সত্য স্বপ্ন নবুয়তের অংশ। (তাই নবীদের স্বপ্ন সত্য হয়। আর) বিশ্বাসীর স্বপ্ন নবুয়তের ৪৬ ভাগের একভাগ।
—আবু হুরায়রা (রা), উবাদা ইবনে সামিত (রা); বোখারী, মুসলিম
আমার পর আর কোনো নবী নেই। তাই আর ওহী আসবে না। কিন্তু ইলহাম ও স্বপ্নের মাধ্যমে অনেক সত্যই মানুষের কাছে সুস্পষ্ট হবে।
—হুজাইফা ইবনে আসিয়াদ (রা); তাবারানী
তুমি যত সত্য কথা বলবে, তোমার স্বপ্ন তত সত্য হবে।
—আবু হুরায়রা (রা); মুসলিম
বাজে মিথ্যাচার হচ্ছে স্বপ্নে দেখে নি এমন বিষয় স্বপ্নে দেখেছে বলে বর্ণনা করা।
—আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা); আহমদ
যখন কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখে (ঘুম ভেঙে যায়), তখন শোয়া অবস্থাতেই বাম পাশে তিন বার থুতু ফেলো। (বাস্তবে থুতু ফেলতে হবে না। শুধু ঠোঁট নেড়ে থু থু থু করলেই হবে।) পাশ পরিবর্তন করে শোও এবং তিন বার শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো। তাহলে এ স্বপ্নের কোনো ক্ষতিকর প্রভাব তোমার ওপর পড়বে না।
—আবু কাতাদা (রা); বোখারী, মুসলিম
যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখে, সে যেন বাস্তবেই আমাকে দেখল। কারণ শয়তান আমার চেহারা ধারণ করতে পারে না।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম
ভালো স্বপ্ন দেখলে তুমি এটার ব্যাখ্যা করবে (অর্থাৎ অর্থ বোঝার চেষ্টা করবে)। খারাপ স্বপ্ন দেখলে এর ব্যাখ্যা করবে না, বলবেও না।
—আবু হুরায়রা (রা); তিরমিজী
আমি স্বপ্নে দেখলাম—আমি আমার দুটি আঙুল চুষছি। এক আঙুলে ঘি, অপর আঙুলে মধু ছিল। জেগে ওঠার পর আমি নবীজীকে (স) স্বপ্নের বিবরণ দিলে তিনি বললেন, ‘তুমি দুটি কিতাব পড়তে সক্ষম হবে। তাওরাত এবং কোরআন।’ শেষ পর্যন্ত তা হয়েছিল।
—আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা); আহমদ
কোনো ভালো স্বপ্ন দেখলে বুঝবে এটা আল্লাহর রহমত। তখন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবে। স্বপ্নের কথা বলে না বেড়ানোই ভালো। আর যখন কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখো, তখন বুঝবে এটা শয়তানি অপশক্তির কাজ। তখন এই অপশক্তির ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে। আর খারাপ স্বপ্নের কথা কাউকেই বলবে না। তাহলে এ স্বপ্ন তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
—আবু সাঈদ খুদরী (রা); বোখারী, মুসলিম