যৌন আগ্রহ তৈরি হচ্ছে সন্তানের, শিক্ষা কীভাবে দেবো?
সহজ সরলভাবে দেবেন। সহজ জিনিসকে সহজভাবে বলবেন। এটা একটা জৈবিক তাড়না এটা বোঝাবেন এবং এই জৈবিক তাড়নাটাকে কন্ট্রোল করাটা যে ধর্মের শিক্ষা নৈতিকতার শিক্ষা এটা বোঝাবেন।
যেরকম, ক্ষুধা লাগলে খাওয়াটা নিয়ম। কিন্তু অন্যের জিনিস খাওয়াটা যে অন্যায়, যেগুলো ক্ষতির জিনিস সেটা খাওয়া অন্যায় এটাকেও একইভাবে বোঝাবেন যে, তোমার এই ক্ষুধাটাকে তুমি কীভাবে পূরণ করবে? এই চাওয়াটাকে কীভাবে পূরণ করতে পারো?
খুব সহজভাবে বলবেন। সন্তান যদি ১৯/২০ বছর বয়সে বিয়ে করতে চায় বিয়ে দিয়ে দেবেন যে, করো বিয়ে। তুমি যদি দায়িত্ব নিতে পারো অসুবিধা কী আছে? বিয়েটা তোমার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। বিয়েটা তোমাকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে দিতে পারে।
অতএব যখনই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে যে কথাগুলো যেভাবে বলা উচিৎ, ভালো-মন্দ ধর্মের শিক্ষা নৈতিকতার শিক্ষা প্রত্যেকটা ব্যাপারে তার কাছে পরিষ্কার করে দেয়া উচিৎ। তাতে সে বুঝতে পারবে কী তার করা উচিৎ কী তার করা উচিৎ না। এবং সে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কারণ তার জীবন তো তার।
আপনি তার জীবন গড়তে সহযোগিতা করতে পারেন, কিন্তু আপনি তার জীবনকে গড়তে উদ্বুদ্ধ করলেই আপনি সবচেয়ে বেশি সফল হবেন।
আপনি কোনোকিছু চাপিয়ে দিতে চাইলে কোনো লাভ নাই। কারণ কোনোকিছু চাপিয়ে দেয়া জিনিস কখনো থাকে না।
সন্তানকে সবসময় উদ্বুদ্ধ করবেন। এবং প্রথম কাজ হবে সন্তানকে একটা স্বপ্ন দেয়া।
তো মানুষের ভেতরের যে সম্ভাবনা এই সম্ভাবনাটা উঠে আসে যখন তাকে একটা স্বপ্ন দেয়া যায়, একটা ভাবনা দেয়া যায় এবং সেই ভাবনাটা যাতে তার বিশ্বাসে রূপান্তরিত হয় সেজন্যে এই ভাবনাটা বার বার, বার বার তাকে দেয়া, যাতে এটা তার বিশ্বাসে পরিণত হয়। এবং সে বিশ্বাস করতে পারে এরকম শক্তি দিয়ে এরকম মনোযোগ দিয়েই তাকে ভাবনাটা দিতে হবে।
তো সন্তানকে বড় হওয়ার ভাবনা বড় হওয়ার স্বপ্ন এটা ইমপ্লান্ট করাটাই সন্তানের মনে প্যারেন্টিংয়ের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।
আপনি আপনার সন্তানকে বড় স্বপ্ন এবং বড় বিশ্বাস দিতে পারছেন এবং তখনই আপনি মা-বাবা হিসেবে সফল হবেন।
[প্যারেন্টিং ওয়ার্কশপ, ২৭ মে ২০২৩]