বাঙালী জাতীয়তাবাদে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য
সময়
রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
৩৬৭৮
বার দেখা হয়েছে
সন্দেহাতীতভাবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি হচ্ছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। স্বাধীন বংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই তৎকালীন পূর্ব বাংলার গণতান্ত্রিক আন্দোলন সুসংহত হয় এবং অগ্রগতি লাভ করে।এই আন্দোলনের পরেই স্ফুলিঙ্গের মত বাঙ্গালী জাতির দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটে। ভাষা আন্দোলনের চেতনাই জনগণের মধ্যে পরবর্তীকালে একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক নতুন চেতনার উন্মেষ ঘটায় এবং এর মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটে।
বাঙালি জনগণের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে হাজারগুণে বর্ধিত করে দেয়। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিল, তা পরবর্তী আন্দোলনগুলোর জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনে। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের ঐতিহাসিক বিজয়, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য বিশেষভাবে প্রেরণা জুগিয়েছিল সেই বীর সেনারা,যারা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করে বিজয়ী হয়েছিল । সুতরাং বাঙ্গালী জাতির কাছে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অসীম।কেননা ভাষা আন্দোলনের ঢেউ পরবর্তীকালে সংঘটিত সকল আন্দোলনে ছড়িয়ে পড়ে এবং ধীরে ধীরে স্বাধীনতার পথকে সুপ্রশস্ত করেছে । তাই ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ উদ্ভবে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ।