প্রতিটি পরিবারকে সুখ-শান্তির সোনালী নীড়ে পরিণত করার সুমহান লক্ষ্য অর্জন করার জন্যে যেসব দিক-নির্দেশনা আল্লাহ রাববুল আলামীন এবং তাঁর প্রিয় রাসূল দিয়েছেন, সেগুলোর প্রতি যথার্থ মনোযোগী হওয়া একান্ত জরুরী ৷ পরিবারের সূচনা হয় বিয়ের মধ্য দিয়ে ৷ বিয়ের মাধ্যমেই নর এবং নারীর দুটি জীবন একটি মাত্র স্রোতে প্রবাহিত ৷
বাংলায় একটি প্রবাদ আছে,তেলে-জলে কখনো মেশে না ৷ অর্থাৎ মিলন ঘটে না ৷ তাই দেখা যায় বিপর্যয় ৷ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কও যদি তেল আর জলের মতো হয়, তাহলে পারিবারিক বিপর্যয় দেখা দেবে-এটাই স্বাভাবিক ৷ ফলে প্রশ্ন দাঁড়ায় নর-নারী বাছাই কীভাবে করতে হবে ? অধিকার বা কর্তব্য সম্পর্কে কথা বলার আগে আমরা বরং এ প্রশ্নটির সমাধান করার চেষ্টা করি ৷
‘সে আমার সম্পত্তি নয়, সে আমার সম্পদ’- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘হৈমন্তি’ গল্পের এই লাইনটি আমরা সবাই কমবেশি পড়েছি। কিন্তু আদৌ কী এর তাৎপর্য বুঝার চেষ্টা করেছি? আসলে জীবনসঙ্গীকে সম্পত্তির মতো ভোগ করে নয় বরং সম্পদ হিসেবে যখন একে অপরকে মূল্যায়ন করবে, যত্ন নিবে তখনই এর গভীরতা বাড়বে।
সম্মান – পরস্পরের প্রতি এবং একে অপরের পরিবারের প্রতি। বিয়ে এমনই এক সামাজিক প্রতিষ্ঠান যেখানে আপনি শুধুমাত্র আপনার জীবনসঙ্গীকেই আপন করছেন না বরং তার পরিবার এর সাথেও আপনার সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে।
শুধুমাত্র মেয়েদেরই শ্বশুর শাশুড়ি কে দেখতে হবে ছেলেদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয় এমনটা হওয়া উচিত নয়।
দুজন দুজনের পরিবারকে সম্মান করুন। শাশুড়ীর কোন আচরণ খারাপ লাগলেও খারাপ ভাবে ভুলেও স্বামী বা স্ত্রীর কাছে বলবেন না। কারন, সে তার মা।