1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন

নেশা : মেডিটেশন চর্চাই মুক্তির পথ

  • সময় শুক্রবার, ৪ জুন, ২০২১
  • ১১২২ বার দেখা হয়েছে

আসসালামু আলাইকুম। আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।

সর্বস্তরের ধ্যানী ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা- গুরুজী

কোয়ান্টাম পরিবারের সদস্যরা ২১শে মে প্রথমবারের মতো পৃথিবীজুড়ে একযোগে খুব সফলভাবে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালন করেছেন। এবং এই মেডিটেশন দিবস পালনের মধ্য দিয়ে কোয়ান্টাম প্রবেশ করেছে তৃতীয় দশক লগ্নের নতুন যুগে নতুন মাত্রায়।

এবং সারা বিশ্বজুড়ে দেশে দেশে এই আয়োজন সম্ভব হয়েছে গত ৩০ বছর ধরে হাজার হাজার নিবেদিতপ্রাণ ধ্যানীর অক্লান্ত মেহনতের ফলে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে। এবং এইজন্যে সর্বস্তরের ধ্যানী ও শুভানুধ্যায়ীদের বিশেষভাবে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এবং বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালনকে কেন্দ্র করে সংবাদকর্মী সংবাদপত্র সর্বস্তরের মিডিয়া মানুষের কল্যাণে ধ্যানের গুরুত্ব নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন। এবং সংবাদ ফিচার প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ধ্যানে তারা নতুনভাবে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছেন। এজন্যে দেশের এবং দেশের বাইরের সমস্ত মিডিয়াকর্মীদের আমরা কর্মীদের আমরা বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

মেডিটেশন প্রাণায়াম যোগের অনুশীলনকারীই যাপন করেন সুস্থ ও আতঙ্কমুক্ত জীবন!

আসলে আমরা যদি বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বিষয়টিকে দেখি বিশ্লেষণ করি তাহলে আমরা দেখব যে ধ্যান থেকে মেডিটেশন থেকে সবচেয়ে বেশি বা ধ্যানের ইতিবাচক শক্তিকে যারা নিজের জীবনে প্রয়োগ করেছেন তারা সবচেয়ে বেশি সুফল পেয়েছেন গত দেড় বছরের করোনাকালে দেশে এবং বিদেশে।

যারা মেডিটেশন প্রাণায়াম যোগের অনুশীলন করেছেন করোনাকালে সবচেয়ে সুস্থ এবং সবচেয়ে আতঙ্কমুক্ত জীবন তারা যাপন করেছেন।

এবং আমাদের দেশ ধ্যানের দেশ। ধ্যানের উৎস ভূমি আমাদের দেশ ধার্মিকতা মানবিকতার লালনভূমি আমাদের দেশ। দোয়া এবং প্রার্থনার নিমগ্ন অন্তরে পরিপূর্ণ মানুষের দেশ হচ্ছে আমাদের দেশ।

ধ্যান এবং দোয়া এবং প্রার্থনা যে কত কল্যাণকর, কত কল্যাণ বয়ে আনতে পারে গত ১৫ মাসে আমরা আমাদের দেশ ও দেশের মানুষের দিকে তাকালেই পুরো বিষয়টি খুব সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে।

আতঙ্ক নিয়ে অধিকাংশ মানুষের মনেই এখন কোনো প্রভাব নেই…

আপনাদের মনে থাকার কথা যে আমরা ১৮ই মার্চ ২০২০ সালে পরম করুণাময়ের ওপরে ভরসা করে তার রহমত কামনা করে আমরা বলেছিলাম যে আমাদের দেশে করোনা সুবিধা করতে পারবে না।

কারণ আমাদের জাতির যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্যানের ঐতিহ্য ধর্ম পালনের ঐতিহ্য সমমর্মিতার ঐতিহ্য আমাদেরকে বলে দেয় যে, যে-কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে সক্ষম জাতি।

আমরা যদি গত ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত পুরো সময়কাল দেখি আমাদের দেশে শনাক্ত হয়েছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১২,৫০০ মাত্র।

এবং সাধারণ মানুষ করোনা নিয়ে তার কোনো আতঙ্ক নাই। তার কোনো ভয় নাই। তবে সচেতন মানুষ তারা স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সবসময়ই সচেতন এবং আতঙ্কবাদীদের আতঙ্ক নিয়ে যত প্রচারণা অধিকাংশ মানুষের মনে তার কোনো প্রভাব এখন নাই।

করোনাকালে করোনা নয়! বরং সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ভার্চুয়াল ভাইরাসে!

প্রিয় সুহৃদ! করোনা করোনা করে করোনা আতঙ্কের প্রচারণার সয়লাবে যা সবচেয়ে ক্ষতিকর মানুষের জন্যে দেশের জন্যে যে বিষয়টি আমাদের দৃষ্টির আড়ালে নিয়ে গেছে সেটি হচ্ছে নেশা।

নেশা, আসক্তি। করোনা ভাইরাসের চেয়েও ভার্চুয়াল ভাইরাস এই করোনাকালে আমাদের ক্ষতি করেছে সবচেয়ে বেশি। বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্ম। অনুর্ধ ১৮ যাদের বয়স সেই তরুণ-তরুণীদের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের শিক্ষার জন্যে অভিভাবকদের তাদের হাতে তুলে দিতে হয়েছে স্মার্টফোন, ডাটা।

এবং তাদের একটা বড় অংশ শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত আসক্ত হয়ে গেছে ইন্টারনেট গেমে। পাবজি বা ফ্রি ফায়ারে।

এবং সেই সাথে বেড়েছে নেশা ধূমপান ইয়াবা এবং সম্প্রতি আলোচিত হচ্ছে এলএসডি নিয়ে। যদিও এলএসডি ১৯৬০ এর দশকের মাদক। নিষিদ্ধ হয়েছিল পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে। নতুন করে এর যে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব সেটি সচেতন সমাজের দৃষ্টি কাড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রের নিজেকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে।

আসলে এটিতো একটি করুণ মর্মান্তিক ঘটনা।

গেমস শুধুই কি আসক্তি? বরং অমানবিকতা ও অপরাধ সৃষ্টির রাজপথ এটি!

এবং এই ভার্চুয়াল ভাইরাস এই গেম পাবজি ফ্রি ফায়ার এবং আরো যত গেম রয়েছে এই গেমগুলো শুধু তরুণদের আসক্তি তৈরি করছে না। তাদের মধ্যে সৃষ্টি করছে হতাশা অসহিষ্ণুতা ঘৃণা হত্যা এবং ধর্ষণের মতো অমানবিকতা ও অপরাধের।

এবং এই গেমের মধ্য দিয়ে তরুণ সমাজ বিভ্রান্তি ও বিকৃতির শিকার হওয়ার সাথে সাথে, যারা বিদেশ থেকে অমানবিক পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করে দেশে পাঠাচ্ছেন তাদের অর্থ এই গেমওয়ালারা আবার নিয়ে যাচ্ছে।

আসলে শোষকরা এইভাবেই যুগে যুগে শোষণের ধারাকে অব্যাহত রেখেছে। লোকজন অমানুষিক পরিশ্রম করছে বিদেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছে দেশে আর গেমওয়ালারা আতঙ্ক প্রচার করার মধ্য দিয়ে লোকজনদের নেশাগ্রস্ত করে সেই বৈদেশিক মুদ্রা আবার তারা নিয়ে যাচ্ছে তাদেরই দেশে।

ভার্চুয়াল ভাইরাসের সাথে যত নেশাগত দ্রব্য আছে সবই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত…

আসলে নেশা যে শুধু ভার্চুয়াল ভাইরাসে তা নয়। নেশা ধূমপানের। ধূমপান অর্থাৎ তামাক আসলে এই ভার্চুয়াল ভাইরাসের সাথে এই গেমের সাথে তামাক এবং যত নেশাগত দ্রব্য সবটাই জড়িত সবটাই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

আসলে নেশা শুরু হয় তামাক থেকে ধূমপান থেকে তারপরে আস্তে আস্তে সেটা পরিণত হয় মদ ও মাদকে। যে-কারণে বলা যায় নেশার নরকের গেইট হচ্ছে তোরণ হচ্ছে তামাক, ধূমপান।

এবং তামাকের মধ্যে জর্দা গুল সাদা ধোঁয়াবিহীন তামাক। এই ধোঁয়াবিহীন তামাক খায় ২০ শতাংশের বেশি মানুষ। আর সিগারেট খায় ১৪ শতাংশের বেশি মানুষ। অর্থাৎ আমাদের দেশে ৩৫ শতাংশ মানুষ এই তামাক ব্যবহারকারী। তামাক দিয়ে শুরু।

এবং এদেরই একটা অংশ ধীরে ধীরে অন্য অন্য মাদকে, মদ-মাদক-এলএসডি-ভার্চুয়াল ভাইরাস সবকিছুতে আক্রান্ত হয়।

নেশার নরকের প্রবেশ পথ-তামাক বা ধূমপান!

তো আসলে যত নেশা, নেশার তোরণ হচ্ছে নেশার শুরু হচ্ছে নেশার নরকের প্রবেশ পথ হচ্ছে এই তামাক বা ধূমপান। আসলে একজন ধূমপায়ী তার মাসে ব্যয় হচ্ছে ১০০০ টাকার ওপরে এবং যদি আমরা হিসাব করি তাহলে আমরা দেখব প্রতি বছর ধূমপায়ীরা সিগারেট বিড়ির আগুনে পুড়িয়ে ফেলছেন দেশের মূল্যবান ৮০ হাজার কোটি টাকা। এবং এটাকে বলা যায় আমাদের দেশজ উৎপাদনের-জিডিপির প্রায় চার শতাংশ।

আর এই তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয় প্রতি বছর চার লাখ মানুষ। এবং মারা যায় ১,৬০,০০০ মানুষ। এটা বর্তমান বাৎসরিক হিসাব।

আর আমরা যদি দেখি করোনাতে গত ১৫ মাসে মৃতের সংখ্যা ১২,৫০০। এবং ১২,৫০০ মৃত্যু নিয়ে আমরা যে পরিমাণ তোলপাড় করেছি, যে পরিমাণ আর্তনাদ করেছি, যে পরিমাণ আতঙ্কিত হয়েছি, আতঙ্কের সয়লাব বইয়ে দিয়েছি আমরা ১,৬০,০০০ মানুষের মৃত্যু নিয়ে কতটুকু আলোচনা করেছি? কতটুকু সচেতন হয়েছি? কতটুকু এ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্যে রক্ষা পাওয়ার জন্যে আমরা প্রচার প্রচারণা করেছি?

সন্তানের সাথে রাগ নয়; ক্ষতিকর দিক বোঝাতে হবে মমতা দিয়ে…

আসলে সবচেয়ে দুঃখজনক সত্য হলো যে আমরা এই ক্ষেত্রে সাধারণভাবে জাতীয়ভাবে তেমন কিছুই করি নি। আসলে কাউকে দোষারোপ করে কোনো লাভ নাই। যা করণীয় হওয়া উচিৎ সেই করণীয়ের জন্যেই আমাদের সবাই মিলে কাজ করা উচিৎ।

এক হচ্ছে ভার্চুয়াল ভাইরাস। এই ভার্চুয়াল ভাইরাসের ব্যাপারে, ইন্টারনেট গেমের ব্যাপারে আসক্তির ব্যাপারে নেশার ব্যাপারে আমাদের অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। এবং আমাদের সন্তানদের তরুণ-তরুণীদের নেশার যে ক্ষতিকারক দিক, এই দিকটি তাদের সামনে খুব মমতার সাথে তুলে ধরতে হবে। তাদের ওপর রাগ করে নয়। খুব মমতার সাথে এর ক্ষতিকর দিকটি তুলে ধরতে হবে।

আর ইন্টারনেটের মধ্য দিয়ে পর্ণগ্রাফির লভ্যতা যেভাবে নিষিদ্ধ হওয়া উচিৎ একইভাবে নিষিদ্ধ হওয়া উচিৎ পাবজি এবং ফ্রি ফায়ারের মতন অমানুষ সৃষ্টিকারী নেশা সৃষ্টিকারী এই ইন্টারনেট গেমগুলোর।

এবং অভিভাবকদের এ ক্ষেত্রে-তরুণদের সন্তান-সন্তুতিদের অত্যন্ত মমতা দিয়ে তাদেরকে সৃজনশীল কাজে জ্ঞান অনুসন্ধানের কাজে ধ্যানে আত্ম অনুসন্ধানে অনুপ্রাণিত করে তাদের ভেতরের ইতিবাচক শক্তিকে বিকশিত হতে সহায়তা করা উচিৎ।

প্রিয় সুহৃদ! আমরা জানি নেশার যে নরক, এই নরকের প্রবেশপথ হচ্ছে ধূমপান-সিগারেট-বিড়ি।

এবং ধূমপান যে তার নিজের জন্যেই ক্ষতিকর এটাও ধূমপায়ী বোঝে। ধূমপান ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছা দেশের ৬৬ শতাংশ ধূমপায়ীর। একটি জরিপে এ কথাই বলা হয়েছে। কিন্তু বুঝলে কী হবে! ছাড়তে পারে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে ধূমপান বা তামাক ছাড়ার জন্যে সবচেয়ে উপযোগী ব্যবস্থা হলো কাউন্সেলিং বা আচরণ পরিবর্তনের জন্যে পরামর্শ সেবা।

এবং এবার ৩১শে মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি’।

একজন ধূমপায়ীর তামাক ছাড়ার ইচ্ছাই যথেষ্ট!- ‘কোয়ান্টাম মেথড প্রক্রিয়া’

ধূমপানের সর্বনাশা ক্ষতি সম্পর্কে আমরা মানুষকে সচেতন করে এসছি গত ৩০ বছর ধরে। কোয়ান্টাম মেথড মেডিটেশন প্রক্রিয়ায় জীবনকে সুন্দর করার যে সূত্রগুলো রয়েছে সেই সূত্রের একটি হচ্ছে ধূমপান ছাড়ার প্রক্রিয়া। এবং এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্যে একজন ধূমপায়ীর তামাক ছাড়ার ইচ্ছাই যথেষ্ট।

যিনিই ছাড়তে চেয়েছেন এবং যিনি ধূমপান ছাড়ার জন্যে এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ব্রেনকে বুঝিয়েছেন, তিনিই সফল হয়েছেন।

প্রক্রিয়াটি খুব সহজ। আপনি যদি ধূমপান ছাড়তে চান, আপনি যদি নেশার জগত থেকে বেরিয়ে আসতে চান ভার্চুয়াল ভাইরাস থেকে নিজেকে এবং সন্তানকে রক্ষা করতে চান, আসুন ধ্যান চর্চা শুরু করুন।

মেডিটেশনের এ মাসে একজন ধ্যান অনুশীলনকারীর দায়িত্ব অনেক…

প্রিয় সুহৃদ! আপনারা যারা নিয়মিত ধ্যান চর্চা করেন, যারা সুস্থতা ও স্থিরতা লাভ করেছেন, যারা ধূমপান বা ভার্চুয়াল ভাইরাস থেকে নিজেকে মুক্ত করেছেন ধ্যান অনুশীলনের মধ্য দিয়ে মেডিটেশনের মধ্য দিয়ে আত্মশক্তি জাগরণের মধ্য দিয়ে- তাদের কিন্তু মেডিটেশনের এই মাসে দায়িত্ব অনেক।

যারা ধূমপান ছাড়তে চায়, যারা নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়, যে তরুণতরুণীরা হতাশায় ভুগছেন অস্থিরতায় ভুগছেন, ভার্চুয়াল ভা ভাইরাস থেকে বেরোতে পারছেন না বা জীবনের কোনো লক্ষ্য স্থির করতে পারছেন না, যারা নেতিবাচকতায় ডুবে যাচ্ছেন- আসলে পরম মমতায়-পরম যত্নে প্রত্যেকের কাছেই যাওয়া উচিৎ।

চারপাশের প্রত্যেকের কাছে যান। ধ্যানের বাণী নিয়ে মেডিটেশনের বাণী নিয়ে। তাকে প্রশান্তির গুরুত্ব স্থিরতার গুরুত্ব জীবনের মহান লক্ষ্যের গুরুত্ব এবং নিজের সুস্থ থাকার যে গুরুত্ব সফল হওয়ার যে গুরুত্ব নিজের মেধাকে বিকশিত করার যে গুরুত্ব এই গুরুত্বের কথা গভীর মমতায় তাকে বলেন। তাকে ধ্যান চর্চায় নিয়ে আসেন। নিঃসঙ্কোচে বলেন যে আমি মেডিটেশন করি।

এবং বিশ্ব মেডিটেশন দিবসে আপনারা সেই যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যেভাবে মেডিটেশনের কথা তুলে ধরেছেন এই পুরো মাস অর্থাৎ ২১শে মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস আর ২১শে জুন বিশ্ব যোগ দিবস- যোগ দিবস আসা পর্যন্ত, সবার কাছেই মেডিটেশনের বাণী পৌঁছে দেন। কোয়ান্টাম মেথডের বাণী পৌঁছে দেন।

মেডিটেশনের কল্যাণকে চারপাশের সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই হোক আমাদের প্রত্যয়…

এবং কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে মেডিটেশনের চর্চার মধ্য দিয়ে সে যে নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, সে যে ধূমপান ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারে, করোনা থেকে যেভাবে সে ধ্যানীরা নিজেদেরকে সুস্থ রেখেছেন, একইভাবে ভার্চুয়াল ভাইরাস থেকে সে যে বাঁচতে পারে- সে কথা নিঃসঙ্কোচে বলুন।

তাকে সাদাকায়নে নিয়ে আসেন, তাকে কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলনে নিয়ে আসেন এবং তাকে নতুন জীবনের পথে বর্ণিল জীবনের পথে সফল জীবনের পথে সুস্থ জীবনের পথে সুখী জীবনের পথে আসার সহজ প্রক্রিয়ায় আরেকজন সঙ্গী হিসেবে তাকে নিয়ে আসেন।

এবং অনুশীলন করে মেডিটেশন করে তিনি যখন তার সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন তখন তিনি নিঃসন্দেহে আপনার এই উদ্যোগের জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ দেবেন। এবং তার এই কল্যাণ করার জন্যে তিনি আজীবন আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন।

পরম করুণাময় ধ্যান চর্চার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে সুস্থ রেখেছেন, আমাদেরকে শান্তিতে রেখেছেন, আমাদেরকে কল্যাণের মধ্যে রেখেছেন। এবং এই কল্যাণকে সবার মাঝে চারপাশে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই হোক আমাদের প্রত্যয়। আমাদের লক্ষ্য।

কারণ একা একা সুখী থাকা যায় না। চারপাশের সবাইকে নিয়ে সুখী থাকা এটাই আমাদের লক্ষ্য। এবং এটাই প্রত্যেকটা ভালো মানুষের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।

তাই আমরা আমাদের কোয়ান্টামের বাণী বর্ণিল জীবনের বাণী সুখী জীবনের বাণী সুস্থ জীবনের বাণী চারপাশের মানুষের কাছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পৌঁছে দিয়ে তাদের জীবনকেও বর্ণিল সুখী সুস্থ সফল করে তুলব। এটাই আমাদের এ মাসের প্রত্যয়।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com