ইউসিমাস মালয়েশিয়ার উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এ বছর ৭ ও ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ২৪তম ইউসিমাস অ্যাবাকাস ও মেন্টাল অ্যারিথমেটিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। কম্বোডিয়ার ফেনম পেং-এর দ্য প্রিমিয়াম সেন্ট্রার, সেন সক্-এ অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের পাঁচ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন লেভেলে অংশ নেয় ১৬ ক্ষুদে ইউসিমাস জিনিয়াস।
আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের ক্ষুদে জিনিয়াস তাহমিদ আল আসাদ। প্রথম রানারআপ হয়েছে শেখ ইসতিয়াক আহমেদ, আহমেদ নওফেল জাকি, জারা নাসরা দাইয়ান, বিবেক দেবনাথ, দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে আহনাফ মুনতাসির, এস কে সুমাইয়া রহমান নিরা, শেখ রাইয়ান আহমেদ, দিয়ানাহ দিফাআ, ইশরাক তানভির, ব্রিজেশ দেবনাথ, তৃতীয় রানার আপ হয়েছে আনিসা মেহজাবিন শোহা, রুদাকি সোবহান, নামিরা কাজী, ইবনুল আদিব এবং মেরিট তালিকায় রয়েছে তামজিল আল আসাদ।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ইউসিমাস বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে বিজয়ী বাংলাদেশের শিশুদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা স্মারক এবং প্রসংশাপত্র তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউসিমাস বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল ফ্রানচাইজি মো. আহসান কবির, পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌসী এবং উপদেষ্টা আনোয়ারুল হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানভিত্তিক শিশু মেধাবিকাশের প্রতিষ্ঠান ইউসিমাস। এটি বিশ্বের স্বনামধন্য শিশু মেধাবিকাশ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সফলভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের ৮০টিরও অধিক দেশে শিশুদের মেধা বিকাশের এই পদ্ধতি পরিচালিত হচ্ছে।
এদিকে ইউসিমাস-এর এবারের আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতাটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ অ্যাবাকাস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে এশিয়া বুক অব রেকর্ড এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এবারের প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার ইউসিমাস এর প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. ডিনো ওয়াং। প্রধান অতিথি ছিলেন কম্বোডিয়ার শিক্ষা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী ড. হ্যাং চুয়াং ন্যারন। এছাড়া বিশ্বের ৮০টি দেশের ইউসিমাস-এর প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মাত্র ৪ থেকে ১৪ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদের মেধা বিকাশ নিয়েই কাজ করার তথা তাদের প্রশিক্ষণের মূল উপকরণ হচ্ছে ‘অ্যাবাকাস’। অ্যাবাকাস হচ্ছে প্রাচীনতম একটি গণন যন্ত্র। বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে এই গণন যন্ত্রটি ব্যবহার করার মাধ্যমে গাণিতিক উপায়ে বর্তমানে শিশুদের অতি দ্রুত মেধার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। বিশেষ করে শিশুদের মনোযোগ, স্মরণশক্তি, আত্মবিশ্বাস, উপস্থিত বুদ্ধি, অঙ্কে পারদর্শিতা, কল্পনা শক্তি, গতি ও নির্ভুলতার গুণাবলি বৃদ্ধিতে এই পদ্ধতি প্রমাণিত কার্যকর উপায়।
সূত্র : নয়া দিগন্ত, জাগোনিউজ (১৭ ডিসেম্বর ২০১৯)