হাজিরা বোনাস বৈষম্য, বেতন আটকে দেওয়া ও দুই সেকশনের শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাকশ্রমিকরা। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরের টঙ্গী মিলগেট নামাবাজারে গোরিয়ং ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন। তবে একপর্যায়ে শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
কারখানার শ্রমিকরা জানিয়েছেন, কারখানায় ফিনিশিং সেকশনের শ্রমিকদের মাসিক হাজিরা বোনাস ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। অথচ সুইং সেকশনের কাউকে ৩০০ এবং কয়েকজনকে ২০০ টাকা হাজিরা বোনাস দেওয়া হয়। এতে শ্রমিকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ বিরাজ করছিল।
এ ছাড়া গত ১০ ফেব্রুয়ারি তাদের জানুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করা হলেও যাদের অফিসে অনুপস্থিতির সংখ্যা বেশি ছিল, তাদের বেতন আটকে দেওয়া হয়। বেতন আটকে দেওয়া প্রায় ২৫ থেকে ২৮ শ্রমিক ওই দিন বিক্ষোভ করেন। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার ফিনিশিং সেকশনের সুমিসহ কয়েকজন মিলে সুইং সেকশনের নারী শ্রমিকদের মারধর করেন। এতে দুই সেকশনের শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ফের সোমবার কারখানায় এসে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে আবার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চেরাগআলী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ১০ মিনিট অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, কারখানায় গত বৃহস্পতিবার থেকে কাজ হচ্ছে না। শ্রমিকরা মারধরের বিচারের দাবিতে কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলনে নামেন। এমন পরিস্থিতিতে কোনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ না আসায় কারখানায় অচলাবস্থা দেখা দেয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. হাসিবুল আলম বলেন, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একপর্যায়ে শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।