1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
সোশাল মিডিয়া : ভুল ধারণা, প্রকৃত সত্য নতুন বছর,নতুন বাংলাদেশ রক্তের বিকল্প শুধুই রক্ত তাই সেবাদানের ক্ষেত্রে রক্তদাতারা সমাজে উজ্জ্বল নক্ষত্র দীর্ঘসূত্রিতা : ধর্মীয় ব্যাখ্যা প্রতিভাবানদের সাফল্যের রহস্য কী? পান্তা-ইলিশ নয়, পান্তাপিয়া দিয়েই আসুন আমরা আয়োজন করি আমাদের বৈশাখী ঢাকা কোয়ালিফাইন লীগে ঢাকা ডায়মন্ডস স্পোর্টিং ক্লাবের বড় জয় কালোজিরা : নবীজী (স) যাকে বলেছেন মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের শেফা! নসিবো ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া থেকে সতর্ক থাকুন AABAD Khulna University এর অর্থায়নে ও এবং এন এফ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ।

সত্যজিৎ রায়ের ১০০ তম জন্মদিন আজ

  • সময় রবিবার, ২ মে, ২০২১
  • ১৩২২ বার দেখা হয়েছে

বাঙালি কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের এক শ’তম জন্মদিন আজ। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা। সেই সঙ্গে নাটক, সাহিত্য, চিত্রকলা এমনকি সংগীতে ছিল তার অবাধ বিচরণ। বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন সত্যজিৎ।

১৯২১ সালের ২ মে কলকাতার বিখ্যাত রায় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়। বাবা সুকুমার রায় এবং পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী দুজনেই সেই সময় বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। তাদের পৈতৃক নিবাস ছিল বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায়।

৬ ফুট ৫ ইঞ্চির এক বিশাল মানুষ ছিলেন সত্যজিৎ। তিনি এমন এক স্রষ্টা যার ম্যাজিক তার উচ্চতার মতোই বিরল। ২৮টি ফিচার ও ৮টি ছোট দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র ও শর্ট ফিল্ম তার দীর্ঘ ৪২ বছরের ফিল্ম কেরিয়ারের ফসল। শুধু এটুকুতেই তার কাজের পরিমাপ করা যাবে না। সত্যজিতের কাজের প্রকৃত মূল্যায়ন তার ছবির বিশাল ব্যাপ্তিতে।

শুধু চলচ্চিত্র আর সাহিত্যের গণ্ডিতে আটকে থাকেননি তিনি। সত্যজিতের ক্যালিগ্রাফির কাজ, তাঁর আঁকা, ছবি, প্রচ্ছদ চমকে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচকদের। রবীন্দ্রপরবর্তী যুগের সেরা বাঙালি প্রতিভা যে তিনিই সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

সত্যজিৎ রায় ১৯৫২ সালে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘পথের পাঁচালি’ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে ছবিটির নির্মাণ সম্পন্ন হয় এবং সে বছরই ছবিটির মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরবর্তীতে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প-উপন্যাস অবলম্বনে ‘অপরাজিত’ ও ‘অপুর সংসার’ নামে আরো দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এ তিনটি চলচ্চিত্র অপু ট্রিলজি হিসেবেই পরিচিত।

সত্যজিৎ রায়ের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘তিন কন্যা’ (১৯৬১), ‘চারুলতা’ (১৯৬৪), ‘নায়ক’ (১৯৬৬), ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ (১৯৭০), ‘সীমাবদ্ধ’ (১৯৭১) ‘জন অরণ্য’ (১৯৭৫) ‘গণশত্রু’ (১৯৮৯), ‘শাখাপ্রশাখা’ (১৯৯০) ও ‘আগন্তুক’ (১৯৯১)। সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র ‘ফেলুদা’ ও ‘প্রফেসর শঙ্কু’।

১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল এই খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃত্যুবরণ করেন।

 

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com