অর্থাৎ অন্য সময়ের তুলনায় এ মাসে তার ইবাদত বন্দেগি এত বেড়ে যেতো যে, অন্যরা তাকে দেখে বুঝতো যে, এখন রমজান চলছে। হাদীসে কুদসীর মাধ্যমে জানতে পারি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন যে, “অন্য যেকোনো সময় কেউ যদি কোন ভালো কাজ করে তার বিনিময় আমি ১০ গুণ থেকে ৭০০ গুণ আমি বৃদ্ধি করে দিই। কিন্তু রমজান মাসে যে রোজা রাখে তার বিনিময় আমি কোনো হিসাব করে দেই না। এটার কোনো সীমা-সংখ্যাও আমি ঘোষণা করি নি এবং এটা আমি অন্য কোনো ফেরেশতার দায়িত্বেও দিয়ে দেই নি। এই কাজটির ফল আমি নিজ হাতে বান্দার প্রয়োজন অনুসারে আমার ইচ্ছেমতো নিজেই প্রদান করবো ।”
এটি বুঝার জন্যে এই ছোট্ট উদাহরণটি খয়াল করি – ধরুন একজন গরিব মানুষ তার চাচাকে টেলিফোন করলো, চাচা আমার বাবা অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে নেবো ৫০০০ টাকা লাগবে। এখন কীভাবে কী করব? চাচা তাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে দিলেন। দেখা গেল যে, চিকিৎসা সম্পন্ন হয় নি। তার আরো টাকা লাগছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার এই চাচার কাছে টাকা চাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু চাচা যদি সেরকম আন্তরিক হয় তাহলে বলবে যে, ভাতিজা ৫০০০/ ১০০০০ টাকা বুঝি না তোমার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাও রিলিজ করার সময় আমাকে বলো। এতে কী হলো? তার ৫০০০ টাকায়ও হয়ে যেতে পারে আবার ৫০০০০ টাকাও লাগতে পারে। অর্থাৎ রিলিজ করা পর্যন্ত চাচা সব দায়িত্ব নিয়ে নিলেন। তেমনি আমরা যদি সৎকর্মও করি তবে হিসেবের বেলায় দেখা গেল আমাদের কম পড়ে গেল। তখন যদি এই রোজার ফজিলত আল্লাহ ১০গুণ /৭০০ গুণ করেও দেন তবুও দেখা গেল আমি মুক্তি পাচ্ছি না।
সেজন্যেই আল্লাহ এই একটি সোর্স হাতে রেখে দিয়েছেন যেন কোথাও আটকে গেলে আরেকটু বাড়িয়ে দিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের পার করে দিতে পারেন।এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি, আমরা যেন মুক্তি পাই ভালো থাকি এই বিষয়টি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর এজন্যেই রমজানকে বলা হয়েছে নাজাতের মাস।