগ : ক্লান্তি ও ঘুম ঘুম ভাব দূর, মুহূর্তে শান্ত : হঠাৎ সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্তভাবে মোকাবেলা এবং মুহূর্তে মাথাব্যথা বিদূরণের টেকনিক শিখবেন।
৬. স্নায়ু ও পেশি পুরোপুরি শিথিল করতে শিথিলায়ন প্রক্রিয়া শিখবেন।
৭. রোগভয় লোকভয় মৃত্যুভয়সহ যাবতীয় অমূলক ভয়ভীতি ও ফোবিয়া থেকে মুক্তি লাভ করবেন।
৮. দুশ্চিন্তা হতাশা বিষণ্নতা ডিপ্রেশন দুঃখ অনুশোচনা ক্ষোভ ঘৃণা ও পাপবোধ থেকে মুক্ত হয়ে পাবেন মানসিক প্রশান্তি।
৯. নেতিবাচক চিন্তা, কথা, আবেগ, আচরণ থেকে মুক্তি এবং ইতিবাচক চিন্তা, কথা, আচরণ ও অভ্যাস তৈরি করতে পারবেন।
১০. কোয়ান্টা ধ্বনি ও কোয়ান্টা ভঙ্গি প্রয়োগ করে দ্রুত শেখা এবং মুহূর্তে রাগ ক্রোধ ক্ষুধা টেনশন নার্ভাসনেস বা ভয়ভীতি নিয়ন্ত্রণ ও যে-কোনো পরিস্থিতি ঠান্ডা মাথায় মোকাবেলা করতে পারবেন।
১১. মনে রাখার উপায়, ভুলে যাওয়া বিষয় স্মরণ করা ও নাম মনে রাখার পদ্ধতি চর্চা আপনার স্মৃতিশক্তিকে করে তুলবে আরো প্রখর।
১২. আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, বিশ্বাস ও আশা নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করে আর সংশয় ও হতাশা জীবনকে ব্যর্থ করে।