করোনার প্রাদুর্ভাবে দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ইউনিসেফ-ইউনেসকো বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তাগাদা দিলেও বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য অপেক্ষা করছে। তবে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তাগিদ দেওয়ার পরই পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনেকটাই নড়েচড়ে বসেছে। কিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়, সে ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে। আগামী মাসের শেষ থেকে বা অক্টোবরের প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা নিয়ে সামনে এগোচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন গ্রহণে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তাঁদের অনেকেই টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এরই মধ্যে পাঁচ-ছয় হাজার শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজও নিয়েছেন। ফলে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হতে পারে। প্রায় একই সঙ্গে এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খোলা হতে পারে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রগ্রাম (কর্মসূচি) ঠিক করছে। এর আগে সচিব সভায় এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আজও কথা হয়েছে। তারা প্রগ্রাম ঠিক করছে কিভাবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তারা আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে ব্রিফিংয়ে বসবে। পাবলিকলি বলে দেবে, কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে।’তোড়জোড় চলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার