মসজিদে ডান পা আগে দিয়ে প্রবেশ করুন ও বাম পা আগে দিয়ে বের হোন।
আল্লাহর রহমত কামনা করতে করতে ভেতরে প্রবেশ করুন। প্রার্থনা করুন–’হে আল্লাহ! আমার জন্যে রহমতের সকল দরজা খুলে দাও।’
মসজিদে প্রবেশের আগে মোবাইল ফোন বন্ধ করুন বা সাইলেন্ট করুন। যদি নামাজরত অবস্থায় রিংটোন বেজে ওঠে, তাহলে পকেট থেকে বের করে হলেও ফোন বন্ধ করে দিন।
মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় দোয়া করুন : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমারই কাছে অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি।’
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে না রেখে জুতো নির্দিষ্ট জায়গায় রাখুন। কিংবা সঙ্গে রাখলে কাগজ/ পলিথিনে মুড়িয়ে রাখুন।
সম্ভব হলে পূর্ণ মৌনতা অবলম্বন করুন। মসজিদসহ সবখানেই নামাজরত কারো সামনে নিজেরা গল্প করবেন না, তার মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে এমন শব্দও করবেন না।
আগে ওযু করার জন্যে অন্যকে ধাক্কা দিয়ে সামনে এগোবেন না।
যেখানে ব্যবস্থা আছে সেখানে মহিলাদের জামাতে নামাজ পড়ার সুযোগ করে দিন।
পরে এসে সামনে দাঁড়ানোর জন্যে কাউকে ডিঙিয়ে যাবেন না। যদি সামনে ফাঁকা জায়গা থাকে তাহলে অন্যদেরকে ইশারায় যেতে অনুরোধ করুন, তা না হলে কারো অসুবিধা না করে বিনীতভাবে এগোন।
জায়নামাজ বিছিয়ে জায়গা রাখা থেকে বিরত থাকুন। যিনিই আগে এসে পৌঁছবেন, সামনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার তারই।
জামাতের সামনের দিকের সারিতে শিশু-কিশোররা দাঁড়িয়ে গেলে তাদেরকে পেছনে ঠেলে দেবেন না। বরং এই বয়সে উৎসাহ নিয়ে নামাজে শামিল হওয়ায় তাদের জন্যে দোয়া করুন।
মসজিদে ধীরস্থিরভাবে আসুন। রাকাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কায় তাড়াহুড়ো করে দৌড়ে না এসে জামাতের সাথে যতটুকু পাবেন, আদায় করুন। আর বাকিটা নিজে নিজে পড়ে নিন।
শিন্নি বা তবারক নেয়ার সময় চিৎকার-চেঁচামেচি বা কাড়াকাড়ি করা থেকে বিরত থাকুন।
নিজেদের ওয়াকফ করা জমির ওপর মসজিদ নির্মিত হলে সে জমি আর ব্যক্তিগত মালিকানাধীন থাকে না। তাই ‘নিজেদের মসজিদ’ মনে করে অধিকার প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ পবিত্র স্থানে নেই।