আমরা যদি কোরআনে কোরবানি সংক্রান্ত আয়াতগুলো দেখি, তাহলে দেখব- কোরবানি প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বার বারই বলেছেন অভাবী-দরিদ্রদের মাঝে তা বিতরণের কথা।
সূরা হজ –
২৭-২৮. অতএব (হে নবী!) মানুষের কাছে হজের ঘোষণা দাও। তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে বা উটের পিঠে চড়ে। দূরদূরান্ত থেকে তারা এসে যেন কল্যাণময় স্থানগুলোতে উপস্থিত হতে পারে। আর তিনি তাদেরকে জীবনোপকরণ হিসেবে যে গবাদি পশু দিয়েছেন, তা থেকে নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নামে জবাই করতে পারে। তা থেকে তোমরা খাও এবং অভাবী দরিদ্রদের খাওয়াও।
৩৬. কোরবানির পশুকে আল্লাহ তাঁর মহিমার প্রতীক করেছেন। তোমাদের জন্যে এতে রয়েছে বিপুল কল্যাণ। অতএব এগুলোকে সারিবদ্ধভাবে বাঁধা অবস্থায় এদের জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। এরপর এরা যখন জমিনে লুটিয়ে পড়ে, তখন তা থেকে (মাংস সংগ্রহ করে) তোমরা খাও এবং কেউ চাক না চাক সবাইকে খাওয়াও। এভাবেই আমি গবাদি পশুগুলোকে তোমাদের প্রয়োজনের অধীন করে দিয়েছি, যাতে তোমরা শুকরিয়া আদায় করো।
প্রতি ঈদেই আমরা কোরবানি দেই। ইনশাল্লাহ আগামী ঈদগুলোতেও আমরা কোরবানি দিব। কিন্তু পৃথিবীর এই সংকটময় পরিস্থিতিতে, যেখানে হজ পর্যন্ত হচ্ছে না (সৌদি আরবের বাইরে হজ যাত্রীদের জন্যে), সেখানে আমরা কি পারি না কোরবানির মাধ্যমে অন্নহীন অভুক্ত দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে?
৩ মাস অভুক্ত কাটাতে হবে না। হয়তো এই করোনায় তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যেত, সেখানে আপনার কোরবানির মাধ্যমে তারা আবার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবার আশ্বাস পেল, লকডাউনের পর কাজে ফিরতে পারল।
সেই সাথে আপনি জানেন যে, দেশে এখন ধেয়ে আসছে বন্যা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দেশের ৩০ ভাগ এলাকা ডুবে যাবে এই বন্যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৯৮ এর বন্যার চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে এর প্রভাব!