রকেট নির্মাণপ্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, আপনি কিভাবে রকেট তৈরি করলেন? উত্তরে তিনি বললেন, বই পড়ে।
ইলনের বয়স যখন নয় বছর, তখন তিনি এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা পুরোটা পড়ে ফেলেছিলেন! সে সময় বিজ্ঞান কল্পকাহিনী পড়তে গড়ে ১০ ঘণ্টা সময় তিনি ব্যয় করতেন।
আজ সেই মানুষটির হাত ধরেই মঙ্গলে বসতি গড়ার স্বপ্ন দেখছে মানুষ। ভার্জ ম্যাগাজিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমার ছোট্ট লাইব্রেরিতে মহাকাশ-সম্পর্কিত যত বই আছে, তার সবকটি আমি পড়েছি।’
ব্যতিক্রম আমাদের দেশেও নেই! জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যারের কথাই ধরা যাক! আমাদের অভিভাবকসম দেশের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম এই শীর্ষ প্রকৌশলী ও শিক্ষাবিদ নিয়মিত বই পড়তেন।
পঞ্চাশের দশকে এসএসসি পরীক্ষায় পর প্রতিদিনই তিনি সদ্য চালু হওয়া পাবলিক লাইব্রেরিতে (এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি) সকালে চলে যেতেন, দুপুরে বাসায় খেতে এসে আবার লাইব্রেরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই বই পড়তেন।
ছোটবেলা থেকে যেকোনো বিষয়ের বই তিনি পড়তেন। বুয়েটে শিক্ষাকালীন প্রতিদিন ক্লাস থেকে চলে যেতেন ব্রিটিশ কাউন্সিলে, কোনো কোনো দিন ইউএসআইডি লাইব্রেরি। তরুণদের জন্য স্যারের আপ্তবাক্য—‘পড়ার সময় এখনই। বিষয় নিয়ে ভাবার দরকার নেই। শুধু পড়তে থাকো।’