এবারও আইপিএলে শিরোপা ছোঁয়া হলো না অধিনায়ক বিরাট কোহলির। তার দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এবারের মিশন শেষ হয়ে গেল এলিমিনেটর ম্যাচে হেরে।
শুক্রবার এলিমিনেটরে কোহলিদের ৬ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে ডেভিড ওয়ার্নারের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রবিবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে হায়দরাবাদ।
এর আগে আবুধাবি স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ব্যাঙ্গালুরু। ১৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার কোহলি ও পাডিক্কেলকে সাজঘরে ফেরান হায়দরাবাদের বোলার জেসন হোল্ডার।
কোহলিকে ৬ আর পাডিক্কেলকে মাত্র ১ রানে আউট করেন ক্যারিবীয় পেসার।
দলের হাল ধরেন অ্যারন ফিঞ্চ আর অভিজ্ঞ এবি ডি ভিলিয়ার্স । ৩০ বলে ৩২ রান করে শাহবাজ নাদিমের বলে লড়াই থামে ফিঞ্চের। এক প্রান্ত ধরে লড়াই চালিয়ে যান ভিলিয়ার্স। তিনি শুধু অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া দেখেন।
মইন আলীকে নিয়ে জুটি বাঁধার সুযোগই পাননি ভিলিয়ার্স। উইকেটে নেমেই শূন্য রানে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
হায়দরাবাদ বোলারদের তোপে বাকি সব ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল মোহাম্মদ সিরাজ দুই অংকের ঘরে পৌঁছেছেন। তাও মাত্র ১০ রান। বাকি দুই ব্যাটসম্যান শিভাম দুবে (৮), ওয়াশিংটন সুন্দর (৫) রানে আউট হন।
১৮তম ওভারে এসে শেষতক ডি ভিলিয়ার্স বোল্ড হন নটরাজের বলে। ৪৩ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৬ রান করে ভিলিয়ার্স ফিরলে ব্যাঙ্গালুরু আশার আলো প্রায় নিভে যায়। টেল-এন্ডারের সিরাজ ৯ রানে ও নবদ্বীপ সাইনি ৯ রানে অপরাজিত থাকলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩১ রান জমা করতে পারে আরসিবি।
হায়দরাবাদ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন জেসন হোল্ডার। ৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন তিনি। ৩৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান নটরাজ।
জবাবে ১৩২ রানের সহজ টার্গেটের লক্ষ্যে নামলে শুরুটা ভালো হয়নি হায়দরাবাদের। শ্রীবাস্তাব গোস্বামীকে শূন্য রানে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। হার্ডহিটার হায়দরাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকেও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে দেননি সিরাজ। তাকেও ১৭ রানে ফেরান সিরাজ।
এরপর শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মনিশ পান্ডে ও কেন উইলিয়ামসন। মনিশকে ২১ বলে ২৪ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে আউট হন। অপরপ্রান্তে হাল ধরে রাখেন উইলিয়ামসন।
এর মাঝে প্রিয়াম গর্গকে (৭) হারালেও উইলিয়ামসন-হোল্ডার জুটি জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে। উইলিয়ামসন ৪৪ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। অপরপ্রান্তে হোল্ডার অপরাজিত থাকেন ২০ বলে ২৪ রান করে। হোল্ডারের ২ চারের মারে ১ বল বাকি থাকতেই ১৩২ রান সংগ্রহ করে হায়দরাবাদ।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে দিল্লিকে হারিয়ে আগেই ফাইনালে পৌঁছে গেছে চারবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।