পুরনো নিয়মে ভাতা ও পেনশন সুবিধা বহাল রাখার দাবিতে সারাদেশে ধর্মঘট পালন করছে ট্রেন চালক তথা রানিং স্টাফরা। এতে দেশজুড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছেন চালকরা।
ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় সারাদেশে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভোর থেকে শত শত মানুষ অপেক্ষা করছেন।
জানা গেছে, রেল মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্রেনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈঠক চলছে। সেই বৈঠক থেকে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত না আসাতে এখনও ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি।
এক যাত্রী বলেন, আমি দিনাজপুরে যাব। আমি রোগী নিয়ে আসছি। সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। আমি সাড়ে ৫টায় এখানে আসছি। তারা বলছে টিকিটের টাকা নিয়ে নাও। ট্রেন যাবে না।
অপর যাত্রী বলেন, আমার ট্রেন ছিল ৬টা ৪৫ মিনিটে। দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পর তারা বলছে কাউন্টার থেকে টিকিটের টাকা ফেরত নিতে। কিন্তু হাজার হাজার মানুষ সিরিয়ালে। কাউকে টাকাও দেয় না। কোনো সমাধানও হয় না।
হঠাৎ ধর্মঘটে সাধারণ মানুষ ও অফিসগামী যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে বলে জানান আরেক যাত্রী।
ট্রেন চালকদের একটা দাবি, নির্দিষ্ট আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে যে অতিরিক্ত ভাতা (মাইলেজ) দেওয়া হয়, সেটা যেন সুনির্দিষ্টভাবে সরকারের পক্ষ থেকে একটি নীতিমালা করে সেটা পরিশোধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে রেলের রানিং স্টাফদের মাইলেজ সুবিধা বাতিল করে।
রানিং স্টাফ বলতে ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিকিট পরিদর্শকদের (টিটি) বুঝানো হয়।
মাইলেজ হলো রেলের সংস্থাপন কোড অনুযায়ী, রানিং স্টাফরা দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বা ১০০ মাইলের বেশি ট্রেন চালালে একদিনের বেতনের সমপরিমাণ টাকা রানিং ভাতা হিসেবে পাবেন। ভাতার ৭৫ শতাংশ টাকা যোগ হতো পেনশনে।