1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

পজিটিভ মাইন্ডসেট জীবনকে সফল করে

  • সময় মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৮৪ বার দেখা হয়েছে

 কোয়ান্টাম বর্ষ ৩৩-এর শুভক্ষণে আমরা পরম করুণাময়ের কাছে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কোয়ান্টাম কর্মমুখর ৩২টি বছর পার করে ৩৩তম বছরের যাত্রা শুরু করেছে। মেডিটেশন আজ স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি ক্রীড়া ও শিক্ষা জীবনেরও অংশ।

‘দ্য ইয়ার অব মেডিটেশন’-২০২৫

কোয়ান্টাম ঘরে ঘরে মেডিটেশন ঘরে ঘরে এই চাওয়াকে বেগবান করার জন্যে ২০২৫ ঘোষিত হয়েছে ‘ইয়ার অব মেডিটেশন হিসেবে। সাফল্য ও আনন্দের এই মুহূর্তে যাদের ত্যাগ ও শ্রমে এই অর্জন কোয়ান্টামের সকল স্তরের সেই সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আমরা আমাদের গভীর গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আর আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করছি, পরম করুণাময় আমাদের সবার কাজকে সৎকর্ম হিসেবে কবুল করুন। আর কোয়ান্টাম বর্ষ ৩৩-কে ভালো ভাবার ভালো বলার ভালো করার ভালো থাকার বছরে রূপান্তরিত করার তওফিক প্রদান করুন।

‘সালাম প্রচলনের বছর’-২০২৪

কোয়ান্টাম বর্ষের প্রথম মাস জানুয়ারির প্রথম শুক্রবার আমরা উদযাপন করে এসছি টোটাল ফিটনেস ডে হিসেবে।

গত বছর টোটাল ফিটনেস ডে-তে নিঃসঙ্গতা ও একাকিত্ব কাটিয়ে উঠার জন্যে, বাস্তব সামাজিক যোগাযোগ বাড়ানোর জন্যে আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম ছোট-বড় পরিচিত-অপরিচিত নির্বিশেষে সবাইকে আগে সালাম দিন।

শুধু তরুণ প্রজন্ম নয়, তাদের অভিভাবকরাও বাস্তব যোগাযোগ বাড়িয়েছেন রাস্তায়। যারা হয়তো ব্যস্ত থাকতেন নিজেকে নিয়ে এক বায়বীয় জগতে, তারাও বিপুল সংখ্যায় রাজপথে নেমে শুধু পরস্পর পরিচিত হন নি ইতিহাসের বাঁক বদলিয়েছেন।

আবার আগস্টের আকস্মিক বন্যার সময় সারাদেশে মহল্লায় মহল্লায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করেছেন, নিজেরাই ট্রাক লরি ভাড়া করে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বন্যাত্রাণে গিয়েছেন। বিপুল সংখ্যক ত্রাণ বোঝাই গাড়ির ভিড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কই কয়েকদিনের জন্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

২০২৪ সালে সালামের প্রচলন যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ। সমাজের প্রতি দেশের প্রতি ভালবাসা। দেয়ালে দেয়ালে তরুণরা লিখেছে ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’।

যে-কোনোকিছু অর্জনের সহজ পথ কী?

ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ এই বাণীটি ছিল আমাদের ২০২২ সালের বিশ্ব মেডিটেশন দিবসের বাণী।

নিজেকে নিয়ে দেশকে নিয়ে জীবন নিয়ে ভালো ভাবা ইতিবাচক ভাবা নেতিবাচক কিছু না ভাবা হচ্ছে, যে-কোনো অর্জনের সহজ পথ। আমরা আমাদের একটি প্রাচীন গল্প থেকেও এই শিক্ষা পাই।

১. ভালো ও ইতিবাচক ভাবা

গল্পটি হচ্ছে এরকম- একটা বর্ধিষ্ণু গ্রাম। গ্রামে দুই শিশুর মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব! একজনের বয়স ছয় বছর আরেকজনের বয়স ১০ বছর। মায়ের পেটের ভাইয়ের মতোই একজন আরেকজনের প্রতি টান। একসাথে খেলাধুলা একসাথে ঘোরাঘুরি করে।

দুজন একদিন ঘুরতে ঘুরতে গ্রাম থেকে বেশ দূরে একটা জঙ্গলাকীর্ণ পরিত্যক্ত ভিটায় গিয়ে খেলায় মেতে ওঠে। খেলতে খেলতে অসতর্ক এক মুহূর্তে ১০ বছরের শিশুটি বাড়ির পরিত্যক্ত কুয়ায় পড়ে যায়।

কুয়ায় হাবুডুবু খাচ্ছে শিশুটি। ছয় বছরের শিশু কুয়োর কাছে গিয়ে প্রথম চিৎকার করে উঠল। কিন্তু তার চিৎকারে কে সাড়া দেবে! আশেপাশে তো কোনো লোকজন নেই!

শিশুটি কী করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না। একটাই চিন্তা, বন্ধুকে কুয়ো থেকে তুলতে হবে। হতবুদ্ধি হয়ে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে! হঠাৎ কিছু দূরে দেখতে পেল একটা মোটা রশি তার সাথে একটা পুরনো মরচে পড়া বালতি। তার মাথায় বিদ্যুৎ গতিতে বুদ্ধি খেলে গেল- এই রশি বালতি ফেলেই বন্ধুকে কুয়ো থেকে উঠাতে হবে।

সে দ্রুত রশিতে বাধা বালতি কুয়োয় ফেলে দিল। বন্ধুকে বলল, বন্ধু তুমি ভালো করে রশি ধরে রাখো, আমি তোমাকে টেনে তুলব। বন্ধু রশি ধরার পর ছয় বছরের শিশুটি প্রাণপণে রশি টানতে শুরু করল। রশি টানছে, আর একটু একটু করে পেছাচ্ছে। কষ্ট হচ্ছে তার কিন্তু তারপরও সর্বশক্তি দিয়ে টানছে, একটু একটু করে পেছাচ্ছে, একসময় বন্ধুর মুখ দেখা গেল কুয়োর মুখে। বন্ধু মাটি আঁকড়ে বাকিটুকু উঠে গেল।

ছয় বছরের শিশুটি রশি ছেড়ে দৌড়ে এসে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করল কিছুক্ষণ। তারপরে স্থির হলো। স্থির হওয়ার পর গ্রামে ফিরে এলো। গ্রামে এসে সবাইকে তাদের ঘটনা বলল।

গ্রামের সবাই একবাক্যে বলল অসম্ভব। ছয় বছরের শিশু ১০ বছরের শিশুকে টেনে তোলে কীভাবে? আবার এরা বানিয়ে কিছু বলছে তাও ভাবতে পারছে না। কারণ ভালো শিশু হিসেবে দুজনই গ্রামে পরিচিত ছিল।

তখন তারা তাদের প্রশ্নের জবাব পেতে শিশু দুইটিকে নিয়ে গ্রামের প্রবীণ জ্ঞানী মুরব্বির কাছে গেল। মুরব্বি সব শুনে একটু হেসে বললেন, তোমরা সেখানে ছিলে না বলেই ছয় বছরের শিশুটি কাজটি করতে পেরেছে।

কারণ কাজটা সম্পর্কে নেতিবাচক কোনো কথা বলার কেউ ছিল না। আর ‘সে পারবে না এমন কোনো ভাবনাও তার মধ্যে আসে নি’। তার কাছে তার ভাবনা খুব পরিষ্কার ছিল, বন্ধুকে কুয়া থেকে তুলতে হবে। ভাবনা যেহেতু পরিষ্কার ছিল, ভাবনায় যেহেতু ভেজাল ছিল না কোনো নেতিবাচকতা ছিল না তাই তার মস্তিষ্ক ও শরীরের যেটুকু শক্তি আছে তা পুরো মাত্রায় তার লক্ষ্য অর্জনের জন্যে কাজ করেছে।

এখন যদি তাকে ওখানে নিয়ে যাও ১০ বছরের শিশুটিকে কুয়ো ফেলে দিয়ে তাকে উঠাতে বলো তাহলে দেখবে সে পারবে না। তোমাদের বলা নেতিবাচক কথাগুলো তার ভাবনাকে বিভ্রান্ত করে দেবে।

২. নেতিবাচক কিছু না ভাবা

এই গল্পটির সাথে সাথে আরেকটি ঘটনা মনে পড়ল, বিক্রমপুরের ঘটনা। তাও প্রায় ৮০-৯০ বছর আগের, ইংরেজ আমলের। তখন বিক্রমপুরে চোর ডাকাতের উপদ্রব ছিল বেশি। ডাকাতদের মধ্যে ওমরা ডাকাত ছিল সবার কাছে মূর্তমান আতঙ্ক। গৃহস্থরা যতটুকু সম্ভব ডাকাতদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করত।

তখনকার দিনে ডাকাতরা রাতের আঁধারে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকত। সিঁধ একধরনের সুড়ঙ্গ, যা দিয়ে প্রথম দু-পা ঘরে ঢোকাতো তারপর ঢোকাতো মাথা।

তো এক গৃহস্থ ঘরে সিঁধ কাটা হচ্ছে, ঘরের গৃহিণী টের পেলেন। তিনি ছিলেন সাহসী, শরীরও পেটানো শ্রমজীবীর শরীর। তিনি সিঁধের কাছে চলে গেলেন। সিঁধ কাটা শেষ, ডাকাত প্রথম দু-পা ভেতরে ঢুকিয়ে যে-ই মাথা ঢুকিয়েছে তিনি দু-হাত দিয়ে ডাকাতের পা মাথা একত্র করে জাপটে ধরলেন। জাপটে ধরে দিলেন চিৎকার। বেকায়দায় আটকা ডাকাত তার শক্তি বা হাতিয়ার কিছুই ব্যবহার করার সুযোগ পেল না।

লোকজন একত্র হয়ে ডাকাতকে আটকে ফেলে মহিলার সাহসের খুব প্রশংসা করতে লাগল। কিছুক্ষণ পর ডাকাতের পরিচয় জানা গেল। ওমরা ডাকাত। মহিলা এতক্ষণ খুব আনন্দে ছিলেন ডাকাত ধরেছেন, যেই নাম শুনলেন ওমরা ডাকাত, সাথে সাথে সেন্সলেস মূর্ছা গেলেন। অনেকক্ষণ লাগল তার জ্ঞান ফিরতে।

কৌশল ও মানসিক শক্তিতে তিনি ডাকাতকে কাবু করেছেন, কিন্তু যখন নাম শুনলেন তখন নেতিবাচক ভাবনা-ভয় তাকে মুহূর্তে কাবু করে ফেলল।

কীভাবে মাইন্ডসেট করবেন?

সত্য বলতে কী, নেতিবাচক ভাবনা, ভয়, আশঙ্কা এবং অন্যের নেতিবাচক কথায় আমরা বিশ্বাস ও উদ্যম হারিয়ে ফেলি। কিন্তু যারা জয়ী হন তারা এই নেতিবাচকতাকে জয় করেন বলেই জয়ী হন।

১. দুবেলা নিয়মিত মেডিটেশন করুন

ক্যারোলিন বুকানন, অস্ট্রেলিয়ার এই সাইক্লিস্ট দুবার অলিম্পিক এবং আটবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। কিন্তু এখনো যখন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, কিছু মুহূর্ত আসে তখন ভয় ও সংশয় তাকে ঘিরে ধরে।

যখন তিনি সাইকেল নিয়ে পাহাড়ি পথে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে ছুটতে হয়তো ৪০ ফুট ওপর থেকে সাইকেল নিয়ে লাফ দেবেন তখন ব্রেন তাকে সিগনাল দেয়- সামনে বিপদ, বাইক থেকে নেমে পড়ো। সেই মুহূর্তেও মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের গন্তব্যে ফোকাস থাকতে পারেন তিনি। তার ভাষায় মেডিটেশন তাকে এই সংকট মুহূর্তে ঠান্ডা ও ফোকাস থাকতে সাহায্য করে।

দাবা হোক রেসলিং হোক রাগবি হোক বাস্কেটবল হোক ব্যাডমিন্টন হোক বা জিমন্যাস্টিক যে-কোনো খেলার শীর্ষ পর্যায় প্রথম ২০ জনের মধ্যে শারীরিক সামর্থ্য ও টেকনিকেল দক্ষতায় তেমন কোনো পার্থক্য থাকে না, বড়জোর ১৯/২০। পার্থক্যটা হয় মানসিক শক্তিতে।

ক্রীড়াবিদরা বলেন, যিনি মাথা ঠান্ডা রেখে ফোকাস করতে পারেন তিনিই বিজয়ী হন। এজন্যে তারা নিয়মিত মেডিটেশন করেন।

সাইক্লিস্ট ক্যারোলিন বুকানন, বাস্কেটবলের ১১ বার চ্যাম্পিয়ান ফিল জ্যাকসন, টেনিস চ্যাম্পিয়ন নোভাক জেকোভিক, ১৮ বছর বয়সে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ান গুকেশ ডোম্মরাজু- এরা নিয়মিত মেডিটেশন করেন।

আসলে খেলার প্রথম সারির সবাই নিপুণ! কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হন তিনিই, যিনি সঠিকভাবে মাইন্ডসেট করতে পারেন। আর বাস্তবতা হচ্ছে নিয়মিত দুইবার মেডিটেশন এই মাইন্ডকেই সঠিকভাবে সেট করে।

আমাদের দেশেও যদি দেখি তবে দেখব যারা মেডিটেশন চর্চা করছেন তারা ভালো ভাবতে পারেন। তারা মাইন্ডসেট করতে পারেন, তারা সবক্ষেত্রেই ভালো করছেন।

সম্প্রতি ঢাকায় পঞ্চম জাতীয় বয়সভিত্তিক জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতায় ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৩৫ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় মোট ১২০টি পদকের মধ্যে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ৩২ জন জিমন্যাস্ট ৪১টি সোনা অর্থাৎ সবকটি সোনাসহ মোট ৯৬টি পদক জয় করে।

আসলে সব স্কুলের জিমন্যাস্টরাই ভালো, কিন্তু পার্থক্যটা করে দেয় মেডিটেশন, সঠিক মাইন্ডসেট।

২. ভালো ভাবুন ভালো বলুন

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) কোভিড ১৯ অতিমারির কারণে ছাত্রদের ক্ষতিগ্রস্ত মানসিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে স্কুলগুলোয় মেডিটেশন চালু করার অনুমোদন দেয়।

গত বছর সারা যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলগুলোয় মেডিটেশন ক্লাস রুটিনের অন্তর্ভুক্ত হয়। শিক্ষকরা ক্লাসে মেডিটেশন শুরু করার ছাত্রদের মধ্যে আচরণগত পরিবর্তন লক্ষ করছেন। অর্থাৎ মেন্টাল ফিটনেসের জন্যে মেডিটেশনের কোনো বিকল্প নেই। সে ছাত্র হোন শিক্ষক হোন ক্রীড়াবিদ হোন চাকরিজীবী হোন গৃহিণী হোন।

ভালো ভাবার জন্যে ভালো থাকার জন্যে মেডিটেশন হচ্ছে সবচেয়ে সহজ কার্যকর ফলপ্রসূ চর্চা।

এজন্যে গত ২৯শে নভেম্বর ২০২৪ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সর্বসম্মত প্রস্তাবে ২১শে ডিসেম্বরকে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে মেডিটেশনের গুরুত্ব ও ভালো থাকার জন্যে এর কার্যকারিতারই বিশ্ব স্বীকৃতি।

আর কোয়ান্টাম ২০২৫ সালকে ইয়ার অফ মেডিটেশন বা মেডিটেশনের বছর হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাই আসুন- ভালো ভাবার ভালো বলার ভালো করার ও ভালো থাকার জন্যে নিয়মিত মেডিটেশন চর্চা করি।

৩. অন্তত ১৫-২০ মিনিট মেডিটেশন চর্চা করুন

মেডিটেশন চর্চা আসলে করতে হয় দিনে দুবার। ৩০ মিনিট করে করতে পারলে খুব ভালো! না হলে অন্তত ১৫-২০ মিনিট করে হলেও করা উচিৎ।

আসলে দাঁত যেরকম দুবার ব্রাশ করতে হয়- একবার রাতে ঘুমোনোর আগে আর দ্বিতীয়বার ঘুম থেকে ওঠার পরে। একদিন মিস গেলেই দাঁতের মাড়িতে ময়লা জমে! আর কয়েকদিন যদি ব্রাশ না করেন তখন আপনার মুখেই দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকবে।

আর দাঁত-মাড়ির অযত্ন যদি ক্রমাগত চলতে থাকে, তাহলে অকালেই দাঁত মাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। তেমনি মেন্টালি ফিট থাকার জন্যে দুবেলা নিয়মিত মেডিটেশন তা যতক্ষণই হোক অনুশীলন করুন।

৪. ভালো ভাবনাকে স্বভাবে পরিণত করুন

এই দিনে দুবেলা মেডিটেশন আপনার মনে জমা আবর্জনা অর্থাৎ নেতিবাচক ভাবনাগুলোকে দূর করে দেয়। নেতিবাচকতা তখন পরতে পরতে জমে ভয়, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার রূপ নিতে পারে না। মাথা ঠান্ডা থাকে, ফোকাস ভালো হয় মাইন্ড তখন অটোমেটিক সেট হয়ে যায়। ভালো ভাবা তখন আপনার স্বভাবে পরিণত হয়। আর ভালো ভাবাটাই হচ্ছে ভালো থাকার মূল ভিত্তি।

৫. প্রতিদিন ১০ বার নিম্নোক্ত অটোসাজেশন দিন

ভালো ভাবনাকে স্বভাবে পরিণত করার আরেকটি পরিপূরক উদ্যোগ হচ্ছে অটোসাজেশন। প্রতিদিন যখনই সময় পান অটোসাজেশন দিন, ভালো ভাবব ভালো বলব ভালো করব ভালো থাকব।

আসুন না সবাই মিলে একসাথে বলে ভালো ভাবনার সামাজিকায়ন ঘটাই। আমার সাথে জোরে জোরে বলুন,

ভালো ভাবব ভালো বলব ভালো করব ভালো থাকব।

ভালো ভাবব ভালো বলব ভালো করব ভালো থাকব।

ভালো ভাবব ভালো বলব ভালো করব ভালো থাকব।

ভালো ভাবব ভালো বলব ভালো করব ভালো থাকব।

ভালো ভাবব ভালো বলব ভালো করব ভালো থাকব।

ভালো ভাবব ভালো বলব ভালো করব ভালো থাকব।

ভালো ভাবব ভালো বলব ভালো করব ভালো থাকব।

ভালো ভাবব ভালো বলব ভালো করব ভালো থাকব।

ভালো ভাবব ভালো বলব ভালো করব ভালো থাকব।

ভালো ভাবব ভালো বলব ভালো করব ভালো থাকব।

ভালো ভাবব ভালো বলব ভালো করব ভালো থাকব।

ভালো ভাবব ভালো বলব ভালো করব ভালো থাকব।

প্রত্যেকদিন যখনই সময় পান ১০ বার এই অটোসাজেশন দিন। ভালো ভাবনা ধীরে ধীরে আপনার অভ্যাসের অংশ হয়ে যাবে।

গুরুজীর উদাত্ত আহ্বান

২০২৫ মেডিটেশনের বছর আর বছরের প্রথম কোয়ান্টাম মেথড কোর্স অনুষ্ঠিত হবে ১৭-১৮-১৯-২০ জানুয়ারি।

যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে স্কুলের ছাত্রদের এখন মেডিটেশন চর্চা করানো হচ্ছে সে কারণে সচেতন অভিভাবক হিসেবে যদি আপনার ছেলেমেয়েকে মেডিটেশন না শেখান, তাদের ভালো থাকার সুযোগ সৃষ্টি না করেন তবে ভবিষ্যতে এজন্যে তারা আপনাকে দোষারোপও করতে পারে।

তাই বছরের শুরুতেই তাকে মেডিটেশন কোর্সে ভর্তি করে দিন। কোয়ান্টাম মেথড কোর্স নিঃসন্দেহে তার সঠিক মাইন্ডসেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গত তিন মাসে কোর্স রিপিট করে না থাকলে বছরের প্রথম কোর্সটি রিপিট করুন। আপনি নতুনভাবে উজ্জীবিত হবেন।

আজকের সাদাকায়ন ও টোটাল ফিটনেস ডে প্রোগ্রামে অংশ নেয়ার জন্যে আপনাকে আবারও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ২০২৫ আপনার, আপনার পরিবার ও দেশের জন্যে সোনালি বছর হোক। আপনার মেন্টাল ফিটনেস, আপনার মাইন্ডসেট আপনাকে করুক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পরম করুণাময় আমাদের সবাইকে তাঁর রহমত তাঁর করুণার ছায়ায় রাখুন।

২০২৫ ইয়ার অফ মেডিটেশনে, সবাই ভালো ভাবুন ভালো বলুন ভালো করুন ভালো থাকুন।

[০৩ জানুয়ারি ২০২৫ সাদাকায়নের জন্যে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে গুরুজীর প্রদত্ত বক্তব্য]

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com