শেখ হাসিনা যুগে উন্নয়নের মহিসোপানে বাংলাদেশ
লেখক : কাজী সিরাজুল ইসলাম
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,বাঙ্গালীর রাখাল রাজা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের মহান নেতা। তারই হাত ধরে আমরা পেয়েছি ৫৬ হাজার বর্গমাইলের লাল সবুজের বাংলাদেশ।
জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্র প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাসের উজ্জ্বল সাক্ষী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । তার চরম আত্মত্যাগ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ।
১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে ইতিহাসের বাঁকেবাঁকে দেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া সহ অগনিতবার দেশের ক্লান্তিলগ্নে হাল ধরেছে বঙ্গবন্ধু ।জাতীয় চার নেতাসহ অন্যান্য নেতারাও তাকে সহযোগীতা করেছিলেন।
বাহান্নর ভাষা আন্দোলন , ৫৪’র সাধারণ নির্বাচন, ৫৮’র আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র সাধারণ নির্বাচন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ,কোথায় নেই বঙ্গবন্ধু?
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তুু বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি। এই মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকেই কিছু কুলংঙ্গাররা হত্যা করে বাংলাদেশকে অন্ধকারে নিমজ্জ্বিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই অপকৌশল বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধূলিস্মাৎ করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বাবার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার সহ মোট ২৬ জন নিহত হওয়ার সময় জার্মানীতে থাকার কারনে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বাবার আদর্শকে আকড়ে ধরে বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ই মে দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার কাজে মনোনিবেশ করেন। বাবার অপূর্ণ স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে এখনো রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশ রত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি উত্তর বাংলার মঙ্গা বিজয়ী, দক্ষিণ বাংলার পদ্মা সেতু বিজয়ী। যেই পদ্মা সেতু তিনি বিশ্ব ব্যাংকের সাথে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে নির্মাণ করেছেন। পদ্মা সেতুর সংযোগ বয়ে নিয়ে ছুটে চলেছেন পায়রা সমুদ্রবন্দরে। টেকনাফে পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু তনয়া আজ সমুদ্র বিজয়ী।সীমান্ত পেরিয়ে তিনি আজ ছিট মহল বিজয়ী। ঢাকার পথে পথে উড়াল সেতু। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে মেট্রোরেল এর কাজ। স্বপ্নের নাগালে আজ গ্রামীন কৃষি কাঠামো।বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা তারই পরিচর্যার ফসল। শিক্ষা , স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বসতি, বাণিজ্য, দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে তার অবদান আজ দিগন্তজুড়ে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে এশিয়ার অনেক দেশকে আজ বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষা বান্ধব সরকার প্রতি বছরের পহেলা জানুয়ারি সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বই বিতরণ করে থাকেন। বর্তমান ছাত্ররা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পড়ালেখা করার সুযোগ পেয়েছে। কারিগরি শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। অসংখ্য নতুন বিদ্যালয় এমপিও ভুক্ত করন করা হয়েছে। সেশনজটের ভয়াবহ ছোবল থেকে মুক্তি পেয়েছে আজকের ছাত্রসমাজ।ক্যাম্পাস হয়েছে সন্ত্রাসমুক্ত। ছাত্ররা নির্বিঘ্নে পড়ালেখা করার সুযোগ পেয়েছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পরিবেশে, চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রযুক্তিতে, চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অর্থনীতিতে। এই ধারাবাহিতা রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটা নেতাকর্মীকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন,সেটা পূরণ করার দায়িত্ব আমাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ এদেশকে সোনার বাংলাদেশে রূপান্তর করবে ইনশায়াল্লাহ।
লেখক : কাজী সিরাজুল ইসলাম
উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সাবেক সংসদ সদস্য, ফরিদপুর-১