ফেসবুক ব্যবহারের জন্য যেসব কমনসেন্স আপনার থাকা উচিত
১. কারো ফেসবুক পোস্ট, ছবি, অন্যান্য এক্টিভিটিজ দেখে তার ব্যক্তিগত জীবনকে জাজ করবেন না।
২. কারো পাবলিক পোস্ট শেয়ার করার জন্য কমেন্ট বক্সে- “ভাইয়া/আপু, আমি কি এটা শেয়ার করতে পারি?” বলার প্রয়োজন নাই। যেহেতু শেয়ার অপশন আছে, সুতরাং শেয়ার করলে দোষ নাই।
৩. কারো স্ট্যাটাসে বানান ভুল থাকলেই তারে পচানোর চেষ্টা করবেন না। বিনয় নিয়ে তাকে কমেন্ট বক্স অথবা ইনবক্সে বলতে পারেন- আপনার এই বানানটা সম্ভবত ভুল হয়েছে কিংবা টাইপিং মিস্টেক।
৪. কারো কমেন্টবক্স থেকে সুন্দরী মেয়েদের গণহারে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না।
৫. কারো পাবলিক প্রোফাইল, যেখানে আপনি সব পোস্ট অথবা স্ট্যাটাস দেখতে পারেন; সেখানে বারবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করার কথা বলা জরুরী না। আপনি তার ফ্যান হইলে, তার সব লেখা কিংবা ছবি কষ্ট করে খুঁজেই দেখতে পারেন। তাছাড়া ফলো করলেও সব আপডেট আপনার নিউজফিডে আসবে।
৬. কারো পোস্ট কিংবা ছবিতে ইরেলিভ্যান্ট কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
৭. “এড মিহ, ব্রো” ইজ অ্যান ওল্ড ট্যাকনিক। প্রোডাক্টিভ কিছু কমেন্ট করুন, যাতে সে আপনাকে মনোযোগ দেয় এবং নিজেই এড করে।
৮. কোন মেয়ের স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, কমেন্টে স্ল্যাং ইউজ করা কিংবা এইটিন প্লাস মিম শেয়ার করা দেখে, তারে বিছানায় নেওয়ার স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেন। এভরিওয়ান ইজ নট ইউর কাপ অব টি। বি অ্যা ম্যাচিউর ম্যান।
৯. সাহিত্য চর্চা করে এমন কারো দুঃখের পোস্টে যেয়ে- “ভাইয়া, আপনার কি মন খারাপ?” বলা বন্ধ করুন। সবকিছুকে ব্যক্তিগত ভাবাটাও বোকামি।
১০. অন্যের লেখা ভাল লাগলে শেয়ার করুন। রিচ পেতে চাইলে কপি করে তার নাম কার্টেসি সহ পোস্ট করুন। লেখক সম্পর্কে অবগত না থাকলে, কালেক্টেড লিখে দিন। যা আপনার নয়, তা নিজের বলে দাবি করা মূর্খতা। ব্যক্তিত্বহীনতা। কারো লেখা কপি করে, তার নাম লিখে দিলে আপনার ভাবমূর্তি কমে যাবেনা বরং বাড়বে। এতেই আপনার স্বচ্ছতা।
১১. কারো লেখা আপনার মতাদর্শের বাইরে হলেই তাকে এট্যাক করা জরুরী নয়। আপনি যুক্তি তর্কের মাধ্যমে তাকে পরাজিত করতে পারেন। সেই জ্ঞ্যান না থাকলে, চুপ থাকুন।
১২. কারো কথা আপনার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে, তাকে জ্ঞ্যান না দিয়ে, গালাগালি না করে, তাকে আপনার পথ সম্পর্কে অবহিত করতে পারেন। আপনার সিদ্ধান্ত তারে চাপায় দিতে পারেন না। এই পৃথিবীতে আপনি যেমন আস্তিক হওয়ার অধিকার রাখেন, কেউ নাস্তিক হওয়ারও অধিকার রাখে। দুনিয়াটা আপনার একার তো না।
১৩. আপনি যেই ধর্মেরই হন না কেন, অন্যের ধর্মকে শ্রদ্ধা করুন। এটাই আপনার শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।
১৪. রাত বারোটার পর অচেনা মেয়েদের ইনবক্সে নিজের পেনিসের ছবি পাঠানোর চর্চা থেকে বের হয়ে আসেন। বড় পেনিস দিয়ে আসলে কিছু হয়না; মেন্টাল এটাচমেন্ট না থাকলে- ওইসবে লাভ নাই।
আশা করি এইসব কমনসেন্স নিজের ভেতর ধারন করার চেষ্টা করবেন।
ধন্যবাদ।
হ্যাপি ফেসবুকিং
লেখক
আহম্মেদ ইমন (এডমিন rmgbdnews24.com)