বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নিজের লেখা ‘জনক আমার-নেতা আমার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
বইটিতে পাঠকরা বঙ্গবন্ধুর জীবনকথা ও সংগ্রামগাথার সমান্তরালে খুঁজে পাবেন গোটা বাঙালি জাতির উন্মেষকথা ও বিজয়গাথার গল্পসমূহ।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। পাশাপাশি ১৯৭৫-এর কালো অধ্যায়, হত্যাকাণ্ডের বিচারের মাধ্যমে বাঙালির কলঙ্কমোচন ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পও খুঁজে পাওয়া যাবে বইটিতে। বঙ্গবন্ধুর জনশতবর্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘জনক আমার-নেতা আমার’ বই প্রতিটি বাঙালির জন্য এক অনন্য উপহার বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যাই নন, তার যোগ্য উত্তরসূরিও বটে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবরণের সময় বিদেশে অবস্থানের কারণে বেঁচে যান দুই সন্তান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি এক ক্লান্তিহীন যোদ্ধা। চারবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনা এখন এক বিশ্বনেতার নাম। শান্তি, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত শেখ হাসিনা একজন অসাধারণ লেখকও।
১৯৮৯ সালে শেখ হাসিনার প্রথম বই ‘ওরা টোকাই কেন’ প্রকাশিত হয়। এখন পর্যন্ত তার বেশকিছু মৌলিক ও সম্পাদিত বই এবং রচনাসমগ্র প্রকাশিত হয়েছে। নিজের বইয়ের পাশাপাশি তিনি বঙ্গবন্ধুর বই ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বইয়ের বিশদ ভূমিকাও লিখেছেন। চারুলিপি প্রকাশন প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার ও এ সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক শেখ হাসিনার সমুদয় রচনার একত্রিত রূপ ‘বঙ্গবন্ধুু শেখ মুজিবুর রহমান, জনক আমার-নেতা আমার’ শিরোনামে প্রকাশ করল।