সর্বশেষ গত দু-বছর করোনা আতঙ্কে যখন সারা পৃথিবী দিশেহারা অবস্থা কোয়ান্টাম নিঃসংকোচে প্রথম দিনই বলেছে যে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই, সতর্কতার প্রয়োজন আছে। মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্বের কোনো প্রয়োজন নাই। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষে মানুষে সামাজিক নৈকট্য সামাজিক একাত্মতার প্রয়োজন বেশি।
কোয়ান্টাম নিঃসংকোচে সত্য উপস্থাপন করেছে যে, আমরা পরম করুণাময়ের বিশেষ অনুগ্রহভাজন জাতি। এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অসাধারণ। এবং আমাদের এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে এবং পরম করুণাময়ের বিশেষ অনুগ্রহের কারণে আমাদের দেশে করোনা কোনোভাবেই কোনো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি বা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।
আসলেও দু-বছরে আমাদের করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে মৃত্যুর ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী কোনো ভূমিকা রাখতে পারে নাই।
আমরা যে-কথাটি দু-বছর আগে নির্ভয়ে বলেছিলাম সাহস করে বলেছিলাম জোরালোভাবে বলেছিলাম যে, করোনা আমাদের দেশে সুবিধা করতে পারবে না।
এবং করোনার সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে আমরা অনায়াসে সেটাকে কাটিয়ে উঠতে পারব। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও করোনা তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। এবং দু-বছর পর বাস্তবতা তাই বলছে। এবং এই বাস্তবতার কারণেই মানুষের আস্থার জায়গা হয়েছে কোয়ান্টাম।
এবং আমাদের প্রতি কোয়ান্টামের প্রতি স্রষ্টার এই বিশেষ অনুগ্রহের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আমরা নিঃসংকোচে বলব যে, আমরা সবসময় মানুষের পাশে ছিলাম। মানুষের পাশে আছি। ইনশাল্লাহ সবসময় মানুষের পাশে থাকব।
প্রিয় সুহৃদ! কোয়ান্টাম বর্ষ ৩০-এ এসে আমরা পরম করুণাময়ের ওপর নির্ভর করে নিঃসংকোচে বলতে পারি যে, কোভিড-১৯-র নামে যে আতঙ্ক প্রচার করা হয়েছিল কোভিড-১৯-এ সারা পৃথিবীর মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করে রাখার যে প্রয়াস আতঙ্কের ব্যাপারীরা করেছিল তার প্রভাব ধাপে ধাপে ক্ষীয়মান হয়ে যাবে। তার প্রভাব উবে যাবে।
আমরা ইতিমধ্যেই দেখছি করোনার কোভিড-১৯ যে ভ্যারিয়েন্ট এটারও মিউটেশন ঘটছে। এবং সর্বশেষ যে মিউটেশন ওমিক্রন ওমিক্রন সম্পর্কে এর মহামারি অতিমারি বিশেষজ্ঞরাই বলছেন, এটার সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও এর প্রাণহনন ক্ষমতা খুবই কম।
যার ফলে প্রথমদিকে মৃত্যুর হার যেরকম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল ওমিক্রনের আতঙ্ক প্রচার করা হলেও ওমিক্রন তার প্রাণহনন ক্ষমতা যে অনেকখানি হারিয়ে ফেলেছে তা বিশেষজ্ঞরাই বলছেন।
এবং কোভিড-১৯-র ভাইরাসের যত মিউটেশন ঘটতে থাকবে পরম করুণাময়ের অনুগ্রহে তার প্রাণহনন ক্ষমতা ততই কমতে থাকবে। এবং একটা সময় হবে কোভিড-১৯ ও সাধারণ ঠান্ডা জ্বরে বা সর্দি কাশিতে রূপান্তরিত হবে।
তবে কোভিড-১৯ তার প্রাণহনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেললেও আতঙ্কের ব্যাপারীরা কোভিড নিয়ে যে আতঙ্ক প্রচার করে কোটি কোটি মানুষকে গৃহবন্দি করে ফেলেছিল। এবং বিভিন্ন দেশে কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক স্বার্থান্বেষীদের চাপে ইচ্ছে না থাকলেও লকডাউন দিতে হয়েছিল।
গৃহবন্দিত্বকালে প্রবীণ তরুণ নির্বিশেষে সবাই নতুন ভাইরাসে নতুন মহামারিতে নতুন অতিমারিতে আক্রান্ত হয়েছেন সেটা হলো ভার্চুয়াল বা মেটা জগৎ।
মেটা মানে তো জানেন? অলীক জগৎ ভার্চুয়াল বা মেটা সবই হচ্ছে অলীক জগৎ। মেটা শব্দের অর্থও হচ্ছে বাস্তব নয় পরাবাস্তব অলীক জগৎ। যে-রকম মেটা ফিজিক্স।
মেটা ফিজিক্সের সাথে কিন্তু ফিজিক্সের কোনো সম্পর্ক নাই। মেটা ফিজিক্স বলা হয় দর্শনকে।
তো একইভাবে ভার্চুয়াল জগৎ বা মেটাভার্স হচ্ছে অলীক জগৎ।
অলীক জগতের প্রতি আসক্তি মানুষকে লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও অস্থির নিঃসঙ্গ অশান্ত অসহিষ্ণু রুড অর্থাৎ অভব্য করে তুলেছে।
অসহিষ্ণুতা অস্থিরতা ও রুডনেসের প্রকাশ ঘটছে তাদের অজ্ঞাতসারেই। এটা অলীক জগতের বা মেটা জগৎ মেটাভার্স বা ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডের প্রভাব।
এবং প্রবীণদের চেয়ে যুবকদের-তরুণদের ওপর এই প্রভাব দৃশ্যমানভাবে বেশি। এবং বিভিন্ন পরিসংখ্যান বর্তমানে তা-ই বলছে।
একটি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, শহরের ৬০ শতাংশের বেশি কিশোর-কিশোরী মানসিক চাপে ভুগছে। এবং এই স্ট্রেস বা মানসিক চাপ তাদের শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এই কিশোর-কিশোরীদের একটি বড় অংশ স্থূলতা এবং বিষণ্নতা বা অবসাদে ভুগছে।
এছাড়া যারা আসলে শহরে বড় হয়েছে এই কিশোর-কিশোরীদের অধিকাংশই নিয়মিত খেলাধুলা বা কায়িক পরিশ্রমের কাজ করা থেকে বঞ্চিত। এবং এই চাপমুক্তির জন্যে পরিবার বা স্কুলের সহায়তা তারা খুব কম পায়।
এবং এই কিশোর-কিশোরীদের ফাস্টফুড বা জাঙ্কফুড যা আসলে মূলত আবর্জনা আবর্জনা খাওয়ার প্রবণতাই তাদের বেশি। খেলাধুলার সুযোগও কম। ফলে স্থূলতা প্রকটভাবে তাদের ওপর বাসা বেঁধেছে।
তাছাড়া মা-বাবার সাথে মানসিক দূরত্ব নাগরিক জীবনে একক পরিবার কাঠামোর কারণে একাকীত্ব, স্কুলে বা অবসর সময়ে সমবয়সীদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, বুলিং এই মানসিক চাপকে আরো বাড়িয়েছে।
এবং একে বিশেষজ্ঞরা বলছেন পোস্ট কোভিড ট্রমা। এবং শুধু আমাদের দেশে নয় সারা পৃথিবীতে তরুণদের ওপরে এই পোস্ট কোভিড ট্রমার প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
কারণ তারা অনিশ্চয়তায় ভুগছে সবচেয়ে বেশি। পড়াশোনা নিয়ে, ক্যারিয়ার নিয়ে ভুল তথ্য নিয়ে এবং মেটাভার্স বা অলীক জগতের আসক্তির ফলে।