নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েলকে (২১) নদীতে ফেলে হত্যা মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হানিফ পরিবহনের বাসচালক জামাল হোসেন, সুপারভাইজার মো. জনি ও হেলপার মো. ফয়সাল হোসেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবু আবদুল্লাহ ভুঞা। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন হুজজাতুল ইসলাম।
২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম মহানগর থেকে হানিফ পরিবহনের বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএর পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী পায়েল ও তার বন্ধু আদর।
ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর ক্যাসল হোটেলের সামনে যানজটে পড়ে।
তখন পায়েল তার মোবাইল বাসে রেখে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে (প্রস্রাব করতে) বাস থেকে নিচে নামেন।
পরে বাসে ওঠার সময় চালক বাসটি দ্রুত টান দিলে পায়েল দরজার সঙ্গে জোরে ধাক্কা খান। এ সময় নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পায়েল। বাসচালক, চালকের সহকারী ও সুপারভাইজার ধারণা করেন, পায়েল মারা গেছেন। চালকের সহকারী ও সুপারভাইজার পায়েলকে ব্রিজ থেকে খালে ফেলে দিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
সকালে পায়েলের মোবাইল ফোনে কল দেন তার মা কোহিনূর বেগম। ফোন ধরেন আদর। পায়েলের নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা বন্দর থানায় জিডি করেন।
২৩ জুলাই সকালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভাটেরচর খাল থেকে সাইদুরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পর দিন পায়েলের মামা গোলাম
সোহরাওয়ার্দী বিপ্লব গজারিয়া থানায় হানিফ পরিবহনের বাসচালক জামাল, সুপারভাইজার জনি ও হেলপার ফয়সালকে আসামি করে মামলা করেন।
২৫ জুলাই তিনজনকে গ্রেফতার করে গজারিয়া থানা পুলিশ।